পেব্যাক (১৯৯৯-এর চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

পেব্যাক, ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান ক্রাইম-থ্রিলার চলচ্চিত্র।[২] ছবিটি পরিচালনা করেছেন ব্রেইন হেগিল্যান্ড ও এতে অভিনয় করেছেন মিল গিবসন। এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে রোনাল্ড ই. ওয়েস্টলেক লিখিত দ্য হান্টার উপন্যাস থেকে।[৩]

পেব্যাক
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকব্রেইন হেলগিল্যান্ড
পাউর আবাস্কা
প্রযোজকব্রুস ডেবে
চিত্রনাট্যকারব্রেইন হেলগিল্যান্ড
টেরি হাইস
উৎসডুনাল্ড ই. ওয়েস্টলেক (under pseudonym Richard Stark) কর্তৃক 
the novel
দ্য হান্টার
শ্রেষ্ঠাংশেমিল গিবসন
গ্রেগ হেনরি
মারিয়া বেল্লু
ডেভিড পেমার
বিল ডিউক
লুসি
জন গ্লোভার
উইলিয়াম ডেভানি
ডেভুরা কারা আঙ্গার
জেক কনলে
ক্রিস ক্রিস্টোফারসন
সুরকারক্রিস বোর্ডম্যান
মো জ্যাফি
চিত্রগ্রাহকএরিকসন কোর
সম্পাদককেভিন স্টিট
পরিবেশকপ্যারামাউন্ট পিকচার্স
ওয়ার্নার ব্রোস
মুক্তি
  • ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ (1999-02-05)
স্থিতিকাল১০০ মিনিট
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৯০ মিলিয়ন
আয়$১৬১,৬২৬,১২১[১]

কাহিনী সম্পাদনা

গুলিবিদ্ধ একজন লোকের শরীর থেকে একজন ডাক্তার গুলি বের করছে। পোর্টার ও ভেল রেজনিক পেশাদার ডাকাত।তারা দুজন মিলে একদল চীনার কাছ থেকে ১৩০,০০০ ডলার ডাকাতি করে। ফেরার সময় পোর্টারের স্ত্রীর গাড়িতে করে তারা পালিয়ে আসে। টাকা ভাগাভাগির সময় পোর্টারের স্ত্রী পোর্টারকে গুলি করে কারণ রেজনিক পোর্টারের স্ত্রীকে পোর্টারের সাথে রজি নামে একজন পতিতার সম্পর্কের প্রমাণ স্বরুপ একটি ছবি দেখায়।

সুস্থ হয়ে পোর্টার অন্য লোকের কাছ থেকে পকেট মেরে কিছু টাকা নিয়ে তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে এবং তার স্ত্রীর ফ্ল্যাটের সামনে হাজির হয়। তার স্ত্রী হেরোইনে আসক্ত হয়ে মাতাল অবস্থায় ঘরে ফেরে এবং তখন পোর্টার তার স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। সকালে এক লোক তার স্ত্রীর কাছে হেরোইন দিতে আসলে পোর্টার তাকে মারধর করে ভেল রেজনিকের কথা জানতে চায় কিন্তু লোকটি তাকে আর্থার স্টেগম্যান নামে এক হেরোইন ডিলারের নাম বলে যে রেজনিকের ঠিকানা জানে। পোর্টার, স্টেগম্যাকে ভেল রেজনিকের কাছে তার টাকা পাওনার কথা বলতে বলে। স্টেগম্যান রেজনিকের সাথে দেখা করে পোর্টার সর্ম্পকে বলে।

এদিকে পোর্টার রোজির খোঁজ করতে এক পতিতার সাথে দেখা করে এবং সেখান থেকে জানতে পারে রজি রিগাল হোটেলে আছে। হোটেলে গিয়ে পোর্টার রেজনিকের কথা জানতে চাইলে রজি তকে রেজনিকের তথ্য দেয় ও পোর্টার রেজনিকের হোটেল রুমে হাজির হয়। কিন্তু রেজনিক তাকে জানায় তার টাকা সে কার্টার নামে এক মাফিয়া সিন্ডিকেটের নেতার কাছে দিয়েছে। তারপর কার্টারের লোক ও রেজনিক মিলে পোর্টারকে খুন করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ভেল রেজনিককে খুন করে তার কাছ থেকে কার্টার ও ফায়ারফক্স নামে দুজনের নাম ঠিকানা জানতে পারে এবং পোর্টার কার্টারের অফিসে গিয়ে হাজির হয় এবং তার টাকা ফেরত দিতে বলে। কিন্তু কার্টার তাকে আরো উচ্চপদস্থ একজনের কথা জানায় শুধুমাত্র সেই লোকই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

পোর্টার কার্টারের দিকে বন্দুক তাক করে সেই লোককে ফোন করতে বলে ও ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে কার্টার জানতে পারে সেই লোকটির নাম ব্রনসন ও তার ছেলের কথা। কিন্তু ব্রনসন পোর্টারের কথা বিশ্বাশ না করায় পোর্টার কার্টারকে খুন করে। তারপর ফায়ারফক্সেকে দিয়েও ব্রনসনরক ফোন করায় ও তার টাকা ফেরত চায়। এর আগে সে ব্রনসনের ছেলেকে রজির সহয়তায় অপহরণ করে। শেষ পর্যায়ে পোর্টার ধরা পরে ও ব্রনসন পোর্টারকে নিয়ে তার ছেলেকে উদ্ধার করতে যায় কিন্তু পের্টারের ফাঁদে পা দিয়ে ব্রনসন সহ তার সঙ্গীরা একটি হোটেল কক্ষে বোমা বিষ্ফোরনে মারা যায়। অবশেষে ব্রনসনের ছেলেকে একটি হোটেল কক্ষে হাত বেধে রেখে পোর্টার ও রজি গাড়ি করে চলে যায়।

শ্রেষ্ঠাংশে সম্পাদনা

  • মিল গিবসন – পোর্টার হিসেবে
  • গ্রেগ হেনরি – ভেল রেজনিক
  • মারিয়া বেল্লু – রজি
  • ডেভিড পেমার – স্টেগম্যান
  • উইলিয়াম দেভান – কার্টার
  • ক্রিস ক্রিসটোফারসন – ব্রনসন
  • মাইকেল এসফোর্ত – মাইকেল (বারটেন্ডার)
  • বিল ডিউক – গোয়েন্দা হিকস
  • লোসি এলেক্সসিস - র্পাল

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Payback (1999)"Box Office Mojo। Internet Movie Database। 
  2. ""Payback" Blu-ray review" 
  3. Abel, Glenn (এপ্রিল ১৬, ২০০৭)। "Mel Gibson's lost kick-ass film"DVD Spin Doctor। জুলাই ১৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা