ভিশন - আ প্রোজ স্কেচ

ভিশন - আ প্রোজ স্কেচ (জার্মান - Vision - eine Prozaskizza; ভিজিওন - আইনা প্রোজাস্কিৎসা) হল জার্মান সাহিত্যিক টমাস মানের লেখা প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম। ১৮৯৩ সালে ল্যুবেক'এর গিমনাসিউম (হাই স্কুল) থেকে প্রকাশিত স্কুল ম্যাগাজিন ড্যের ফ্রুলিংসস্টুর্ম (বাসন্তী ঝড়) পত্রিকায় এই লেখাটি প্রকাশিত হয়।[১]

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

এটি একটি প্রোজ স্কেচ (জার্মান - প্রোজাস্কিৎসা) বা গদ্য-চিত্র। স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের লেখার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই এখানে তেমন কিছু ঘটে না। গল্পকথক (ন্যারেটর) এখানে একজন অল্পবয়সী মেয়ের আঙটিশোভিত হাতের সৌন্দর্য বর্ণনা করে মাত্র। তার চোখে সে সৌন্দর্য যেমন প্রতিভাত হয়, তার ফলে তার মনে যে চিন্তার উদয় হয় - চিন্তার সেই ধারাকেই ঘনিষ্টভাবে অনুসরণ করে চলে এখানে লেখকের কলম। তার মনের প্রথম উত্তেজনা ধীরে ধীরে প্রশমিত হয়, চিন্তাকে অন্যদিকে চালিত করতে সে অন্য কিছু ছবির দিকে তাকায় - যেমন কাইজার ভিলহেলমের আমলের জাঁকজমকপূর্ণ ঘরের একটি ছবি। কিন্তু কথকের অনুভূতি সৌন্দর্যের এমন কোনও সুনির্দিষ্ট ছকে বাঁধা সীমার মধ্যে আটকে থাকতে অস্বীকার করে; তার মনে হতে থাকে সেই নরম পেলব অনাবৃত অনিন্দ্যসুন্দর হাতটির গন্ধ, তার স্পন্দন যেন সেই ভিলহেলমীয় যুগের জাঁকজমকপূর্ণ কক্ষটিতেও তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে; কোনও এক গোপন ভালোবাসা যেন তার অন্তর থেকে উঠে এসে তার সমস্ত পৃথিবীটাকেই নাড়িয়ে দেয়। তার দু'চোখের দৃষ্টি ভিজে আসে, অশ্রু মুক্তি পায়; কোনও এক মেয়ের প্রতি হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে এসে তাকে কাঁদিয়ে ছাড়ে।[২]

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

হেরমান কুরৎসকা প্রমুখ সমালোচকদের মতে টমাস মানের এই একেবারে প্রথম দিকের লেখাটিতে ভিয়েনার প্রতীকবাদী (সিম্বলিস্ট) আন্দোলনের সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ করা যায়।[৩] অপরদিকে রাইনহার্ট বাউমগার্টের মতে এই ছোট্ট গদ্য-ছবিটি সেই সময়ে মানের উপর তৎকালীন ডেকাডেন্স আন্দোলনের প্রভাবেরও সাক্ষ্য বহন করে। তবে তার সাথে লিখনশৈলীতে একধরনের অদ্ভুত মিষ্টত্ব ও আভিজাত্যর সচেতন উপস্থিতি এই লেখাটিকে মানের পরবর্তী লেখাগুলির সাথে তুলনায় কিছুটা বিশিষ্ট করে তুলেছে। আবার সেই সাথে কিছু দেহাংশের সুচারু প্রতীকি ব্যবহার (এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি অনাবৃত অল্পবয়সী মহিলা হস্ত) এখানে এমনধরনের এক ইরোটিসিজমের সাক্ষ্য বহন করে, যা মানের পরবর্তী বিভিন্ন লেখায় অনেকাংশেই অনুপস্থিত।[১] তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এইধরনের লেখা ছিল কিছুটা ফ্যাশনেবল। এই লেখায় পরিণত মান'এর গভীরতার ছাপ অনেকটাই অনুপস্থিত।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Reinhard Baumgart: "Thomas Mann als erotischer Schriftsteller". Zeit Online. 15 (1988) পৃঃ - ২. সংগৃহীত ২৯ অক্টোবর, ২০১৫।
  2. „Thomas Mann: Vision. Prosa-Skizze.“ Sämtliche Erzählungen. Band 1. S. Fischer Verlag, Frankfurt 2002 (8. Aufl.), পৃঃ ৭–৮। আইএসবিএন ৩-১০-৩৪৮১১৫-২
  3. Hermann Kurzke: Thomas Mann. Das Leben als Kunstwerk. Fischer-Taschenbuch-Verlag, Frankfurt 2001, আইএসবিএন ৩-৫৯৬-১৪৮৭২-৩, পৃঃ - 61

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা