নূরুল আবেদীন নোবেল

বাংলাদেশী ক্রিকেটার

নূরুল আবেদীন (জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৪) চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সময়কালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন নোবেল ডাকনামে পরিচিত নূরুল আবেদীন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।

নূরুল আবেদীন
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1964-09-07) ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা -
রানের সংখ্যা - ১৫
ব্যাটিং গড় - ৩.৭৫
১০০/৫০ - -/-
সর্বোচ্চ রান - ১৩
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- -/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঊষালগ্নে অংশগ্রহণকারী অন্যতম ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু’র বড় ভাই তিনি। ’৮০ ও ’৯০-এর দশকে ঢাকার ক্রিকেট লীগে ভ্রাতৃদ্বয় দূর্দাণ্ড প্রতাপে খেলেছেন। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে তিনি নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি। তিনি তাঁর ভাইয়ের ন্যায় স্বভাবজাত খেলোয়াড়ের মর্যাদা পাননি। প্রায়শঃই তাঁকে দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হতে হতো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু'র নেতৃত্বে এশিয়া কাপে ৩১ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে।[২] মোরাতুয়ার টাইরোন ফার্নান্দো স্টেডিয়ামে ‘জন প্লেয়ার গোল্ড লীফ ট্রফি’ নামে পরিচিত এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরের দ্বিতীয় খেলায় গাজী আশরাফ, গোলাম নওশের, গোলাম ফারুক, হাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর শাহ, মিনহাজুল আবেদীন, নুরুল আবেদীন, রফিকুল আলম, রাকিবুল হাসান, সামিউর রহমানশহীদুর রহমানের ওডিআইয়ে একযোগে অভিষেক ঘটে।[৩] এ খেলাটিই যে-কোন আইসিসি পূর্ণাঙ্গ সদস্যের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওডিআই খেলা।[৪] খেলায় তিনি দলের পক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধন করার গৌরব অর্জন করেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে তৃতীয় বলে শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসতে বাধ্য হন। প্রতিযোগিতা শুরুর এক সপ্তাহ পূর্বে পাকিস্তান এ জোনের বিপক্ষে স্মরণীয় ১০২ রান তুলেন তিনি। অধিনায়ক গাজী আশরাফের সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেন। সি জোন দলের বিপক্ষেও ৫০ রানসহ প্রথিতযশা ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের সাথে শতরানের জুটি গড়েন।[৫]

পাঁচ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বমোট ৪টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটে তার। মাত্র ১৫ রান তুলেন তিনি ও ওভারপ্রতি ১.৫ রান তুলতে সক্ষম হন। শেষ ওডিআইটি ছিল কলকাতায় ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯০ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

আইসিসি ট্রফি সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফলতা না পেলেও আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় দূর্দান্ত খেলেন। তার খেলোয়াড়ী জীবনের স্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্য আসে নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ১৯৯০ সালের আইসিসি ট্রফিতে। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় ডেনমার্কের বিপক্ষে ৮৫ ও কানাডার বিপক্ষে ১০৫ রান তুলে বাংলাদেশ দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান। সর্বোপরি ৫ খেলায় ৪৭.০০ গড়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৬] তবে, শক্তিধর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়াই করে পরাজিত হলে দলকে বিদায় নিতে হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "All Today's Yesterdays - September 7 down the years"ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. Cricinfo Scorecard: Bangladesh vs. Pakistan (1986-03-31). Retrieved on 2007-08-23.
  3. "John Player Gold Leaf Trophy (Asia Cup), 2nd Match: Bangladesh v Pakistan at Moratuwa, Mar 31, 1986" [জন প্লেয়ার গোল্ড লীফ ট্রফি (এশিয়া কাপ), ২য় খেলা: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান মোরাতুয়া, ৩১ মার্চ, ১৯৮৬]। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. "Asia Cup: †BANGLADESH v PAKISTAN 1985-86" [এশিয়া কাপ: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ১৯৮৫-৮৬]। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬  C1 control character in |শিরোনাম= at position 11 (সাহায্য)
  5. Hasan Babli. "Antorjartik Crickete Bangladesh". Khelar Bhuban Prakashani, November 1994.
  6. BanglaCricket: Bangladesh in ICC Trophy, ICC Trophy 1990, Netherlands (Retrieved on 2008-1-21)

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা