ফ্রাঙ্ক ফস্টার

ইংরেজ ক্রিকেটার

ফ্রাঙ্ক রোবোথাম ফস্টার (ইংরেজি: Frank Foster; জন্ম: ৩১ জানুয়ারি, ১৮৮৯ - মৃত্যু: ৩ মে, ১৯৫৮) বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন ফ্রাঙ্ক ফস্টার

ফ্রাঙ্ক ফস্টার
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৮৮৯-০১-৩১)৩১ জানুয়ারি ১৮৮৯
বার্মিংহাম, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৩ মে ১৯৫৮(1958-05-03) (বয়স ৬৯)
নর্দাম্পটন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ১৫৯
রানের সংখ্যা ৩৩০ ৬,৫৪৮
ব্যাটিং গড় ২৩.৫৭ ২৬.৬১
১০০/৫০ ০/৩ ৭/৩৫
সর্বোচ্চ রান ৭১ ৩০৫*
বল করেছে ২,৪৪৭ ৩৩,২৯১
উইকেট ৪৫ ৭১৭
বোলিং গড় ২০.৫৭ ২০.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ৫৩
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৯১ ৯/১১৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১১/০ ১২১/০
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১২ মার্চ ২০১৮

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

পশ্চিম মিডল্যান্ডসের সলিহাল স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন ফস্টার। বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন তিনি। বল ছোঁড়ার মুহুর্তে বলকে নিজের ইচ্ছেমতো ঘুরাতে পারতেন। উইজডেন পরবর্তীকালে উল্লেখ করে যে, ভূমিতে বল স্পর্শ করার পর গতিবেগ দ্বিগুণ হয়ে যেতো। লিঙ্কনশায়ারের বংশোদ্ভূত হলেও খ্যাতনামা ওরচেস্টারশায়ারের ফস্টার পরিবারের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না।

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

১৯০৮ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন ফ্রাঙ্ক ফস্টার। পাঁচ খেলায় ২৩ উইকেট পান। এ সময় তিনি বলকে আরও দ্রুতগতিতে ফেলার চেষ্টা চালাতেন। পরের বছর থেকে দলের নিয়মিত সদস্যে পরিণত হন। তবে মাঝামাঝিমানের সফলতা পেলেও প্রথমবারের মতো আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাটিংয়ে নামার চেষ্টা চালান। ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে পারবেন কিনা সন্দেহ দেখা দেয়। কিন্তু ঐ সালে ওয়ারউইকশায়ারের অধিনায়কত্বের প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন।

টেস্ট ক্রিকেট সম্পাদনা

ঘরোয়া ক্রিকেটে অনিন্দ্যসুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার দরুণ ১৯১১-১২ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনীত হন ফ্রাঙ্ক ফস্টার। ১৫ ডিসেম্বর, ১৯১১ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ঘটে ফ্রাঙ্ক ফস্টারের। এ সফরে অস্ট্রেলিয়ার শক্ত পিচে স্বল্প কয়েকজন ইংরেজ বোলারের অন্যতম হিসেবে উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে ২১.৬২ গড়ে ৩২ উইকেট দখল করেন যা ধারনার অতীত ছিল। তন্মধ্যে, অভিষেক টেস্টে সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান।[১] ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে সফলতা না পেলেও গুরুত্বহীন খেলাগুলোয় দুইটিতে সেঞ্চুরি করেন তিনি।

১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত এক টেস্টে ৫/১৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এ বছরেই উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি।[২]

অবসর সম্পাদনা

১৯১৫ সালে দূর্ঘটনার কবলে নিপতিত হন তিনি। এরফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯১৯ সালে ক্রিকেট খেলা চালু হলেও তাকে আর খেলতে দেখা যায়নি। ১৯৩০ সালে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন ফ্রাঙ্ক ফস্টার।

৩ মে, ১৯৫৮ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে নর্দাম্পটনে দেহাবসান ঘটে তার।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "1st Test: Australia v England at Sydney, Dec 15–21, 1911"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 
  2. Full List on Cricinfo, Retrieved 11 July, 2017.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা