কোন বছরের একই মাসে দু’বার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা গেলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ব্লু-মুন।  নামে ব্লু-মুন বা নীল চাঁদ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এ চাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই।  তবে একই দিন চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাঁদ রক্তিম রং ধারণ করে।  চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে।  ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়।[১]

নীল চাঁদের ছবি


সাধারণ ব্লু মুন ২ বছর ৮ মাস পর পর হয়ে থাকে ।

সংজ্ঞা সম্পাদনা

ইতিহাসগতভাবে "ব্লু মুন" এর সংজ্ঞা, "Maine Farmer's Almanac"-এ একটি "অতিরিক্ত" পূর্ণিমা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত এক বছরে 12টি পূর্ণিমা থাকে ,তার পরিবর্তে ('ব্লু মুন'-কে বিবেচনায়)13টি পূর্ণিমা হয়। "নীল চাঁদ" বিষয়টির অবতারণা করা হয় চারটি পূর্ণিমা সহ কোন ঋতুর তৃতীয় পূর্ণিমার সাথে।এইভাবে একটি ঋতুর শেষ মাসের সময় সংশোধন করা হয়। এটি প্রতি দুই বা তিন বছর পরপর ঘটে । "স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ" নামক প্রকাশনীর মার্চ -1946 সালের একটি নিবন্ধের লেখক "মেইন ফার্মার্স" এর সম্পাদকদের গতানুগতিক ধারায় বর্ণিত পঞ্জিকার পাঠোদ্ধার করার প্রয়াস করেছিলেন। তিনি বর্ণিত পঞ্জিকার পুরাতন বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। কিন্তু, পর্যাপ্ত অনুস্ধানের অভাব এবং তার ফলশ্রুতিতে, চাঁদের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে ভুল হয়।

সঠিক প্যাটার্ন দেখার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই তিনি 'ব্লু মুন'-এর জন্য ভুল নিয়ম অনুমান করেছিলেন, যা "একটি একক সৌর ক্যালেন্ডার মাসে একটি "ব্লু মুন" একটি দ্বিতীয় পূর্ণিমা" -- এরকম আধুনিক ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "How Rare Is a Blue Moon?" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৫