ফ্রেডরিক মার্টিন

ইংরেজ ক্রিকেটার

ফ্রেডরিক মার্টিন (ইংরেজি: Frederick Martin; জন্ম: ১২ অক্টোবর, ১৮৬১ - মৃত্যু: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯২১) কেন্টের ডার্টফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯০ থেকে ১৮৯২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ফ্রেডরিক মার্টিন
১৮৯৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ফ্রেডরিক মার্টিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামফ্রেডরিক মার্টিন
জন্ম(১৮৬১-১০-১২)১২ অক্টোবর ১৮৬১
ডার্টফোর্ড, কেন্ট, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৩ ডিসেম্বর ১৯২১(1921-12-13) (বয়স ৬০)
ডার্টফোর্ড, কেন্ট, ইংল্যান্ড
ডাকনামনাটি
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭০)
১১ জুলাই ১৮৯০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২২ মার্চ ১৮৯২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮৫–১৮৯৯কেন্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩১৭
রানের সংখ্যা ১৪ ৪,৫৪৫
ব্যাটিং গড় ৭.০০ ১২.১৫
১০০/৫০ ০/০ ০/৮
সর্বোচ্চ রান ১৩ ৯০
বল করেছে ৪১০ ৬৭,৭৯৪
উইকেট ১৪ ১,৩১৭
বোলিং গড় ১০.০৭ ১৭.৩৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ৯৫
ম্যাচে ১০ উইকেট ২৩
সেরা বোলিং ৬/৫০ ৮/৪৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১২০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শুরুরদিকের শীর্ষস্থানীয় বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি স্পিন বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন ‘নাটি’ ডাকনামে পরিচিত ফ্রেডরিক মার্টিন।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৮৯০ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের উভয় ইনিংসে ছয় উইকেট করে মোট বারো উইকেট তুলে নেন।[২] টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অভিষেক টেস্টে দুইবার পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন। তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬/৫০ ও ৬/৫২ পান।

১৮৯১ সালের উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[৩][৪] অস্ট্রেলিয়ায় তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এরফলে শীতে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের নেতৃত্বাধীন দলে ঠাঁই হয়নি তার। ১৮৯৯ সালে কেন্ট একাদশ থেকে স্থানচ্যুত হন। তার পরিবর্তে জনপ্রিয় বোলার কলিন ব্লাইদের অন্তর্ভুক্তি ঘটে।

খেলার ধরন সম্পাদনা

জনি ব্রিগস কিংবা ববি পিলের পেসের ভিন্নতার চেয়ে তার বোলিংয়ের নিখুঁত নিশানা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ছিল। ১৮৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি স্বর্ণশিখরে আরোহণ করেন। এ সময়ে কাউন্টি ক্রিকেটের তার প্রতিপক্ষীয় দলগুলো হিমশিম খেয়ে যেতো। কিন্তু, ১৮৯২ সাল থেকে তার কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। কেবলমাত্র পিচ সহযোগিতা করলেই তিনি সফলকাম হতেন। শুরুর দিকে তার ব্যাটিং অত্যন্ত দূর্বলমানের ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে ব্যাটিংয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য ছিল। ১৮৯৭ সালের নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে নব্বুই রান তুলে নিচেরসারিতে তার প্রতিভার কথা জানান দেন।

পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনের বোলিং গড়
চার্লস ম্যারিয়ট (ইংল্যান্ড)
৮.৭২
ফ্রেডরিক মার্টিন (ইংল্যান্ড)
১০.০৭
জর্জ লোহম্যান (ইংল্যান্ড)
১০.৭৫
লরি ন্যাশ (অস্ট্রেলিয়া)
১২.৬০
জন ফেরিস (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১২.৭০
টম হোরান (অস্ট্রেলিয়া)
১৩.০০
হ্যারি ডিন (ইংল্যান্ড)
১৩.৯০
আলবার্ট ট্রট (অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড)
১৫.০০
মাইক প্রোক্টর (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১৫.০২
জ্যাক আইভারসন (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.২৩
টম কেন্ডল (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৩৫
অ্যালেক হারউড (অস্ট্রেলিয়া)
১৫.৪৫
বিলি বার্নস (ইংল্যান্ড)
১৫.৫৪
জন ট্রিম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৬.১৬
বিলি বেটস (ইংল্যান্ড)
১৬.৪২

তথ্য: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ টেস্ট জীবনে কমপক্ষে ১০ উইকেট।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Frederick Martin's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. "2nd Test: England v Australia at The Oval, August 11–12, 1890"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ 
  3. The 1892 award was subtitled Five Great Bowlers.
  4. Full List on Cricinfo

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা