দিবাং নদী

ভারতের নদী

দিবাং নদী ব্রহ্মপুত্ররএকটি উপনদী। অরুনাচল প্রদেশের মিশমি পাহাড়ে উতসারিত হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে দিবাং।

দিবাং নদীর ওপর সেতু

গতিপথ সম্পাদনা

 
দিবাং নদী উপত্যকা

দিবাংয়ের সূচনা অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলার ইন্দো-চীনা সীমান্তে কেয়া পাসের নিকটে। অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে নদীর জল নিষ্কাশন অববাহিকা দিবাং উপত্যকা এবং নিম্ন দিবাং উপত্যকার জেলা জুড়ে বিস্তৃত।[১] দিবাংয়ের উপরের অংশে অবস্থিত মিশ্মি পাহাড় থেকে উতসারিত হয়ে বোমজির, দাম্বুক প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে সমভূমিতে প্রবেশ করে দিবাং নদী। বোমজির (নিজামঘাট) এবং সাদিয়ার মধ্যে দিবাংয়ের একটি খাড়া নদীর ঢাল রয়েছে এবং এটির উচ্চতা ৪ থেকে ৯ কিলোমিটার (২ থেকে ৬ মা)। দিবাং প্রায়শই তার গতিপথ পরিবর্তন করে, ফলস্বরূপ বন্যা হয় এবং এর তীরবর্তী অঞ্চলে আবাদযোগ্য জমি এবং বন ধ্বংস হয়।[২] নদীর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মা)। দিবাং অসমের শহরে সাদিয়ার নিকটে ডিব্রু-সাইখোয়া অভয়ারণ্যের উত্তরে লোহিত নদীতে মিলিত হয়।[৩][৪]

উপনদী সম্পাদনা

সিসার, মাথুন, টাঙ্গন, ড্রাই, ইথুন এবং এমরা দিবাংয়ের প্রধান উপনদী। এই নদীগুলির বেশিরভাগই পাহাড়ের উপরের অংশে দিবাং নদীতে মিশেছে, ফলে এটি প্রশস্ত আকারের অববাহিকা অঞ্চল পাওয়া যায়।[১][২]

জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পাদনা

২০০৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার দিবাং বহুমুখী প্রকল্পের অংশ হিসাবে একটি ৩০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুতের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রস্তাবিত দিবাং বাঁধ, ২৮৮ মিটার (৯৪৫ ফু), সমাপ্তির পরে ভারতের বৃহত্তম বাঁধগুলির মধ্যে একটি হবে।[৫][৬][৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Damming Dibang River: Mishmi's resistance against 3000 MW Dibang Multipurpose Project"। ৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  2. "Dibang Multipurpose Project - Chapter-4: Water Resources" (পিডিএফ)। WAPCOS Limited। ১৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  3. "Restoration Proposal for Dibang & Lohit Rivers"। ১৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  4. "Dibang sub basin of Brahmaputra Basin"। National Institute of Hydrology। ১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  5. "Damming Dibang River: Mishmi's resistance against 3000 MW Dibang Multipurpose Project"। ৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  6. "Disquiet in Dibang"। ১৫ মে ২০০৮। ১৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  7. "Protests against public hearing on Dibang dam"The Assam Tribune। ৫ মার্চ ২০১৩। ১৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩