দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস

১৪ শতকের শেষ দিকে মধ্যযুগীয় ইংরেজি রূপে জেফ্রি চসার রচিত কতিপয় গল্পের সংকলন

'দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস (The Canterbury Tales)মুলত ১৪৭৮ সালে এটি প্রথম ছাপা হয়. এটি ১৭,০০০ লাইন বিশিষ্ট কাব্যে রচিত একটি অসমাপ্ত বর্ণনামূলক গল্পগ্রন্থ। এটিতে মোট ২৪টি গল্পের সংগ্রহ রয়েছে। সাউথওয়ার্ক থেকে ক্যান্টারবেরি ক্যাথেড্রালে অবস্থিত সেন্ট থমাস বেকেটের সমাধির উদ্দেশ্যে গমনকারী তীর্থযাত্রীদের গল্প বলার প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে গল্পগুলো (অধিকাংশই পদ্য , যদিও কিছু কিছু গদ্যও রয়েছে) বর্ণিত হয় । প্রতিযোগিতার পুরস্কার ছিল ফেরার পথে সাউথওয়ারর্কের টাবার্ড সরাইখানায় একবেলা বিনা পয়সার খাবার।

১৪৮৩ সালে উইলিয়াম ক্যাক্সটন কর্তৃক মুদ্রিত দ্য ক্যান্টারবারি টেলসের দ্বিতীয় সংস্করণ থেকে সংগৃহীত একটি কাঠের টুকরো।

জেফ্রি চসারের সাহিত্যিক জীবনের শুরুর দিকে রচিত ট্রয়লাস এন্ড ক্রিসেডে, হাউজ অব ফেম এবং পার্লামেন্ট অব ফাউল্স এর মত অনেক সাহিত্যকর্মের ধারাবাহিকতায় দ্য ক্যান্টারবারি টেলস সাহিত্যকর্মটিকে বলা হয় চসারের ম্যাগনাম অপাস। তিনি তার গল্প এবং গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে সমসাময়িক ইংরেজদের সমাজের বিশেষ করে ব্রিটিশ চার্চের বিদ্রুপাত্মক ও সমালোচনামূলক চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। গঠনগতভাবে, সংগ্রহটি দ্য ডিক্যামেরন এর অনুরূপ যা ১৩৭২ সালে ইতালিতে চসারের কূটনৈতিক মিশনে তার অধ্যয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। চসার এখানে মৌলিক ও স্বতন্ত্র চরিত্রের রুপায়ন করেছেন ।চরিত্রগুলোর পেশা নানা ধরনের, নানা শ্রেণীর ।এর মধ্যে রয়েছে নাইট, স্কোয়ার,সৈনিক, ডক্টর, আইনঙ্গ,প্রভৃতি শ্রেণীর লোক, তেমনি রয়েছে অক্সফোর্ডের কেরানী, চাষী,ব্যবসায়ী,ছুতোর,তাতি,পাচক প্রভৃতি নিচু শ্রেণীর লোক ।সাধু,সন্ন্যাসী, ভিক্ষুকের উপস্থিতি ও বাদ য়ায় নি।