প্রাচীন মিশরীয় পরকালতত্ত্ব

প্রাচীন মিশরীয় পরকালতত্ত্ব কেন্দ্রীভূত হয়েছিল মিশরীয় সংস্কৃতির বিবিধ বৈশিষ্ট্যের দ্বারা প্রভাবিত বিভিন্ন ধরনের জটিল আচার-অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এই ক্ষেত্রে ধর্ম ছিল একটি প্রধান উপাদান। কারণ, ধর্ম ছিল এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রথা যা সকল মিশরবাসীকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অনেক মিশরীয় দেবতার উপরই মৃতের আত্মাকে পরলোকে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা আরোপ করা হয়েছিল। লিখনপদ্ধতির বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় ধ্যানধারণা নথিবদ্ধ হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র মিশরীয় সমাজে। এই মতবাদগুলির উৎপত্তি ও দৃঢ়ীভবন ঘটেছিল পরকালতত্ত্ব-সংক্রান্ত রচনাবলি সৃষ্টির মাধ্যমে। এই জাতীয় রচনায় পরলোকযাত্রা নিরাপদ করতে মৃতকে কী কী জানতে হয় তা বিবৃত এবং দৃষ্টান্ত সহযোগে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।

উজির মেরেরুকার সমাধিসৌধের নকল দরজা, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্বিংশ শতাব্দী। এই দরজায় তাঁর কা-র সমাধিসৌধে প্রত্যাবর্তন চিত্রিত হয়েছে।

মিশরীয় ধর্মীয় আদর্শে পরকাল-সংক্রান্ত তিনটি আদর্শের উল্লেখ পাওয়া যায়: প্রেতলোক, চিরন্তন জীবন ও আত্মার পুনর্জন্মে বিশ্বাস। প্রাচীন মিশরে প্রেতলোককে বলা হত দুয়াত। মিশরীয়রা বিশ্বাস করত, দুয়াতের প্রবেশপথ মাত্র একটি এবং শুধুমাত্র মৃতের সমাধিসৌধের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করেই সেখানে পৌঁছানো সম্ভব। কথিত আছে, এই জগতে প্রবেশের পর মৃতের আত্মার সামনে প্রথম যে ছবিটি ফুটে ওঠে সেটি একটি বারান্দার। এই বারান্দার দুই পাশে সারে সারে সাজানো থাকে চিত্তাকর্ষক সব মূর্তি। এই মূর্তিগুলির মধ্যে থাকে বাজপাখির মুণ্ডবিশিষ্ট বিখ্যাত দেবতা হোরাসের মূর্তির রূপভেদও। প্রেতলোকে আত্মাকে নিয়ে যাওয়ার পথ রাজা ও সাধারণ ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সেখানে প্রবেশের পর আত্মাদের উপস্থিত করা হয় অপর এক বিশিষ্ট দেবতা ওসাইরিসের সামনে। তিনি মৃতের আত্মার গুণাবলি নিরূপণ করেন এবং যোগ্যদের শান্তিপূর্ণ পরকাল প্রদান করেন। চিরন্তন জীবন-সংক্রান্ত মিশরীয় ধারণাটিকে প্রায়শই বর্ণনা করা হয় অনির্দিষ্টভাবে পুনর্জন্ম লাভ হিসাবে। সেই জন্য যে সকল আত্মা মার্জিতভাবে জীবনযাপন করেছিলেন, তাঁদের ওসাইরিসের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় পুনর্জন্ম প্রাপ্তির জন্য।[১]

প্রেতলোকে পৌঁছানোর পথ মসৃণ করতে মিশরীয়দের জীবদ্দশায় সঠিক আচরণবিধি অনুসরণ ও মিশরীয় ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন ইত্যাদি কয়েকটি আচার পালন করতে হত। সেই সঙ্গে তারা বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করত মৃত্যু-পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠানগুলির উপরেও। মৃত ব্যক্তি যাতে নির্বিঘ্নে তাঁর ভবিতব্যের সম্মুখীন হতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় আচার পালনের দায়িত্বভার অর্পিত ছিল জীবিতদের উপরেই। মিশরীয়রা মনে করত, জীবিত ও মৃত প্রত্যেকেই ধর্মীয় সদাচারের অনুশীলন এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পালন করলে তবেই মৃত ব্যক্তি সহজে প্রেতলোকে প্রবেশ করতে পারবেন।

অন্ত্যেষ্টি প্রথা সম্পাদনা

মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল, প্রেতলোকের চূড়ান্ত স্তরে প্রবেশ করতে মৃতকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয় এবং সেই লোকে পুনর্জন্ম গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও জ্ঞান মৃত ব্যক্তিকে অর্জন করতে হয় জীবিতদের সাহায্যেই।

সমাধিসৌধ সম্পাদনা

মিশরীয় সমাধিসৌধগুলির নকশা ও আকার-পরিমাণ যুগে যুগে পরিবর্তিত হলেও সেগুলির ব্যবহারিক উদ্দেশ্য একই থেকে যায়। অধিকাংশ সমাধিসৌধই নির্মিত হয়েছিল উদ্দিষ্ট ব্যক্তির জীবদ্দশায়। এগুলি নির্মাণের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র শবাধার সংরক্ষণই ছিল না। মিশরীয়রা বিশ্বাস করত, সমাধিসৌধ মৃতের আত্মাকে প্রেতলোকের পথপ্রদর্শনের কাজও করে। [২] সমাহিত ব্যক্তির পদমর্যাদার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সমাধিসৌধে বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যসামগ্রী রাখা হত। মৃতের আত্মার সুবিধার্থে অধিকাংশ সমাধিসৌধই অলংকৃত হত পরকাল-সংক্রান্ত সাহিত্যের খোদাইকরা চিত্রলিপি দ্বারা।[৩]

পরকাল-সংক্রান্ত সাহিত্য সম্পাদনা

বহু শতাব্দী ধরে মিশরীয়রা তাদের সমাধিসৌধ ও শবাধারগুলি অলংকৃত করে এসেছিল ধর্মীয় মন্ত্র ও সাহিত্যের খোদাইচিত্রলিপি দ্বারা। উদ্দেশ্য ছিল, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে প্রেতলোকে প্রবেশ করতে সাহায্য করা। মিশরীয় সংস্কৃতির বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই সাহিত্যও বিবর্তিত হয়ে অধিকতর জটিল ও বিস্তারিত আকার ধারণ করে।

পিরামিড লিপি সম্পাদনা

 
প্রথম তেতির পিরামিডের অভ্যন্তরস্থ লিপি

পিরামিড লিপি হল মিশরের রাজকীয় পিরামিডগুলির দেওয়ালে খোদিত প্রথম মন্ত্রাবলি। পুরনো রাজ্যের যুগ থেকে মিশরের ফ্যারাওরা তাঁদের সমাধিসৌধের দেওয়াল সজ্জিত করতে এই লিপিগুলি ব্যবহার করতে। প্রথম দিকে এই লিপিগুলি শুধু ফ্যারাওদের সমাধির বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকলেও, কিছুকাল পরে মিশরীয় রানি ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীরাও তাঁদের সমাধিগাত্রে এই সব লিপির ব্যবহার শুরু করেন। লিপিগুলির উদ্দেশ্য ছিল ফ্যারাওর প্রেতলোক যাত্রা সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করা। মৃত ব্যক্তিকে কোন পথ দিয়ে যেতে হবে এবং কী কী বিপদের সম্মুখীন হতে হবে তার বিস্তারিত বিবরণ থাকত এই লিপিগুলিতে।[৪]

শবাধার লিপি সম্পাদনা

মধ্য রাজ্যের যুগ থেকে পিরামিড লিপির পরিবর্তে শবাধার লিপি চালু হয়। মৃতের শবাধারের গায়ে খোদিত মন্ত্রাবলিকেই বলা হয় শবাধার লিপি। মিশরীয়রা মনে করত, এই মন্ত্রগুলি মৃতের আত্মাকে পরকালে রক্ষা করবে এবং তাঁকে তাঁর যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় রূপান্তরণ জাদুর জোগান দেবে। শবাধার লিপিগুলি সাধারণভাবে অধিকতর সুলভ ছিল। মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল, এই লিপিগুলি মিশরের সাধারণ মানুষের সামনে বাঞ্ছিত পরকালের পথ সুগম করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই পথের বই নামে পরিচিত শবাধার লিপি সংগ্রহটিই ছিল পরকাল-সংক্রান্ত আদিতম সারগ্রন্থ।[৫]

মৃতের বই সম্পাদনা

মৃতের বই একটি বিস্তারিত মন্ত্র-সংকলন। পিরামিড লিপি ও শবাধার লিপির উপাদানগুলিও এতে সংযোজিত হয়েছে। নতুন রাজ্যের যুগে সাধারণত প্যাপিরাসে মৃতের বই নথিবদ্ধ হয়। যদিও সমাধিসৌধের দেওয়ালগাত্রে, শবাধারে ও মমির মোড়কেও এই বইয়ের মন্ত্রগুলি লিপিবদ্ধ হত। শবাধার লিপির মতো মৃতের বইয়ে বর্ণিত মন্ত্রগুলিও সর্বসাধারণের ব্যবহারার্থে লিখিত হয়। মিশরীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই মন্ত্রগুলির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির আত্মা পাতাললোকে যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সুরক্ষা ও জ্ঞান প্রদান করা হত।[৬]

পাতাললোকের গ্রন্থাবলি সম্পাদনা

 
আমদুয়াত গ্রন্থে বর্ণিত একাদশ ঘণ্টা

পাতাললোকের গ্রন্থাবলির মধ্যে একাধিক বই অন্তর্ভুক্ত। এগুলি মৃত ব্যক্তির আত্মাকে প্রেতলোকের বিবরণ দিত এবং তাঁদের চূড়ান্ত যাত্রাপথে সহায়িকা গ্রন্থের কাজ করত। প্রেতলোকের যাত্রী মৃত ব্যক্তিকে প্রায়শই রা-র পুনর্জন্ম চক্র অনুকরণকারী মনে করা হত। সেই জন্য এই গ্রন্থাবলিতে প্রাথমিক গুরুত্ব আরোপ করা হত সূর্য দেবতার দ্বিতীয়ার্ধের যাত্রার উপর, যা মৃত ব্যক্তিকে রাত্রিকালে প্রেতলোকের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়। পাতাললোকের গ্রন্থাবলির অন্তর্গত বইগুলির অন্যতম আমদুয়াতদ্বারসমূহের গ্রন্থাবলি। এই গ্রন্থাবলির আখ্যানবস্তু বারোটি খণ্ডে বিভক্ত, যা পাতালে সূর্যের অতিবাহিত বারো ঘণ্টার প্রতীক। গুহাসমূহের গ্রন্থাবলিপৃথিবীর বইয়ের মতো পরবর্তীকালীন বইগুলিতে আখ্যানবস্তু উপস্থাপনার জন্য অধিকতর গোষ্ঠীপরতন্ত্রতা প্রকাশ পায়। এই সকল বইতেই পাতাললোকের জটিল চিত্র পাওয়া যায়, যা প্রায়শই শবাধারের গায়ে ও সমাধিকক্ষের দেওয়ালে ধাতব পাতে সূচ ও অ্যাসিডের ব্যবহারে অঙ্কিত হত।[৭]

আকাশের গ্রন্থাবলি সম্পাদনা

আকাশের গ্রন্থাবলি রচিত হয়েছিল পরকাল-সংক্রান্ত তিনটি বই নিয়ে। যথা: নুতের বই, দিনের বই ও রাতের বই। সমাধিসৌধের সিলিং-এ খোদিত এই গ্রন্থগুলি মিশরীয় পরলোকে দেবী নুতের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করত।[৮]

শবাধার সম্পাদনা

মিশরীয় সংস্কৃতিতে শবাধারের ব্যবহার পুরনো রাজ্যের যুগ থেকে চলে আসছে। সেই যুগে শবাধারগুলি ছিল তুলনামূলকভাবে অনাড়ম্বর; সামান্য বিবরণ-সংবলিত সমভূজ আধার। এই ধরনের শবাধারে তিনটি খোলা জায়গা থাকত। একটি কা-র যাতায়াতের উদ্দেশ্যে নির্মিত হত এবং অপর দু’টি ছিল দুই চোখের প্রতীক। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শবাধার ও সেগুলির গড়নের বিবর্তন ঘটে। নতুন রাজ্যের সময়কালে শবাধার শুধু অধিকতর জনপ্রিয়ই হয়ে ওঠেনি, বরং সেগুলি বিক্রির জন্য বিতরণও করা হত। শবাধারগুলিকে একটি বিশেষ আকার দেওয়ার মাধ্যমে মৃতের দেহের প্রতীক হিসাবে উপস্থাপনা করা হত এবং সেগুলির মধ্যে সমাহিত ব্যক্তির সঙ্গে সাজুয্য রেখে সজ্জিত করা হত।[৯] মৃত ব্যক্তিকে প্রায়শই সাদা পোষাকে চিত্রিত করা হত, যা মাতের সভাকক্ষে বিচারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর আত্মার পবিত্রতার প্রতীক ছিল।[১০] সেই সঙ্গে মৃতদেহের দিকনির্দেশনাও প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আদি যুগে মৃতদেহগুলিকে নিঁখুত ভঙ্গিতে মুখটি দক্ষিণ দিকে রেখে শোয়ানো হত। পরবর্তীকালে দেহগুলিকে শোয়ানো হত চিৎ করে এবং উত্তর দিক হয়ে দাঁড়ায় মৃতের মাথাটি রাখার ক্ষেত্রে অধিকতর অনুকূল দিক।[১১]

মমিকরণ সম্পাদনা

 
মিশরীয় মমি

প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত যে, পরলোকে পুনর্জীবন লাভের জন্য মৃতদেহ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা বিশেষ জরুরি। সেই জন্যই তারা মমিকরণের প্রথাটিকে গ্রহণ করে।[১২] প্রথম দিকে মিশরীয়েরা মনে করত, রা-এর মতো তাদের পার্থিব দেহ বা "খাত"ও পরলোকে যাত্রা সম্পূর্ণ করার পর পুনরুজ্জীবিত হয়।[১৩] মিশরীয়েরা যখন দেখল যে মৃতদেহে শেষে পচন ধরে যায়, তখন তারা মৃতের দেহাবশেষকে মৃতের আত্মার আধার হিসাবে দেখতে শুরু করল। তারপর থেকে মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদ করে অভ্যন্তরভাগ শূন্য করা এবং মৃতদেহটি সুরক্ষিত রাখতে সেটিকে কাপড়ের পট্টিতে জড়ানোর প্রথা চালু হয়। এর কারণ হিসাবে মিশরীয়েরা মনে করত, আত্মা দেহে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।[১৪]

অন্ত্যেষ্টিকালীন দ্রব্যসামগ্রী উৎসর্গ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mojsov, Bojana (২০০১)। "The Ancient Egyptian Underworld in the Tomb of Sety I: Sacred Books of Eternal Life"The Massachusetts Review42 (4): 489–506। জেস্টোর 25091798 
  2. Morenz, Siegfried (১৯৬০)। Egyptian Religion। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 194–201। 
  3. Amenta, Alessia (২০০২)। "The Egyptian Tomb as a House of Life for the Afterlife"Egyptological Essays on State and Society: 18–26। 
  4. Hornung, Erik (১৯৯৯)। The Ancient Egyptian Books of the Afterlife। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 1–6। 
  5. Hornung, Erik (১৯৯৯)। The Ancient Egyptian Books of the Afterlife। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 7–11। 
  6. Hornung, Erik (১৯৯৯)। The Ancient Egyptian Books of the Afterlife। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 13–22। 
  7. Hornung, Erik (১৯৯৯)। The Ancient Egyptian Books of the Afterlife। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 26–111। 
  8. Hornung, Erik (১৯৯৯)। The Ancient Egyptian Books of the Afterlife। Ithaca, New York: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 112–135। 
  9. "Artifacts: Mummy Cases, Coffins, and Sarcophagi, Mummification, Online Exhibits, Exhibits, Spurlock Museum, U of I"www.spurlock.illinois.edu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-৩০ 
  10. Cooney, Kathlyn M. (২০১০)। "GENDER TRANSFORMATION IN DEATH: A Case Study of Coffins from Ramesside Period Egypt"। Near Eastern Archaeology73 (4): 230। জেস্টোর 41103940 
  11. Raven, Maarten J. (২০০৫)। "Egyptian Concepts on the Orientation of the Human Body"। The Journal of Egyptian Archaeology91: 37–53। জেস্টোর 3822392ডিওআই:10.1177/030751330509100103 
  12. Budge, Wallis। Egyptian Religion: Egyptian Ideas of the Future Life। New York: Bell Publishing Company। পৃষ্ঠা 188–189। 
  13. Budge, Wallis। Egyptian Religion: Egyptian Ideas of the Future Life। New York: Bell Publishing Company। পৃষ্ঠা 194। 
  14. Budge, Wallis। Egyptian Religion: Egyptian Ideas of the Future Life। New York: Bell Publishing Company। পৃষ্ঠা 188–200।