বিদ্যাকুট ইউনিয়ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত নবীনগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন

বিদ্যাকুট বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত নবীনগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন

বিদ্যাকুট
ইউনিয়ন
৬নং বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদ
বিদ্যাকুট চট্টগ্রাম বিভাগ-এ অবস্থিত
বিদ্যাকুট
বিদ্যাকুট
বিদ্যাকুট বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বিদ্যাকুট
বিদ্যাকুট
বাংলাদেশে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৪′২৭″ উত্তর ৯১°২′২৭″ পূর্ব / ২৩.৯০৭৫০° উত্তর ৯১.০৪০৮৩° পূর্ব / 23.90750; 91.04083 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
উপজেলানবীনগর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৪০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

আয়তন সম্পাদনা

বিদ্যাকুট ইউনিয়নের আয়তন ৬,০০৩ একর (২৪.২৯ বর্গ কিলোমিটার)।[১]

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৯,৩৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩,৯৩০ জন এবং মহিলা ১৫,৪৩৬ জন। মোট পরিবার ৫,৩৩৯টি।[১] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,২০৯ জন।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

অবস্থান ও সীমানা সম্পাদনা

নবীনগর উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের পূর্বে নাটঘর ইউনিয়ন; দক্ষিণে শিবপুর ইউনিয়ন; দক্ষিণ-পশ্চিমে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন; পশ্চিমে তিতাস নদী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন এবং উত্তরে তিতাস নদী, বড়াইল ইউনিয়নব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন অবস্থিত।

প্রশাসনিক কাঠামো সম্পাদনা

বিদ্যাকুট ইউনিয়ন নবীনগর উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম নবীনগর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৭নং নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর অংশ। চেয়ারম্যান : জনাব জাকারুল হক

শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বিদ্যাকুট ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৩.৪%।[১]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

এখানে ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩টি বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন আছে।

- বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ।

সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুল। এখানে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

সতীদাহ মন্দির সম্পাদনা

গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরাতন জীর্ণ একটি মন্দির। মন্দিরটির নাম সতীদাহ মন্দির। এটি নির্মাণ করেছিলেন বিদ্যাকুটের প্রসিদ্ধ হিন্দু দেওয়ান বাড়ির লোক দেওয়ান রাম মানক। এদেশে হিন্দু সমাজে সতীদাহ প্রথা চালু ছিল। স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর সঙ্গে জীবন্ত দাহ করা হত। কোন কোন ক্ষেত্রে সদ্য বিধবারা স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলপূর্বক দাহ করা হত। জীবন্ত সতী নারীর চিৎকার যেন না শোনা যায় সে জন্য খুব জোরে ঢাক এবং বাদ্য যন্ত্র বাজানো হত। হিন্দু সমাজের এই অমানবিক এবং বীভৎস প্রথা ১৮২৯ সনে লর্ড উইলিয়াম বেনটিংক আইন করে বন্ধ করে দেন। লর্ড বেনটিংক কর্তৃক সতীদাহ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ভারতের অন্যান্য স্থানের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও এ প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ১৮৩৫ সনে রাম মানিকের মাতাকে এই সতীদাহ মন্দিরটিতে সর্বশেষ সতীদাহ বরণ কারিণীর শ্বেতপাথরের একটি নামফলক বসানো ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এটি বিনষ্ট হয়। সহমরন প্রথা বাতিলের পূর্বে বিদ্যাকুট গ্রামের দেওয়ান বাড়ীর ভরতদ্যাজ রায় বর্মন সম্প্রদায়ভূক্ত স্বর্গীয় কীর্ত্তি চন্দ্র রায় বর্মনের স্ত্রী স্বর্গীয় চন্দ্রকলা রায় বর্মন স্বামীর সাথে সহমরন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য উপাত্ত" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ১৩ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯