নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ

১৯শ শতকের শেষভাগে ও ২০শ শতকের প্রথমার্ধে সংঘটিত নারীবাদী আন্দোলন

নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ বলতে ঊনবিংশ শতক ও বিংশ শতকের প্রথম ভাগে বিশ্বব্যাপী (মূলত পাশ্চাত্য) নারীবাদী কর্মকাণ্ডকে বোঝায়, যা নারীর সমানাধিকারের জন্য বিভিন্ন আইনি দাবি উত্থাপন করেছিল। প্রধানত নারীর ভোটাধিকার-ই ছিল এই পর্যায়ের আন্দোলনের উপজীব্য বিষয়। যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ঢেউয়ের বিস্তার ছিল সর্বাধিক।

প্রথম তরঙ্গ কথাটি প্রথম ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করেন মার্শা লিয়র। ১৯৮৬ এর মার্চ মাসে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিন-এ লিখিত একটি নিবন্ধে তিনি একত্রে নারীবাদের প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের কথা উল্লেখ করেন।[১] দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় নারীবাদী আন্দোলনকারীরা দে ফ্যাক্টো (আইন-বহির্ভূত অথচ বৈষম্যকারী ) অসমতাগুলির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন আর সেই সূত্রে পূর্বসূরীদের থেকে নিজেদের স্বতন্ত্রভাবে দেখতেন।

সূচনা সম্পাদনা

আমেরিকানদের প্রাথমিক প্রচেষ্টা সম্পাদনা

নারীবাদী আন্দোলনের প্রারম্ভিক অবস্থা সরাসরি দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল এবং ফলস্বরূপ অনেক বিখ্যাত নারীবাদী এবং আন্দোলনকারীরা তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে শুরু করেছিলেন। এই প্রথম দিকের কিছু কর্মীদের মধ্যে রয়েছে, সোজার্নার ট্রুথ, এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েল, জেন অ্যাডামস, এবং ডোরোথি ডে। নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ প্রধানত মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল এবং নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের আগ পর্যন্ত বর্ণের নারীরা একটি কণ্ঠস্বর গড়ে তুলতে শুরু করেছিল।[10] নারীবাদ শব্দটি সেই সময়ে একটি রাজনৈতিক চিত্রিত আদর্শের মতো তৈরি হয়েছিল। সমতাভিত্তিক অবস্থার ভিত্তিতে গণতন্ত্রের সংস্কার ও সংশোধন সম্পর্কে বক্তৃতার মাধ্যমে নারীবাদের উদ্ভব ঘটে

Early Feminism was directly correlated with the ]]s and as a result many famous feminists and activists began to have their voices heard. Some of these early activists include, Sojourner Truth, Elizabeth Blackwell, Jane Addams, and Dorothy Day.[২] The first wave of feminism was primarily led by white women in the middle class, and it was not until the second wave of feminism that women of color began developing a voice.[৩] The term Feminism was created like a political illustrated ideology at that period. Feminism emerged by the speech about the reform and correction of democracy based on equalitarian conditions.[৪]

 
Louise Weiss along with other Parisian suffragettes in 1935. The newspaper headline reads, in translation, "THE FRENCHWOMAN MUST VOTE".

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Henry, Astrid (২০০৪)। Not My Mother's Sister: Generational Conflict and Third-Wave Feminism। Indiana University Press। পৃষ্ঠা 58। আইএসবিএন 9780253111227 
  2. "Feminist History"Feminists for Life। ১৯ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪ 
  3. "Four Waves of Feminism"। Pacific University। ২০১৫-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪ 
  4. Offen, Karen (১৯৮৮)। "Defining Feminism: A Comparative Historical Approach"Signs14 (1): 119–157। এসটুসিআইডি 144146547ডিওআই:10.1086/494494 

আরও দেখুন সম্পাদনা