দ্য ট্রাম্প ডেন্টিস্টস (চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

দ্যা ট্রাম্প ডেন্টিস্ট হল ‌১৯‌১৩ সালের একটি আমেরিকান সল্পদৈর্ঘ্য হাসির চলচ্চিত্র যেটা ইউনির্ভার্সাল ফিল্ম ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির জোকার নামের একটি নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রযোজনা করে। এটার পরিচালক ছিল এ্যালেন কার্টিস, চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন ম্যাক্স এ্যাসার, লি মরিস, এডি বোল্যান্ড জোসেফ সিঙ্গেলটনববি ভার্নন। ছবিটি দুই জন ভবঘুরে টাইপ লোক ডাস্টি ও ওয়্যারি কে কেন্দ্র করে যারা একটি দন্তচিকিৎসালয় খোলে এবং অদক্ষ চিকিৎসক হয়েও তারা এটার মাধ্যমে ধনী হয়ে যায়। তারা চিমটার সাহাজ্যে লোকের দাঁত তুলত। দন্তচিকিৎসক হিসেবে অনেক রোজগার করার পর তারা আবার তাদের পুরোনো জীবনে ফিরে যায়। ছবিটি মুক্তি পায় অক্টোবর ২৯, ১৯১৩ সালে। এটা ছিলো জোকার প্রোডাকশনের দ্বিতীয় ছবি। কুরুচিপূর্ণ রসবোধের কারণে ছবিটি বেশ সমালোচিত হয়। ছবিটি মুক্তি পেলে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বেশ সাড়া পায়, তারপরও ছবিটিকে হারিয়ে যাওয়া (লস্ট ফিল্মের) এর তালিকায় ধরা হয়।

দ্যা ট্রাম্প ডেন্টিস্ট
পরিচালকএ্যালেন কার্টিস
পরিবেশকইউনির্ভার্সাল ফিল্ম ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি
মুক্তি
  • ২৯ অক্টোবর ১৯১৩ (1913-10-29)
স্থিতিকাল1 reel
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষানির্বাক
English intertitles

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

ডাস্টি ও ওয়্যারি নামে দুই ভবঘুরে প্রবল জলপিপাসা নিয়ে তাদের কুড়ে ঘরের ভেতর ঘুম থেকে জেগে উঠল। দু'জনে ঘোড়ার জন্য ব্যবহৃত নালা থেকে জলপিপাসা মেটাল। ডাস্টি বলে যে তার প্রচন্ড দাতঁ-ব্যাথা করছে। তারা দু'জনে মিলে একটি দন্তচিকিৎসালয়ে যায় দাতঁ তোলবার উদ্দেশ্যে[১]। কিন্তু তারা আবিষ্কার করে দাতেঁর ডাক্তার জাহাজে করে ভ্রমনে বেরিয়েছেন।তখন ডাস্টি ও ওয়্যারি নিজেদেরকে সেই চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত করে এবং চিমটা ও সাড়াশির মাধ্যমে রোগীদের দাতঁ তোলা শুরু করে[২][৩]।যখন আসল চিকিৎসক ফিরে আসে তখন তারা সেই চিকিৎকের আছে আত্বসমর্পন করে এবং আবার তাদের আগের ভবঘুরে জীবনে ফিরে যায়[২][৩]

অভিনয়ে সম্পাদনা

প্রযোজনা সম্পাদনা

"ভবঘুরে দন্তচিকিৎসক" বলতে এখানে একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে যে অদক্ষ হাতে দাতেঁর চিকিৎসা করে।এই শিরোনামটি ১৮৯০ সালের দিকে বেশ জনপ্রিয় ছিল এবং আক্ষরিক অর্থে ভবঘুরে বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হতো, বহুদিন ধরে গৃহহীন ব্যক্তি যে হঠাৎ দন্তচিকিৎসক হয়ে যায়। বিষয়টা যুক্তরাষ্ট্রে খুব একটা অপরিচিত ছিল না যেমন টা বর্ণনা করে হয়েছে ট্রেসি এডামস এর "এ ডেন্টিস্ট এন্ড এ জেন্টেলম্যান: জেন্ডার এন্ড দ্যা রাইস অফ ডেন্টিস্ট্রি ইন ওন্টারিও" নামক বইটিতে[৬]। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল স্থানীয় কামার এবং বন্দুক নির্মাণ কারীর যারা দাতঁ তুলতে পারত এবং নকল দাতঁও তৈরী করত। যদিও তাদের কাজকর্ম যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। এক রিলে তৈরী ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন এল্যেন কার্টিস এবং এটা মুক্তি পায় ২৯ অক্টোবর,১৯১৩ সালে[৫]।ছবিটি জোকার প্রোডাকশনের কমেডি ঘরানার দ্বিতীয় ছবি ছিল, প্রথমটি ছিল "দ্যা চিজ স্পেশাল"।ছবিটি খুব একটা দর্শকপ্রিয়তা পায় নি কিন্তু রেকর্ড বই এ উল্লেখ আছে যে , ছবিটির বিজ্ঞাপন ১৯১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত চলছিল[৭]

গ্রহণযোগ্যতা সম্পাদনা

দ্যা মুভিং পিকচার ওয়ার্ল্ড ছবিটিকে নিম্নমানের রসাত্বক ছবি হিসেবে সমালোচনা করে যেখানে ন্যক্কারজনকভাবে চিমচা আর সাড়াঁশি দিয়ে দাতঁ তুলে দাতেঁর চিকিৎসার মজা করে হয়েছে[২]। আরও একটি তীর্যকপূর্ণ মন্তব্য আসে দ্যা মোশন পিকচার স্টোরি ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়- ছবিটিতে এত অভদ্র রঙ্গরসিকতা করা হয়েছে যে এটি মোটেও দর্শকপ্রিয়তা পাবে না এবং এটি তাদের ব্যবসার সমূহ ক্ষতি করবে[৮]। ছবিটি গোটা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের পেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য - শিকাগো ইলিনয়[৯],আটলান্টা,জর্জিয়া[১০],ওকাহোমা[১১],ওহাইও[১২],নর্থ ক্যারোলাইনা,[১৩][১৪] পেন্সিল্‌ভেনিয়া[১৫],অরেগন,[১৬],উইসকনসিন[১৭] এবং [[কেনসাস]][১৮]। দ্যা ট্রাম্প ডেন্টিস্ট ছবিটি হারিয়ে যাওয়া ছবির মধ্যে ধরা হয়।কিন্তু এটা ঠিক কবে থেকে হারিয়ে গেছে সেটা জানা যায়নি।ছবিটি যদি ইউনিভার্সাল এর ভল্টে থেকেও থাকতো ,তবে সেটা ১৯৪৮ সালে ইচ্ছাকৃতভাবেই মুছে ফেলা হয়েছে "ইউনিভার্সাল সাইলেন্ট ফিল্ম এরা" র অবশিষ্ট ছবিগুলোর সাথে[১৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "(Star ad)"Belvidere Daily Republican (Belvidere, Illinois)। জানুয়ারি ৬, ১৯১৪। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  2. The Moving Picture World, Volume 18, Issues 1-7Chalmers Publishing Company। ১৯১৩। পৃষ্ঠা 737। 
  3. "(None)"The Seattle Star। নভেম্বর ১, ১৯১৩। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২, ২০১৪ 
  4. "(Gem ad)"The Daily Republican (Monongahela, Pennsylvania)। ডিসেম্বর ২২, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  5. Braff, Richard (১৯৯৯)। The Universal silents : a filmography of the Universal Motion Picture Manufacturing Company, 1912-1929McFarland & Company। পৃষ্ঠা 501আইএসবিএন 9780786402878 
  6. Adams, Tracey Lynn (২০০০)। A Dentist and a Gentleman: Gender and the Rise of Dentistry in OntarioUniversity of Toronto Press। পৃষ্ঠা 22। 
  7. "(Ad)"The Times-Herald (Burns, Oregon)। জুলাই ২৫, ১৯১৪। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  8. The Motion Picture Story Magazine (Feb-Jul 1914)The Motion Picture Publishing Co.। ১৯১৪। পৃষ্ঠা 171। 
  9. "Linden Photodrome"The Englewood Economist। অক্টোবর ২৭, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  10. "(Ad)"The Atlanta Constitution (Atlanta, Georgia)। নভেম্বর ১, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 12। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  11. "(Lyric Ad)"The Morning Tulsa Daily World (Tulsa, Oklahoma)। নভেম্বর ২, ১৯১৩। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  12. "(American Theatre ad)"The Chronicle-Telegram (Elyria, Ohio)। নভেম্বর ৭, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 11। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  13. "(The Paris ad)"Durham Morning Herald (Durham, North Carolina)। নভেম্বর ৯, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  14. "(Dreamland Ad)"Asheville Citizen (Asheville, North Carolina)। নভেম্বর ২৫, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  15. "The Hippodrome"The York Daily (York, Pennsylvania)। নভেম্বর ১২, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  16. "(Globe Ad)"Daily Capital Journal (Salem, Oregon)। নভেম্বর ১৫, ১৯১৩। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  17. "(Orpheum ad)"Eau Claire Leader (Eau Claire, Wisconsin)। নভেম্বর ২৩, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 14। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  18. "(Lyric ad)"The Ottawa Daily Republic (Ottawa, Kansas)। নভেম্বর ২২, ১৯১৩। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৪Newspapers.com-এর মাধ্যমে।   
  19. Ohlheiser, Abby (ডিসেম্বর ৪, ২০১৩)। "Most of America's Silent Films Are Lost Forever"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃ সংযোগ সম্পাদনা