নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক

নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং নির্বিচারে আটকে রাখা হচ্ছে কোনও মামলায় কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা আটকে রাখা যার বিরুদ্ধে আইনি সংবিধানের বিপরীতে অপরাধ সংঘটিত করেছে এমন সম্ভাবনা বা কোন প্রমাণ নেই বা যেখানে আইন বা আদেশের যথাযথ প্রক্রিয়া হয়নি বা যেখানে আইন বা শৃঙ্খলার যথাযথ প্রক্রিয়া হয়নি।^[১]

পটভূমি সম্পাদনা

কার্যত সমস্ত ব্যক্তি যারা নির্বিচারে গ্রেপ্তার হন তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়না, এবং তাদের কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও দেখানো হয়না।^[২] সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে, অনেক বা নির্বিচারে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নির্জন কারাবাসে আবদ্ধ করা হতে পারে এবং তাদের অবস্থান তাদের পরিবার, সহযোগী, জনসাধারণ এবং খোলা বিচার আদালত থেকে গোপন করা হতে পারে।^[৩]^[৪] যে সকল ব্যক্তি নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক হয়েছেন তারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হন এবং পাশাপাশি তাদেরকে আটককারীরা বিচারবহির্ভূত শাস্তি এবং অন্যান্য গালিগালাজ করে।^{[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]}

আন্তর্জাতিক আইন সম্পাদনা

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক নির্বিচারে কোনও ব্যক্তিকে তাদের আজাদী থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ৯ এটি হুকুম দিয়েছে যে, "কাউকেই খেয়ালখুশীমত গ্রেপ্তার বা অন্তরীণ করা কিংবা নির্বাসন দেওয়া যাবে না।";^[৫] নিজের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ এবং নিজের বিরুদ্ধে আনীত ফৌজদারী অভিযোগ নিরূপণের জন্য প্রত্যেকেরই পূর্ণ সমতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিচার-আদালতে প্রকাশ্য শুনানি লাভের অধিকার রয়েছে। দণ্ডযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের নিশ্চিত অধিকারসম্বলিত একটি প্রকাশ্য আদালতে আইনানুসারে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ গণ্য হওয়ার অধিকার থাকবে। কা‌উকে‌ই এমন কোন কাজ বা ত্রুটির জন্য দণ্ডযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না, যে কাজ বা ত্রুটি সংঘটনের সময় জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আ‌ইনে দণ্ডনীয় অপরাধ ছিলনা। দণ্ডযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সময় যে শাস্তি প্রযোজ্য ছিল, তার চেয়ে গুরুতর শাস্তি‌ও দে‌ওয়া চলবে না। পাশাপাশি, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তিটি অনুচ্ছেদ ৯ দ্বারা নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক থেকে সুরক্ষা নির্দিষ্ট করে।^[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ "Freedom from Arbitrary Arrest and Exile"। Human Rights Law। United Nations Cyber Schoolbus। ২০০৬-১১-০৯। ২০০৭-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
↑ "Human Rights Violations by the Indonesian Armed Forces"। Human Rights। Human Rights Watch। ১৯৯৮-০৬-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
↑ "Arbitrary arrest / Incommunicado detention / Risks of ill-treatment - SYR 003 / 0506 / OBS 060"। Human Rights। International Federation for Human Rights। ২০০৬-০৫-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
↑ "Enforced Disappearance and Incommunicado Detention in China"। Human Rights। World Organisation Against Torture। ২০০৭-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
↑ "Universal Declaration of Human Rights"। Human Rights। United Nations। ১৯৯৮-১২-০১। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।
↑ International Covenant on Civil and Political Rights, Article 9

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

Behind the Wire: An Update to Ending Secret Detentions (2005), Human Rights First

[1] "Freedom from Arbitrary Arrest and Exile"। Human Rights Law। United Nations Cyber Schoolbus। ২০০৬-১১-০৯। ২০০৭-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।

[2] "Human Rights Violations by the Indonesian Armed Forces"। Human Rights। Human Rights Watch। ১৯৯৮-০৬-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।

[3] "Arbitrary arrest / Incommunicado detention / Risks of ill-treatment - SYR 003 / 0506 / OBS 060"। Human Rights। International Federation for Human Rights। ২০০৬-০৫-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।

[4] "Enforced Disappearance and Incommunicado Detention in China"। Human Rights। World Organisation Against Torture। ২০০৭-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।

[5] "Universal Declaration of Human Rights"। Human Rights। United Nations। ১৯৯৮-১২-০১। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-৩০।

[6] International Covenant on Civil and Political Rights, Article 9

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]