পুবুদু দাসানায়াকে

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

পুবুদু বাথিয়া দাসানায়াকে (সিংহলি: පුබුදු දසනායක; জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৭০) ক্যান্ডিতে জন্মগ্রহণকারী প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধ্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-কিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পুবুদু দাসানায়াকে। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। এর পূর্বে নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।[১]

পুবুদু দাসানায়াকে
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1970-07-11) ১১ জুলাই ১৯৭০ (বয়স ৫৩)
ক্যান্ডি, মধ্যপ্রদেশ, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
ভূমিকাউইকেট-কিপার, ব্যাটসম্যান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ১৬
রানের সংখ্যা ১৯৬ ৮৫
ব্যাটিং গড় ১৩.০৬ ১০.৬২
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ৩৬ ২০*
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/৫ ৯/৪
উৎস: ক্রিকইনফো, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৯৩ সালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে উইকেট-কিপার হিসেবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। কিন্তু উইকেটের পিছনে তিনি তেমন দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেননি। ব্যাটিংয়েও তিনি মাত্র ৭ রান তোলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলারদের মোকাবেলার লক্ষ্যে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করে উপরের দিকে আনা হয়। সাহসী চিত্তে বল মোকাবেলা করলেও তিনি মাত্র ৮ রান করতে সক্ষম হন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দলের প্রধান পছন্দের উইকেট-কিপার হিসেবে থাকলেও নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক তার ব্যাটিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফলে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে তাকে বাদ দেয়া হয়।

শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা এ দলের পক্ষে খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে আসেন দাসানায়াকে। এরপর তিনি কানাডার পক্ষে আইসিসি ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেন। ব্যাটিংয়ে ১৫.২০ গড়ে ৫ ক্যাচ ও ৩ স্ট্যাম্পিংসহ আটটি ডিসমিসালের সাথে নিজেকে জড়িত রাখেন।

কোচ সম্পাদনা

জুন, ২০০৭ সাল থেকে সাময়িকভাবে কোচের দায়িত্বে থাকার পর ২৯ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে কানাডা ক্রিকেট দলের জন্য তাকে স্থায়ীভাবে কোচ মনোনীত করা হয়। তিনি অ্যান্ডি পিকের স্থলাভিষিক্ত হন। ৪ বছর তিনি এ দায়িত্বে থাকেন। তার দক্ষ পরিচালনায় কানাডা দল ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় যা কানাডার ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ। বিশ্বকাপের পর দাসানায়াকে ক্রিকেট কানাডার সাথে চুক্তি নবায়ণ করেননি।

তথ্যসূ্ত্র সম্পাদনা

  1. "Cricket coach Dassanayake's term extended by a year Govt to look after coach's expenses"। The Kathmandu Post। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা