নেট নিরপেক্ষতা এই নীতিটি প্রসার করে যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা যারা ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা ব্যবহারকারী, কন্টেন্ট, ওয়েবসাইট, প্রচারের মাধ্যম, অ্যাপ্লিকেশন, যেকোনো সংযুক্ত সরঞ্জামের ধরন তথা যোগাযোগের মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে যেন পক্ষপাত না করেন ও ইন্টারনেটে লভ্য সমস্ত ডাটার সাথে সমানভাবে চর্চা করে। ২০০৩ সালে সার্বজনীন বাহক বলে একটি দীর্ঘ স্থায়ী ধারণার সংযোজন হিসাবে (যেটি টেলিফোন সিস্টেমের ভূমিকা বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকতো) কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক টিম ঊ নেট নিরপেক্ষতা-নামটির সৃষ্টি করেন।[১][২][৩][৪] নেট নিরপেক্ষতা নীতি লঙ্ঘনের একটি বহুল উদ্ধৃত উদাহরণ যখন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কমকাস্ট নকল প্যাকেট ব্যবহার করে[৫] গোপনে পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং (P২P) অ্যাপ্লিকেশন থেকে আপলোডগুলির বিলম্বকরণ (কথ্য ভাষায় যাকে বলা হয়ঃ "রোধ") করে। গবেষণা বলছে যে, নীতি যন্ত্রের একটি সংমিশ্রণ হচ্ছে গিয়ে নেটওয়ার্কের নিরপেক্ষতার বিতর্কে দরকারী মূল্যবান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিসীমাকে বুঝতে সাহায্য করবে।[৬] শক্তিশালী জনমতের সাথে সংযুক্ত, এটি পৃথিবীর কয়েকটি দেশের সরকারদের বিভিন্ন সাধারণ জন-উপযোগগুলির মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা কে নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য করেছে; ঠিক যেভাবে পথ, বিদ্যুৎ, ইন্ধন ও জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত।[৭]

নেট নিরপেক্ষতার প্ৰতীক

সংজ্ঞা এবং সম্পর্কিত নীতি সম্পাদনা

ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা সম্পাদনা

নেটওয়ার্ক নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সমস্ত ইন্টারনেট ট্রাফিকের সাথে সমান সমান আচরণ করা হবে। ইন্টারনেট ট্রাফিক বিভিন্ন বার্তাসমূহ, ফাইল এবং তথ্য (যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানো হয়); উদাহরণস্বরূপ ইমেইল, ডিজিটাল অডিও ফাইল, ডিজিটাল ভিডিও ফাইল ইত্যাদি সুদ্ধ গঠিত। কলম্বিয়া আইন স্কুলের অধ্যাপক টিম ঊ অনুযায়ী, নেট নিরপেক্ষতা কে ব্যাখ্যা করার উত্তম পদ্ধতি হলো একটি সর্বসাধারণ তথ্য নেটওয়ার্ক সবচাইতে বেশি উপযোগী তখনই হবে যখন সমস্ত লভ্য কন্টেন্ট, ওযেবসাইট ও প্রচারের মাধ্যমের সাথে (যেমনঃ মোবাইল ডিভাইস, ভিডিও গেম কন্সোল) সমানরূপে আচরণ করা হবে। কারিগরি ও পরিষেবা ভিত্তিক নেটওয়ার্ক নিরপেক্ষতার আরো খানিকটা বিশদ প্রস্তাবিত সংজ্ঞা উত্থাপিত করে যে পরিষেবা ভিত্তিক নেটওয়ার্ক নিরপেক্ষতা তেমন একটি দৃষ্টান্তে আনুগত্য যেটিতে, একটি নির্দিষ্ট স্তরের ক্রিয়াপ্রণালী সেই নির্দিষ্ট স্তরে ভাষান্তরিত করা তথ্য ব্যতীত অন্য কোনো তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়না ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Tim Wu (২০০৩)। "Network Neutrality, Broadband Discrimination" (পিডিএফ)। Journal on telecom and high tech law। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৪ 
  2. Krämer, J; Wiewiorra, L. & Weinhardt,C. (2013): "Net Neutrality: A progress report" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে. Telecommunications Policy 37(9), 794–813.
  3. Berners-Lee, Tim (২১ জুন ২০০৬)। "Net Neutrality: This is serious"timbl's blog। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  4. Staff। "A Guide to Net Neutrality for Google Users"Google। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  5. Peter Svensson (১৯ অক্টোবর ২০০৭)। "Comcast Blocks some Subscriber Internet Traffic, AP Testing shows"। Associated Press। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০০৯ 
  6. Bauer, Johannes; Obar, Jonathan A. (২০১৪)। "Reconciling political and economic goals in the net neutrality debate"। Information Policy30 (1): 1–19। 
  7. "F.C.C. Approves Net Neutrality Rules, Classifying Broadband Internet Service as a Utility"The New York Times। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। 
  প্রযুক্তি বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি এটি সম্পাদনা করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।