ভেনেজুয়েলার সংস্কৃতি

ভেনেজুয়েলার সংস্কৃতি (স্পেনীয়: Cultura de Venezuela) বেশ ভিন্নতর ও বৈচিত্রময়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকদের বসবাসের কারণেই এমনটি হয়েছে। মূলতঃ আদিবাসী, আফ্রিকান ও স্পেনীয় - এ তিনটি ভিন্ন জনগোষ্ঠী থেকে ভেনেজুয়েলার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলশ্রুতিতে ভেনেজুয়েলার ভিন্নতর ও স্বাভাবিক শিল্পকলা, সাহিত্যসঙ্গীতের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। বর্তমান ভেনেজুয়েলীয় সংস্কৃতি অনেকাংশেই লাতিন আমেরিকার সাথে মিল রয়েছে। তবে, প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রচনা করেছে।

৩০ আগস্ট, ১৯৮৪ তারিখে ইনস্তিতুতো আর্নোল্দো গাবালদনকে জাতীয় ঐতিহাসিক ভূমিফলক ঘোষণা করা হয়।

আদিবাসীদের প্রভাব বেশ কম ও অনেক স্থানের নামকরণ রাখা হয়েছে। আফ্রিকানদের প্রভাবও একই। সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্র ড্রামও একইভাবে গড়িয়েছে। ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়া ও আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো স্পেনীয় সংস্কৃতিতে গড়ে উঠেছে। আন্দালুসিয়া ও এক্সত্রেমাদুরা’র ন্যায় অঞ্চলগুলো, ঔপনিবেশিক আমলে ক্যারিবীয় থেকে আগত বসতিস্থাপনকারীদের জন্য স্থানগুলো এ সংস্কৃতি থেকে আগত। এছাড়াও, ভবন, সঙ্গীত, ক্যাথলিক ধর্ম ও ভাষা তাদের কাছ থেকেই নেয়া হয়েছে।

এছাড়াও, ১৯শ শতাব্দীতে ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের আগমনের স্রোতধারায়ও এর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। তন্মধ্যে ফ্রান্স প্রধান শহরগুলোয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও স্পেনীয়, ইতালীয় এবং পর্তুগীজদের আগমনে উত্তরোত্তর সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি বেশ লক্ষ্যণীয়। বর্তমানে মার্কিনী ধাঁচে ফাস্ট ফুড ও বর্তমান স্থাপত্যকলার অবকাঠামো গড়ে তুলেছে।

জনগোষ্ঠী সম্পাদনা

ভেনেজুয়েলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। আদিবাসী ভেনেজুয়েলীয় থেকে শুরু করে স্পেনের অধিগ্রহণের পর স্পেনীয়আফ্রিকানদের আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠে। সপ্তদশ শতাব্দীতে বিশালসংখ্যক ইতালীয়, পর্তুগিজ, আরব, জার্মান, মরোক্কীয় ইহুদিদক্ষিণ আমেরিকার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দলে-দলে লোক আসতে শুরু করে। ৯৩% ভেনেজুয়েলীয় দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহুরে এলাকায় বসবাস করে থাকে। প্রায় অর্ধেক ভূমি দক্ষিণাঞ্চলীয় অরিনোকো নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে। তবে, এখানে মাত্র ৫% লোক রয়েছে। ৯৬%-এর অধিক লোক নিজেদেরকে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হিসেবে দাবী করে। বাদ-বাকীরা প্রধানত প্রোটেস্ট্যান্ট। সঙ্গীত ভেনেজুয়েলীয়দের ঐতিহ্য, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত।

ভেনেজুয়েলার ঐতিহ্য, শিল্পকলা ও সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রায় প্রবাহিত। এ সকল উপাদানের উপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক স্থাপনা, স্থাপত্যকলা,[১] শিল্পকলা, চিত্রকলা,[২] সীমানারেখা ও ভাস্কর্যে প্রভাব ফেলেছে। ভেনেজুয়েলীয় সংস্কৃতিতে আদিবাসী, স্পেনীয় ও আফ্রিকানদেরও প্রভাব পড়েছে। এ সময়ের পূর্বে আদিবাসীদের সংস্কৃতি চিত্র সহযোগে প্রতীক (হায়ারোগ্লিফ), হস্তশিল্প, স্থাপত্যকলা ও সামাজিক সংগঠন গড়ে উঠে। উপজাতিদের সংস্কৃতি পরবর্তীকালে স্পেনীয়দের মাঝে মিশে যায়। পরবর্তী বছরগুলোয় আঞ্চলিক পর্যায়ে মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে উঠে।

শিল্পকলা সম্পাদনা

 
১৮৮৯ সালে ভেনেজুয়েলা বংশোদ্ভূত আর্তুরো মিচেলেনা অঙ্কিত ‘ইয়ং মাদার’।

ভেনেজুয়েলীয় চিত্রকলায় ব্যাপকভাবে ধর্মীয় প্রভাব বিস্তার করেছে। পরবর্তীতে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রভাবে ১৯শ শতাব্দীর শেষদিকে ঐতিহাসিক ও বীরত্বসূচক উপস্থাপনার প্রয়োগ ঘটে। এতে মার্টিন লুথার কিং; মার্টিন টভার ওয়াই টভার নেতৃত্ব দেন। ২০শ শতাব্দীতে আধুনিকতাবাদের প্রভাব পড়ে। উল্লেখযোগ্য ভেনেজুয়েলীয় চিত্রশিল্পীদের মধ্যে আর্তুরো মিচেলেনা, ক্রিস্টোবেল রজাস, অ্যান্টোনিও হেরেরা তরো, আরমান্দো রেভেরন, ম্যানুয়েল কাব্রে, গতিশীল চিত্রশিল্পীদের মধ্যে জেসাস-রাফায়েল সতো. গেগোকার্লোস ক্রুজ-ডায়াজ এবং সমসাময়িক চিত্রশিল্পীদের মধ্যে মারিসলইউসেফ মার্হি অন্যতম।[৩]

স্থাপত্যকলা সম্পাদনা

ভেনেজুয়েলার সর্বত্রই সকল ধরনের প্রাচীন স্থাপত্যরীতিতে ভবন তৈরী করা হয়েছে। প্রত্যেক প্রাচীন ভবনেই এর নিজস্ব পটভূমি লুকিয়ে রয়েছে। সকল ধরনের পৃথক ভবনগুলো অতীতকে ছাড়িয়ে গেছে।

সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা

স্পেনীয় সংস্কৃতির প্রভাবের পর প্রায় সবটুকুই আদিবাসী সমাজব্যবস্থার প্রাক-সাহিত্যকে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলীয় সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছে।[৪] স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে রাজনৈতিকধর্মী সাহিত্যচর্চার উদ্ভব হয়। ভেনেজুয়েলীয় আবেগধর্মী সাহিত্য মূলতঃ জুয়ান ভিসেন্তে গঞ্জালেজফারমিন তরো এ অঞ্চলের প্রথমদিককার সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রধানত বর্ণনাত্মক লেখনি ভঙ্গীমার দিকেই মনোনিবেশ ঘটানো হয়েছিল। তবে, ভেনেজুয়েলীয় সাহিত্যে আন্দ্রেজ এলয় ব্লাঙ্কোফারমিন তরো’র ন্যায় কবি প্রভাবও ফেলেছেন।

প্রধান লেখক ও ঔপন্যাসিকদের মধ্যে রোমুলো গালেগোস, তেরেসা ডে লা পারা, আর্তুরো আসলার পিয়েত্রি, আদ্রিয়ানো গঞ্জালেজ লিওন, মিগুয়েল ওতেরো সিলভামারিয়ানো পিকন সালাস অন্যতম। বিখ্যাত কবি ও মানবতাবাদী আন্দ্রেস বেলিও শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তিনি সিমন বলিভারের শৈশবকালে শিক্ষা দিতেন ও পরামর্শকের ভূমিকান নেন। অন্যান্যদের মধ্যে লরেনো ভ্যালেনিলা লাঞ্জহোস জিল ফর্তুল ভেনেজুয়েলার বাস্তববাদী সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

সঙ্গীত সম্পাদনা

 
১৯১২ সালে এলয় পালাসিওস অঙ্কিত জরোপো’র দৃশ্য।

ভেনেজুয়েলার আদিবাসী সঙ্গীত ‘আন সোলো পুবলো’ ও সেরেনাতা গায়ানেসা দলের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত সরঞ্জাম হচ্ছে ‘'কুয়াত্রো’। মূলতঃ ‘ইলানোস’ অঞ্চলে প্রতিনিধিত্বকারী সঙ্গীত ঘরানা ও অংশবিশেষ এতে ঠাঁই পেয়েছে। আলমা লানেরা (পেদ্রো এলিয়াস গুতাইরেজরাফায়েল বলিভার করোনাদো), ‘ফ্লোরেন্তিনো ওয়াই এল ডায়াবলো’ (আলবার্তো আরভেলো তোরেয়ালবা), ‘কনসাইরতো এন লা লানুরা’ (জুয়ান ভিসেন্তে তোরেয়ালবা) এবং কাবালো ভাইজো (সিমন ডায়াজ) অন্যতম।

এছাড়াও, জুলিয়ান গাইতা জনপ্রিয় গানের ধারারূপে বিবেচ্য। মূলতঃ বড়দিন চলাকালে প্রদর্শন করা হয়। জরোপো জাতীয় নৃত্য। সঙ্গীতের ধারা ও নৃত্যেও বেশ ভিন্নতা ও সমৃদ্ধি প্রকাশ পেয়েছে। তন্মধ্যে ক্যালিপ্সো, ব্যামবুকো, ফুলিয়া, কান্তো ডে পিলাদো ডে মাইজ, কান্তোস ডে লাভানদেরা, সেবুকানমেয়ারমেয়ার অন্যতম।[৫] তেরেসা কারেনো ১৯শ শতাব্দীতে বৈশ্বিকভাবে জনপ্রিয় পিয়ানো বাদক ছিলেন। শেষের বছরগুলোয় ধ্রুপদী সঙ্গীত বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে। গুস্তাভো দুদামেল ও হোস অ্যান্টোনিও আবরিও’র পরিচালনায় অনেকগুলো ইউরোপীয় কনসার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রোমসের ন্যায় কনসার্ট হলে সিমন বলিভার যুব অর্কেস্ট্রা চমকপ্রদ পরিবেশন করা হয় ও ব্যাপক সম্মাননা বয়ে নিয়ে আসে। সাধারণের অর্থায়নে স্বেচ্ছাসেবী সঙ্গীত শিক্ষা প্রকল্প অন্যান্য দেশেও প্রভাববিস্তার করেছে। অর্কেস্ট্রায় এল সিস্টেমা পথিকৃৎ হিসেবে রয়েছে।

 
আলমা লানেরা’র প্রচ্ছদচিত্র।

উৎসব সম্পাদনা

ভেনেজুয়েলার অন্যতম প্রধান উৎসব হচ্ছে কর্পাস ক্রিস্টি উৎসব পালন। এ উৎসবে মুখোশ ও নৃত্যরত প্রেতাত্মার পোশাক পরিধান করা হয়। রাস্তায় প্রদর্শনকারী এ নৃত্যটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রাচীন এ নৃত্যটি স্পেনীয় উপনিবেশবাদের সূচনালগ্ন থেকে পালিত হয়ে আসছে। এছাড়াও কর্পাস ক্রিস্টির ন্যায় আরও প্রচলিত বিষয় ভেনেজুয়েলীয়দের পরিচিতি বহন করে আসছে। বৈবাহিক উৎসবে দম্পতি যুগল একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে রাখে।

খেলাধুলা সম্পাদনা

ভেনেজুয়েলায় বেসবল খেলার উৎপত্তির বিষয়টি অপরিষ্কার। তবে, ১৯শ শতাব্দীর শেষদিকে এদেশে বেসবল খেলা হতো। ২০শ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আমেরিকা থেকে অভিবাসনকারী তৈলশিল্পে সহায়তাকল্পে কাজ করতে আসে ও ভেনেজুয়েলায় এ খেলাকে জনপ্রিয় করে তুলতে এগিয়ে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত বেসবল ভেনেজুয়েলায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রীড়ারূপে বিবেচিত। ১৯৩০-এর দশকে বেসবলে উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৫ সালে ভেনেজুয়েলায় পেশাদার বেসবল লীগের সূচনা ঘটে।

এছাড়াও ভেনেজুয়েলার জাতীয় ফুটবল দল ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। বিশ্বকাপ চলাকালে এ খেলার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। ২০১১ সালে কনমেবলের অক্ষরক্রমিক ধারায় ঘূর্ণায়মান নীতির ফলে ভেনেজুয়েলা প্রতি ৪০ বছর অন্তর কোপা আমেরিকা ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের সুযোগ পাবে।[৬] ফুটবলের পাশাপাশি বাস্কেটবলও অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ২০১২ সালের ফিবা বিশ্ব অলিম্পিক বাছাইপর্বের পুরুষদের প্রতিযোগিতা ও পলাইদ্রো ডে কারাকাসে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের ফিবা বাস্কেটবল আমেরিকাস চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্পেনীয় প্রভাবে ষাড়ের লড়াই খেলাটিরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাবেক ফর্মুলা ওয়ানের চালক পাস্তোর মালদোনাদো’র কারণেও ভেনেজুয়েলার পরিচিতি পেয়েছে।[৭] ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভেনেজুয়েলীয় রুবেন লিমার্দো অসি চালনায় স্বর্ণপদক জয় করেন।[৮]

সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা সম্পাদনা

 
২০০৮ সালের মিস ইউনিভার্স ডেয়ানা মেন্দোজা

বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভেনেজুয়েলীয়দের সফলতা ঈর্ষনীয় ও তাদের জয়-জয়কার। একমাত্র অসমেল সোসা’র হাত ধরেই ২২জন নারী বিভিন্ন পর্যায়ে শিরোপাধারী হয়েছেন। মিস ভেনেজুয়েলা দেশের বিরাট আসর। এ পর্যন্ত সাতজন নারী মিস ইউনিভার্স, ৬জন মিস ওয়ার্ল্ড, ৭জন মিস ইন্টারন্যাশনাল ও ২জন মিস আর্থের মুকুট লাভ করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।

বৈশ্বিক মূল্যসূচক জরীপে ভেনেজুয়েলা ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। জরীপের ৫৫% লোক নিজেদেরকে ‘অত্যন্ত সুখী’ হিসেবে দাবী করেছে।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Coro and its Port"UNESCO World Heritage Centre। ১৯৯৩। 
  2. "Ciudad Universitaria de Caracas"। UNESCO World Heritage Centre। ২০০০। 
  3. Silvera, Yohana (১০ জুন ২০১০)। "Poesía en objetos" (Spanish ভাষায়)। TalCualDigital। ২৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  4. "Information"Latin Trails। ২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  5. "Key Facts Venezuela"Turpial Travel & Adventure। ১৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫ 
  6. "Copa America: a new cycle begins and the revolving calendar remains"CONMEBOL। ২১ ডিসেম্বর ২০০৭। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৫ 
  7. Strickland, Jamie (১২ এপ্রিল ২০১৫)। "Pastor Maldonado: Does 'Crashtor' deserve his bad reputation?"BBC। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  8. "Fencer Ruben Limardo returns to hero's welcome in Venezuela"NBC Olympics। ৭ আগস্ট ২০১২। ৭ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৫ 
  9. "Happiness Statistics By Country"। Nationmaster.com। সংগ্রহের তারিখ জুন ২১, ২০০৭