বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চিঠি, টেলিগ্রাফ, ফ্যাক্স, বেতার, মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট ফোন, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, ওয়াই-ম্যাক্স, ওয়াই-ফাই ইত্যাদি দ্বারা গঠিত।

সরকার এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে প্রণোদনা টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প। একটি জনবহুল দেশ হিসেবে এর বিশাল বাজার অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করেছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

২০২২ জুনে, ৪টি মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ২৫ হাজারের বেশি ম্যালওয়্যার পাওয়া যায় বলে ডেইলি স্টার প্রতিবেদন করে।[১] সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স দল(সিআইআরটি) সাইবার থ্রেট গবেষণা দলের করা হরাইজন স্ক্যানিং রিপোর্টে' এই চিত্র উঠে আসে।

ধরণ সম্পাদনা

ইন্টারনেট সম্পাদনা

৯০ দশকের শেষের দিকে স্থানীয় কিছু পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম (বিবিএস) পদ্ধতিতে ডায়াল-আপ এর সাহায্যে ই-মেইল ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করলেও ৫০০শর অধিক ব্যবহারকারী এই সুবিধা পেত না। অন্যদিকে ব্যবহারকারী কিলোবাইট হিসেবে চার্জ প্রদান সত্ত্বেও তাদের প্রেরিত ই-মেইল স্থানান্তর করা হত আন্তর্জাতিক বিবিএস পরিষেবা প্রদানকারীর সংস্থার ডায়াল-আপ ব্যবহারের মাধ্যমে।

১৯৯৫ সালে অফলাইন ই-মেইল-এর মাধ্যমে প্রথম এদেশে সীমিত আকারে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় - ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত হয় - ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬ সালে দেশে প্রথম ইন্টারনেটের জন্য ভিস্যাট স্থাপন করা হয় এবং আই.এস.এন নামক একটি আইএসপি-র মাধ্যমে অনলাইন ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তৃতি ঘটতে শুরু করে। শুরুতে এই আইএসপি গুলো ছিল শুধু বাংলাদেশ টেলিফোন এন্ড টেলিগ্রাফ বোর্ড-ই সরকারি মালিকানাধীন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের উদারনৈনিক নীতি এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারের কল্যাণে ২০০৫ সাল নাগাদ ১৫০ এর অধিক আইএসপি-র নিবন্ধন দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে সরকারের টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি) এই আইএসপি সমুহ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে। এখানে ১২৪টি জাতীয় পর্যায়ের আইএসপি,[২] ৩৭৭টি বিভাগীয়,[৩] ১৪৪টি জেলা পর্যায়ের,[৪] ২২০৬টি থানা বা উপজেলা পর্যায়ের আইএসপি বিদ্যমান।[৫]

কুরিয়ার সম্পাদনা

বাংলাদেশের কুরিয়ার খাত দৈনিক প্রায় ৭.৫ লক্ষ পণ্য পরিবহন করে। বৃহত্তম কুরিয়ারের মধ্যে আছে সুন্দরবন, এসএ পরিবহন, করতোয়া, রেডএক্স, জননী এক্সপ্রেস।[৬]

চিঠি সম্পাদনা

সংবাদপত্র সম্পাদনা

বেতার সম্পাদনা

টেলিফোন সম্পাদনা


পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর (পিএসটিএন) সম্পাদনা

  • বিটিসিএল
  • র‌্যাংকসটেল
  • ওয়ার্ল্ডটেল
  • বাংলাফোন
  • টেলিবার্তা
  • জালালাবাদ টেলিকম লিমিটেড
  • ওয়ানটেল কমিউনিকেশন লিমিটেড
  • ন্যাশনাল টেলিকম লিমিটেড
  • পিপলস টেলিকম লিমিটেড
  • ওয়েসটেক লিমিটেড
  • ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেড
  • সেবা ফোন লিমিটেড
  • এস এ টেলিকম সিস্টেম লিমিটেড

বাংলাদেশে বর্তমানে (মার্চ, ২০১৫) পিএসটিএন গ্রাহকের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৭১ হাজার।[৭] বাংলাদেশে বর্তমানে (নভেম্বর ২০১৭) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ১ লক্ষ ৬৬ হাজার।[৮]

মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা সম্পাদনা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তথ্য মতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৪টি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা কোম্পানি আছে।[৯]

বাংলাদেশের বর্তমানে (নভেম্বর, ২০১৭) মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৪ কোটি ৩১ লক্ষ ০৬ হাজার। [১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. চৌধুরী, তানজিদ সামাদ (২০২২-০৬-০৩)। "৪ টেলিকম অপারেটরে ৫ লাখের বেশি ম্যালওয়্যার"দ্য ডেইলি স্টার বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৩ 
  2. "হালনাগাদকৃত জাতীয় পর্যায়ের আইএসপির তালিকা[List of Updated Nationwide ISP]" (পিডিএফ) 
  3. "List of Updated Divisional ISP" (পিডিএফ)web.archive.org। Archived from the original on ২০২৩-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৮ 
  4. "List of Updated District ISP" (পিডিএফ)web.archive.org। Archived from the original on ২০২৩-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৮ 
  5. "List of Updated Upazilla/Thana ISP" (পিডিএফ)web.archive.org। Archived from the original on ২০২৩-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৮ 
  6. "Meteoric rise of courier business amid pandemic"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯ 
  7. PSTN Subscribers in Bangladesh March 2015
  8. Internet subscribers in Bangladesh November 2017
  9. "বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন"www.btrc.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. Mobile Phone subscribers in Bangladesh; November, 2017