প্যাট্রিক ডি’রোজারিও

প্যাট্রিক ডি’রোজারিও ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সাবেক আর্চবিশপ এবং ক্যাথলিক গির্জার একজন কার্ডিনাল।[১] পোপ ফ্রান্সিস ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর তাকে কার্ডিনাল হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনি এবং বিশপীয় খ্রীস্টীয় শিক্ষা বিষয়ক কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]

মহামহিম
পাত্রিক দি’রোসারিও
সিএসসি
কার্দিনাল
ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ এমেরিতুস
গির্জারোমীয় কাথোলিক মণ্ডলী
প্রধান ধর্মযাজকঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ
স্থাপিত২২ অক্টোবর ২০১১
মেয়াদ শেষ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
পূর্ববর্তীপৌলিনুস কস্তা
অন্যান্য পদনস্ত্রা সিনিয়রা দেল সান্তিসিমো সাক্রামেন্তো এ সান্তি মার্তিনি কানাদেসির কার্দিনাল-যাজক (২০১৬–)
আদেশ
বিন্যাস৮ অক্টোবর ১৯৭২
পবিত্রকরণ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯০
থেয়োতোনিউস গোমেস দ্বারা
নির্মিত কার্ডিনাল১৯ নভেম্বর ২০১৬
পোপ ফ্রান্সিস দ্বারা
মর্যাদাক্রমকার্দিনাল-পাদ্রি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম নামপাত্রিক দি’রোসারিও
জন্ম (1943-10-01) ১ অক্টোবর ১৯৪৩ (বয়স ৮০)
পাদ্রিশিবপুর, বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশি
গোষ্ঠীনামখ্রীষ্টধর্ম
পূর্ববর্তী পদরাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ (১৯৯০–১৯৯৫)
চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের বিশপ (১৯৯৫–২০১০)
ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী আর্চবিশপ (২০১০–২০১১)
নীতিবাক্য“আলাপনে আনন্দ”
পাত্রিক দি’রোসারিও
সিএসসি

এর রীতি
উদ্ধৃতিকরণের রীতিতাঁর সহত্ত্ব
কথ্যরীতিআপনার সহত্ত্ব
ধর্মীয় রীতিকার্দিনাল

ব্যক্তিজীবন সম্পাদনা

তিনি ১ অক্টোবর ১৯৪৩ সালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রি শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা মাইকেল ডি’রোজারিও ছিলেন কৃষিজীবী। আর, মা ডিস্পিনা ডি’রোজারিও ছিলেন গৃহিণী। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে ছোট।[৪]

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

প্যাট্রিক ডি’রোজারিও ১৯৬১ সালে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর, ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তারপর, সেখানেই বিএ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) অধ্যায়ন করে করাচির সবজিমণ্ডির ‘খ্রাইস্ট দ্য কিং’ সেমিনারিতে যান ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করতে। কিন্তু, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন।[৪] ১৯৭২ সালে পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের আওতায় পুরোহিত হিসেবে অভিষিক্ত হন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ফাদার প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সহকারী ও পাল-পুরোহিত হিসেবে দীঘ দিন বিভিন্ন ধর্ম-পল্লীতে পালকীয় সেবা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সেমিনারীতে যেখানে পুরোহিতপ্রাথীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২য় ভ্যাটিকান মহা সভার দলিল বাংলায় অনুবাদ ও সম্পাদনার কাজ করেন। পুরোহিত পদ থেকে তার পদন্নোতি হয়ে তিনি রাজশাহীর বিশপ হিসেবে নিযুক্ত হন ১৯৯০ সালে। সেই দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ সাল পযন্ত। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রাম ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১১ সাল পর্যন্ত।[৫] তৎকালিন ক্যথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাকে বাংলাদেশের আর্চবিশপ হিসেবে মনোনিত করেন। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার আর্চবিশপ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের কাছ থেকে পলিউম সম্মানা লাভ করেন ২০১১ সালে।[৬] এটি ক্যাথলিক যাজকদের একটি সর্বোচ্চ সম্মাননা। ৯ অক্টোবর ২০১৬ পোপ ফ্রান্সিস ১৭জন কাথলিক ধর্ম যাজককে কার্ডিনাল হিসেবে নিয়োগ দেন। এই সময় বাংলাদেশ থেকে আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি’রোজারিওকে কার্ডিনাল হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। তিনিই প্রথম বাঙালি কার্ডিনাল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cheney, David। "Archbishop Patrick D'Rozario, C.S.C."। Catholic-Hierarchy। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১১  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "bio" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. Coadjutor Archbishop Patrick D'Rozario, CSC, Becomes the Archbishop of Dhaka, প্রকাশিত হয়েছে ২৫শে অক্টোবর, ২০১১।
  3. "প্রথম বাঙালী কার্ডিনাল হলেন ঢাকার আর্চবিশপ"বিবিসি। ১০ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৭ 
  4. "তুমি তো আছই"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৮ 
  5. নতুন আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], প্রথম আলো, তারিখ: ২৭-১১-২০১০।
  6. - Resignation of Archbishop of Dhaka and succession, প্রকাশিত হয়েছে ২২ অক্টোবর ২০১১।
[১]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

ক্যাথলিক চার্চ উপাধি
পূর্বসূরী
পৌলিনুস কস্তা
ঢাকার আর্চবিশপ
২০১১ – বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি
পূর্বসূরী
যোযাকিম রোজারিও
চট্টগ্রামের বিশপ
১৯৯৫ – ২০১০
উত্তরসূরী
মজেস কস্তা
নতুন পদবী রাজশাহীর বিশপ
১৯৯০ – ১৯৯৫
উত্তরসূরী
পৌলিনুস কস্তা