দীনা পাঠক

ভারতীয় অভিনেত্রী

দীনা পাঠক (ওরফে গান্ধি; ৪ মার্চ ১৯২২ - ১১ অক্টোবর ২০০২) গুজরাতি থিয়েটারএর একজন অভিনেত্রী তথা পরিচালিকা এবং চলচ্চিত্রের অভিনেত্রীও ছিলেন। তিনি একাধারে সক্রিয় সমাজকর্মী ছিলেন [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] এবং অন্যদিকে 'ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ওমেন' সংস্থার সভানেত্রী হয়েছিলেন।[৩][৪]

দীনা পাঠক
জন্ম
দীনা গান্ধি[১]

(১৯২২-০৩-০৪)৪ মার্চ ১৯২২
মৃত্যু১১ অক্টোবর ২০০২(2002-10-11) (বয়স ৮০)
কর্মজীবন১৯৪৮-২০০২
দাম্পত্য সঙ্গীবলদেব পাঠক
সন্তানসুপ্রিয়া পাঠক
রত্না পাঠক
আত্মীয়নাসিরুদ্দিন শাহ্ (জামাতা)
পঙ্কজ কাপুর (জামাতা)
বিভান শা (নাতি)
ইমাদ শা (নাতি)
রুহান কাপুর (নাতি)
সানা কাপুর (নাতনি)
পুরস্কারসংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৮০)
গুজরাত সরকারএর মেরিট পুরস্কার (থিয়েটার) খ্রিস্টাব্দ (২০০০-২০০১)[২]

দীনা পাঠক হিন্দি এবং গুজরাতি তথা থিয়েটারের একজন চূড়ামণি ছিলেন, যিনি ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ১২০ সংখ্যাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার প্রস্তুত ভাবাই গণনাট্য ধারা মিনা গুর্জরি বহু বছর ধরে সফলভাবে অভিনীত হয়েছিল, এবং বর্তমানে এই ধারা সফলভাবে চলমান হয়ে উঠেছে।[৫][৬]

গোলমাল এবং খুবসুরত হিন্দি চলচ্চিত্র দুটোতে তার অবিস্মরণীয় অভিনয়ের জন্যে তিনি বহুল পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি ভারতে আর্ট সিনেমার একজন প্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন, যেখানে কোশিশ, উমরাও জান, মির্চ মসালা এবং মোহন যোশি হাজির হো! ইত্যাদি চলচ্চিত্রে তিনি শক্তিশালী চরিত্রগুলোতে অভিনয়ের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।[৭]

দীনা পাঠকের সাড়া জাগানো গুজরাতি চলচ্চিত্র ছিল মোতি বা, মালেলা জীভ এবং ভবানি ভবাই, যখন তার বহু পরিচিত নাটকের মধ্যে ছিল দিঙলেগার, ডল'স হাউস, বিজন শেনি এবং সত্যদেব দুবে নির্দেশিত গিরিশ কার্নাড-এর হায়াবাদানা।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

দীনা পাঠক ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মার্চ গুজরাত রাজ্যের আমরেলিতে জন্মেছিলেন। তিনি ছোটোবেলা থেকেই ফ্যাশন এবং চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরক্ত হয়ে ওঠেন, এমনকি শৈশবেই নাটকে অভিনয় শুরু করে দিয়েছিলেন এবং সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিলেন।[৫]

তিনি যৌবন বয়সে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল থিয়েটার সংস্থায় অভিনেত্রী হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তিনি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়এর (মুম্বই) একটি কলেজ থেকে পড়াশোনা করে স্নাতক হন। তার ছাত্রাবস্থায় সক্রিয়তার ব্যাপারে জানা যায়, যেখানে গুজরাতের গণনাট্য ভবানী থিয়েটারকে সেই প্রাক-স্বাধীনতার সময়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যে ব্যবহার করা হয়েছিল; এই কাজের সুবাদে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (আইপিটিএ) সংস্থার নিবিড় সান্নিধ্যে এসেছিলেন,[৮] তিনি যখন তার বড়ো দিদি শান্তা গান্ধি এবং ছোটো বোন তরলা মেহতার সঙ্গে মুম্বইতে ছিলেন, সেখানে গুজরাতি থিয়েটারকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যে তার সহযোগী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কৈলাশ পাণ্ডেয় এবং দামিনী মেহতাকে পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।[৯]

কর্মজীবন সম্পাদনা

দীনা পাঠকের নাটকগুলো ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের দশকে গুজরাতে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দর্শক-শ্রোতারা ময়না গুর্জরি নাটকে তার অভিনয় দেখা পর্যন্ত লাইন দিয়ে অপেক্ষা করত, যেটা তার দিদি শান্তা গান্ধির জসমা ওধন ছিল এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবাই।[৬] ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনএর প্রেক্ষাগৃহে মাননীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদজির সামনে যখন মিনা গুর্জরি তিনি প্রদর্শন করেছিলেন, এটা হল এপর্যন্ত প্রথম এবং একমাত্র গুজরাতি নাটক যেটা এই অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছল।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংগীত নাটক আকাদেমি Honours"। ২৩ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Govt award for Dina Pathak ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১১-০৩ তারিখে The Times of India, 8 November 2001.
  3. Need to make women aware: Dina Pathak The Tribune, 3 February 2000.
  4. Women panels 'toothless' The Tribune, 1 May 1999.
  5. Brandon, p. 83
  6. "From Gujarat with grace"The Tribune। ১১ জুন ২০০৬। 
  7. Veteran actress Dina Pathak passes away আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৬-২৮ তারিখে The Times of India, 11 October 2002.
  8. "The Grand Dame of Indian Cinema" The Tribune, 11 April 1999
  9. "Veteran actress Dina Pathak passes away" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে Indian Express, 12 October 2002.
  10. "Reliving the past of Gujarati Rangbhoomi"। The TImes of India। ২৭ মার্চ ২০১৩। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৩