পিপার স্প্রে (Pepper spray) যা ওসি স্প্রে (ওলিওরেসিন ক্যাপসিয়াম), ওসি গ্যাস এবং ক্যাপসিয়াম স্প্রে নামেও পরিচিত। ইহা একটি রাসায়নিক যৌগ যা চোখের প্রদাহ ঘটায় ফলশ্রুতিতে অশ্রু, ব্যথা এমনকি সাময়িক অন্ধত্ব ঘটতে পারে। নর্থ ক্যারোলাইনা মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসি স্প্রে বা পিপার স্প্রেতে পানি, অ্যালকোহল, কার্বনডাইঅক্সাইড, হ্যালোজেনেটেড হাইড্রোকার্বন (ফ্রেয়ন, টেট্রাক্লোরোথাইলিন, মিথাইলিন ক্লোরাইড) রাসায়ানিকও ব্যবহার করা হয়। এসব রাসায়নিকের প্রভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত হয়ে আক্রান্তের আকস্মিক মৃত্যুও হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।[১]

পিপার স্প্রে প্রদান

সাধারনত কুকুরভালুক জাতীয় হিংস্র জীবে কাছ থেকে আত্মরক্ষার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।[২][৩] তবে পুলিশ দাঙ্গা ও আন্দোলন রোধে এই স্প্রে ব্যবহার করে থাকে। এই গ্যাসের জ্বালানোর ক্ষমতা চোখ বন্ধ করতে এবং দৃষ্টি শক্তি হ্রাসের কারণ হয়। এই সাময়িক অন্ধত্ব কর্মকর্তাদের তাদের লক্ষ্যকে পরাস্ত করতে সহায়তা করে অথবা আত্মরক্ষার জন্য ব্যক্তিকে পালাতে সুযোগ করে দেয়। যদিও সংখ্যায় অনেক কম তাথাপি পিপার স্প্রে করার ফলে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ায়।[৪]

সাধারণ প্রতিক্রিয়া হিসেবে পিপার স্প্রে বা ওলেওরেসিন ক্যাপসিকাম (ওসি) গ্যাস লাগার সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ হয়ে যায়, চোখ ভীষণ জ্বালা করে, শ্বাসকষ্ট আর কাশি হয়- যার প্রভাব আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। কখনো কখনো এর প্রভাব কয়েক ঘণ্টা থাকে।

জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ অপথালমোলজি অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল সায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওসি গ্যাস একবার চোখে গেলে ক্ষতি হয় না। তবে বারবার লাগলে চোখের কর্নিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।[৫] এছাড়া এটি হৃদযন্ত্র, রক্ত প্রবাহ, ফুসফুস, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ সংহারের কারণ হতে পারে । আশির দশকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিজের পুলিশ বাহিনী প্রথম এই সপ্রে ব্যবহার করে, যা মূলত জার্মান পুলিশের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://www.ncmedicaljournal.com/
  2. "Bear Spray Vs. Dogs: How Effective Is It?". Tbotech.com. 2009-07-04. Retrieved 2011-12-02.
  3. "Pepper Spray" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুন ২০১৫ তারিখে. Llrmi.com. Retrieved 2011-12-02.
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ 
  5. http://www.iovs.org//

www.iovs.org/ http://www.ncmedicaljournal.com/

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা