পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। [১] একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। ডিসেম্বর ২০০৮ অনুযায়ী, ৬০ টি দেশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট প্রচলন করেছে,[২] এবং এপ্রিল ২০১৭ অনুযায়ী এই সংখ্যা ৯৬। পুর্বে জারি করা একটি পাসপোর্ট সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বৈধ থাকে।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
প্রথম জাপানি পাসপোর্ট, ১৮৬৬ সালে জারি করা হয়েছিলো।

আনুমানিক ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দে হিব্রু বাইবেলের নেহেমিয়া ২ঃ৭-৯ তে পাসপোর্টের অনুরূপ কাগজের নথির উল্লেখ পাওয়া যায়, যা গোড়ার দিকের জানা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মধ্যযুগীয় ইসলামিক খেলাফতের সময়, শুল্ক প্রদানের রসিদ ছিল এক ধরনের পাসপোর্ট। যারা যাকাত (মুসলিমদের জন্য) ও জিজিয়া কর (জিম্মিদের জন্য) প্রদান করতো, শুধু সেই সমস্ত মানুষ খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারতো। এইভাবে শুল্ক প্রদানের রসিদ ভ্রমণকারীদের জন্য পাসপোর্টের অনুরূপ ছিল।[৩]

ই পাসপোর্ট সম্পাদনা

বর্তমানে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ই পাসপোর্ট এর ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cane, P & Conaghan, J (২০০৮)। The New Oxford Companion to Law। London: Oxford University Press। আইএসবিএন 9780199290543 
  2. "Over 60+ countries now issuing ePassports - FindBiometrics"FindBiometrics (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১২-৩০। ২০১৭-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৫ 
  3. Frank, Daniel (১৯৯৫)। The Jews of Medieval Islam: Community, Society, and IdentityBrill Publishers। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 90-04-10404-6 

আরও দেখুন সম্পাদনা