বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গআসামে বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদুপানির জলাশয়কে বিল বলা হয়। বিল মূলত নিম্নভূমি যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়। শুকনোর মৌসুমে অধিকাংশ বিলে কোন পানি থাকে না। তখন সেই এলাকা চাষাবাদ ও গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটু বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এসব নিম্নভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত বিলের গভীরতা বেশি হয় না। বেশিরভাগ বিলই জলাভূমির মত। তবে বড় বড় বিলের গভীরতা অনেক বেশি এবং প্রায় সারা বছর এসব বিলের কোথাও না কোথাও পানি থাকে। বিল কোন কোন ক্ষেত্রে বাঁওড়ের সমার্থক, যদিও দু'টির মধ্য অল্পবিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান।[১] গাঙেয় ও ব্রহ্মপুত্র প্লাবন সমভূমিতে বিলের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নাটোরপাবনায় বিলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।[১]

বড় বড় বিলের গভীরতা বেশি থাকে বলে এসব বিল বর্ষাকালে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত, চলন বিল, নাটোর
সাধারণত বিলের গভীরতা কম থাকে বলে এতে বসতি স্থাপন করা সম্ভব, চলন বিল, rgggyনাটোর

উৎপত্তি সম্পাদনা

বিল নানাভাবে গঠিত হতে পারে। কোন নিম্নভূমিতে যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকে বা নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে যায়, তবে বন্যার পর ঐ স্থানে পানি আটকে বিলের সৃষ্টি হয়। আবার বৃষ্টিপাত বেশি হলে ও বর্ষাকালে পানি জমে বিলের সৃষ্টি হয়। আবার কখনও কখনও নদীপথের দিক পরিবর্তিত হলে বিলের সৃষ্টি হয়। দিক পরিবর্তিত হওয়ার পরও নদীর যে অবশেষ থেকে যায় তা বিল হিসেবে চিহ্নিত হয়।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mohd Shamsul Alam, and Md Sazzad Hossain, Beel ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুলাই ২০১২ তারিখে, Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Online), সংগৃহীত: ১৯ আগস্ট, ২০১২।