বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার

বোয়িং ৭৮৭ এক ধরনের জেট বিমান যা ৯৫০ কিমি/ঘ উড়তে পারে

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার হল বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেন কোম্পানির তৈরী করা দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট মাঝারি আকারের সুপরিসর বিমান। বিমানটি প্রকরণ ভেদে সর্বোচ্চ ৩ টি শ্রেণীতে ২৪২ থেকে ৩৩৫ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। ড্রিমলাইনার বিমানটি হালকা যৌগিক পদার্থ দিয়ে তৈরী হওয়ায় এয়ারলাইন শিল্পে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে জ্বালানী সাশ্রয়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বোয়িং ৭৮৭ কে ৭৬৭ এর চেয়ে প্রায় ২০% জ্বালানী সাশ্রয়ী করে ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক কিছু বৈশিষ্ট যেমন ইলেক্টিক্যাল ফ্লাইট সিস্টেম, চার প্যানেল বিশিষ্ট উইন্ডশিল্ড, শব্দ নিরোধি শেভরন ইত্যাদি বিমানটিকে অন্যান্য করে তুলেছে। ড্রিমলাইনারের উড্ডয়ন প্রক্রিয়া বোয়িং ৭৭৭ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন ভাবে তৈরী করায় বোয়িং ৭৭৭ এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলটরা নতুন কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই এটি উড্ডয়ন করতে পারে।

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
ভূমিকা সুপরিসর জেট এয়ারলাইনার
উৎস দেশ যুক্তরাষ্ট্র
নির্মাতা বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেন কোম্পানি
প্রথম উড্ডয়ন ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯
প্রবর্তন অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ, ২৬ অক্টোবর ২০১১
অবস্থা পরিসেবায় নিয়োজিত
মুখ্য ব্যবহারকারী অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ
এয়ার ইন্ডিয়া
জাপান এয়ারলাইন্স
কাতার এয়ারওয়েজ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
নির্মিত হচ্ছে 2007–বর্তমান
নির্মিত সংখ্যা মে ২০১৫ পর্যন্ত ২৮২ টি
কর্মসূচির খরচ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার [১]
ইউনিট খরচ ৭৮৭-৮: ১৮.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[২]
৭৮৭-৮:২৫৭.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[২]
৭৮৭-১০: ২৯৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[২]

বোয়িং ৭৮৭ ২০১১ সালের মার্চের দইকে ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনেস্ট্রেশন ও ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির অনুমোদন পায় এবং একই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম চালানটি হস্তান্তর করা হয়। ২০১১ সালের অক্টোবরে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ সর্বপ্রথম এই বিমান দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। এর পর থেকে বোয়িং কোম্পানি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স থেকে প্রায় ১০৭১ টি বিমান সরবরাহ করার অর্ডার পায়।

বাণিজ্যিক যাত্রী পরিবহনের সূচনালগ্নটি ড্রিমলাইনার অপারেটরদের জন্য খুব একটা সুখকর হয় নি। ব্যাটারি জনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্য ইউরোপ আমেরিকা সহ বিভিন্য দেশের এভিয়েশন সেফটি এজেন্সিগুলো বেশ কিছুদিনের জন্য অপারেশন থেকে সরিয়ে রাখে। বোয়িংএর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ব্যাটারির নকশা পূনঃমূল্যায়নের ও এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির অনুমোদনের পর ২০১৩ সালের মে মাসের দিকে বিমানটি পুনরায় যাত্রী পরিবহন শুরু করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Gates, Dominic (সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১১)। "Boeing celebrates 787 delivery as program's costs top $32 billion"Seattle Times। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১ 
  2. "Boeing Commercial Airplanes prices"। Boeing। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা