দণ্ডভুক্তি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলার একটি অঞ্চল। এটি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরপূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রসারিত ছিল।

গুপ্তযুগে রাঢ় অঞ্চল কঙ্কগ্রামভুক্তি, বর্ধমানভুক্তি ও দণ্ডভুক্তি নামে কয়েকটি ছোটো অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। ওড়িয়া ভাষায় “দণ্ড” কথাটির অর্থ হল পথ। প্রাচীনকালে রাঢ় থেকে (অথবা সম্ভবত মগধ থেকে) কলিঙ্গ পর্যন্ত একটি ঐতিহাসিক সড়ক বিদ্যমান ছিল। সম্ভবত এই স্থানের নাম সেই “দণ্ড” বা পথের নাম থেকেই উদ্ভূত হয়েছে। সাধারণভাবে দ্বারকেশ্বর নদসুবর্ণরেখা নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগকেই দণ্ডভুক্তি বলা হয়। দশম শতাব্দীতে দণ্ডভুক্তি ছিল বর্ধমানভুক্তির একটি অংশ। পরবর্তীকালে দণ্ডভুক্তির কোনো কোনো অঞ্চল উৎকল রাজাদের অধিকারে আসে।[১]

এই অঞ্চলের প্রশাসনিক শাসনকেন্দ্র ছিল দণ্ডভুক্তি নামেরই একটি শহর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন শহরটির নাম “দণ্ডভুক্তি” থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[২]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. Ghosh, Binoy, Paschim Banger Sanskriti, (in Bengali), part I, 1976 edition, pp. 82-86, Prakash Bhaban
  2. Ray, Nihar Ranjan, Bangalir Itihas Adi Parba, (in Bengali), 1980 edition, p. 388, Paschim Banga Niraksharata Durikaran Samiti