ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়, যেটি বাংলাদেশে ধর্মীয় কার্যাবলী, অনুষ্ঠান, ভবন এবং হজ্জের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সরকারের সীল
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত১৯৭১
যার এখতিয়ারভুক্তবাংলাদেশ সরকার
সদর দপ্তরধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
সংস্থা নির্বাহী
  • মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, সচিব
অধিভূক্ত সংস্থা
ওয়েবসাইটMinistry of Religious Affairs

ইতিহাস সম্পাদনা

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধর্ম বিষয়ক কার্যক্রম প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর এ মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ছিল। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৪ সালের ৮ মার্চ মন্ত্রণালয়টির নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs and Endowment। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালের ১৪ জানুয়ারি উক্ত নাম পরিবর্তন করে পুনরায় মন্ত্রণালয়ের নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs তথা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৮০ সালে কার্যক্রম শুরুর পর হতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, হজ্জ অফিস ঢাকা, হজ্জ অফিস, জেদ্দা/ মক্কা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট,খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে সরকারের ধর্ম বিষয়ক সকল কার্যক্রম পরিচালনাসহ দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের মনিটরিং ও সমন্বয় করে থাকে।

উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী সম্পাদনা

  • ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াক্ফ প্রশাসন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সংক্রান্ত গবেষণা ও তত্ত্বাবধান, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা ও অনুদান প্রদান এবং অর্থ সংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ;
  • হজনীতি, হজ প্যাকেজ ঘোষণা, দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পাদন ও হজযাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থাপনাসহ হজ ও ওমরাহ গমন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এবং তীর্থ ভ্রমণ, বিদেশে গমনকারী এবং বিদেশ থেকে আগত ধর্মীয় প্রতিনিধিদল সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ;
  • ওয়াক্ফ-দেবোত্তর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও ওয়াক্ফ এস্টেট-দেবোত্তর সম্পত্তি পরিচালনায় সহায়তা প্রদান;
  • ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, দাতব্য প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা প্রদান;
  • ধর্ম এবং ধর্মীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার ও সংলাপের আয়োজন এবং অংশগ্রহণ; বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনসমূহের সাথে যোগাযোগ, সম্পর্ক স্থাপন, সম্পর্কের উন্নয়ন, চুক্তি ও দলিল সম্পাদন, সমঝোতা এবং কনভেনশন সংক্রান্ত কার্যক্রম;
  • ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন, গবেষণা পরিচালনা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদারকরণ;
  • বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠনের সংস্কার, অনুদান প্রদান, চাঁদ দেখাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপলক্ষ্য এবং উৎসব উদ্যাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম;
  • দুস্থ পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান।

পরিচালকের দপ্তর সম্পাদনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সম্পাদনা

এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা ১৯৭৫ সালে মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় যা ইসলামের মূল্যবোধ ও আদর্শগুলি প্রচার করে এবং সেইসব মূল্য ও আদর্শের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করে।[১][২] ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, যা ৬ টি বিভাগীয় অফিস এবং ৬৪ টি জেলা কার্যালয়, ৭ ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্র এবং ২৯ ইসলামী মিশন সেন্টার দ্বারা সমর্থিত। মহাপরিচালক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী।

হিন্দু ট্রাস্ট সম্পাদনা

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা যা হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং হিন্দু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সৈয়দ আশরাফ আলী এবং সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ এমরান (২০১২)। "ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. Islamic Foundation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে, Bangladesh Directory; Retrieved: 25 December 2007
  3. "WELCOME."hindutrust.gov.bd। Hindu Trust। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬