নলকূপ বা টিউবওয়েল হলো একধরনের পানি উত্তোলনের কূপ, যা সাধারণত ১০০–২০০ মিলিমিটার (৩.৯–৭.৯ ইঞ্চি) ব্যাসের নল দ্বারা ভূগর্ভস্থ জলাধার হতে পানি উত্তোলন করে। নলের দৈর্ঘ্য সাধারণত নির্ভর করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের উপর।

গম ক্ষেতে,ধান ক্ষেতে, বিভিন্ন উচ্চ মানের ফসলি জমিতে সেচকাজের জন্য ব্যবহৃত নলকূপ, ১৯৬৮ সন, ভারত
নলকূপের বায়ুপথ, সাধারণত যেটা ৩০ মিটার (৯৮ ফু) বা তার বেশি গভীর হয়।

অস্থায়ী আধার সম্পাদনা

অস্থায়ী আধার নলকূপের মূল কাঠামোর বাইরে থাকে, যা কূপ হতে উত্তোলিত পানি সংরক্ষণ করে।

 
কৃত্রিম জলাধার

চালনা পদ্ধতি সম্পাদনা

বহিঃর্বিশ্বে নলকূপ ডিজেল ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত হয়। বাংলাদেশে এখনো হস্তচালিত নলকূপ বিদ্যমান।

 
হস্তচালিত নলকূপ

কাঠামো সম্পাদনা

 
একটি সম্পূর্ণ নলকূপ

নলকূপের কাঠামোতে ইনলেট সিলিন্ডার, পিস্টন ভালভ এবং একটি হস্তচালিত পাম্প থাকে। আচ্ছাদন মূলত নলকূপের ব্যর্থতা রোধে ব্যবহার হয়, যা সাধারণত পিভিসি পাইপ দ্বারা নির্মাণ করা হয়।

স্যানিটারি সীল দ্বারা কূপের পানির নিচে চুইয়ে পড়া রোধ করা হয়। ভূগর্ভস্থ পানির জলাধার পর্যন্ত চুয়ানো সমান কাঠামোর দৈর্ঘ্য দ্বারা বাদ দেয়া হয়। পাম্প করা পানি কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরে এসে জমা হয়।

বালি এবং পলিকণার আধিক্যের জন্য জলাধার হতে পানির অবনমন ঘটে, যা কূপের নল এবং ভালভের মুখ বন্ধ করে দেয়। দুই পদ্ধতিতে এর সমাধান করা হয়, স্ক্রিনিং এবং গ্রাভেল প্যাকিংয়ের মাধ্যমে।

স্ক্রিনিং সম্পাদনা

পাইপের নিম্নগামী মুখ কেটে সেটা সিল করে দিতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশে গ্লাস রিইনফোর্সেস এপোক্সি(কাঁচ রঞ্জন) ব্যবহার করে স্ক্রিনিং করতে দেখা যায়। পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

গ্রাভেল বা বালি প্যাকিং সম্পাদনা

কম্প্যাক্ট, পূর্ববন্ধিত, এবং প্যাকেট করা বালি বা গ্রাভেল কিনতে পাওয়া যায়। কিছু জিনিস পাম্প ইনলেট অ্যাসেম্বলিতেও পাওয়া যেতে পারে। এদেরকে নকশা অনুযায়ী বোরহোলের উপরে স্থাপন করতে হয়। গ্রাভেল বা বালি পানির বিভিন্ন জৈব এবং অজৈব বস্তুকে ছাকনের কাজ করে এবং স্ক্রিনিং পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।

ভূগর্ভস্থ পানির সুরক্ষা সম্পাদনা

বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক বিষক্রিয়া মহামারীতে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় আর্সেনিকের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কয়েকগুণ বেশি। [১]

সুবিধা সম্পাদনা

  • ভূগর্ভস্থ পানি সহজে ব্যবহারযোগ্য।
  • পানির স্তর ভূপৃষ্ঠের খুব কাছে।
  • দূর এলাকা পর্যন্ত সেচ কাজ করা যায়।
  • শুষ্ক মৌসুমেও পানির বেশি স্বল্পতা হয়না।
  • জল সংরক্ষণ হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

কাজ

  • মাটির নিচের জল ব্যবহার করা যায়।