ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (নেপালি: त्रिभुवन अन्तर्राष्ट्रिय विमानस्थल, আইএটিএ: KTM, আইসিএও: VNKT) নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দুরে কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত। এটি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১৯৪৯ সাল থেকে একটি বিমানঘাঁটি হিসেবে কাজ করেছে। এটি রাজা মহেন্দ্র ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন করেন এবং ১৯৬৪ সালে বর্তমান নামে পরিচিত হয়। শুরুতে এটি ঘাসের রানওয়ে ছিল, ১৯৫৭ সালে কংক্রিটের আস্তারন স্থাপন করা হয় এবং বেশ কয়েকবার সম্প্রসারণ করা হয়। ত্রিভুবনে প্রথম জেট বিমান নামে ১৯৬৭ সালে এবং জেট বিমান নিয়মিত পরিচালনা শুরু হয় ১৯৭২ সালে।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

त्रिभुवन अन्तर्राष्ट्रिय विमानस्थल
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনসরকারী
পরিচালকনেপাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (CAAN)
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাকাঠমান্ডু, নেপাল
এএমএসএল উচ্চতা৪,৩৯০ ফুট / ১,৩৩৮ মিটার
ওয়েবসাইটwww.tiairport.com.np
মানচিত্র
KTM নেপাল-এ অবস্থিত
KTM
KTM
নেপালে অবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
মি ফুট
০২/২০ ৩,০৫০ ১০,০০৭ কংক্রিট
পরিসংখ্যান (২০০৯)
যাত্রী3405015
Passenger change 08–09বৃদ্ধি18.8%
Aircraft movements91884
Movements change 08–09বৃদ্ধি10.0%

এই বিমান বন্দরে একটি অভ্যন্তরীণ এবং একটি আন্তজাতিক টার্মিনাল আছে। বর্তমানে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের পায় ৩০টি আন্তর্জাতিক বিমানপরিসেবা নেপালকে সংযুক্ত করেছে এবং কয়েকটি নেপাল এয়ারলাইন্সের হাব হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০১ সালে, নেপাল এয়ারলাইন্স তাদের ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লন্ডন ফ্লাইট স্থগিত করে, যার ফলে ইউরোপের সাথে নেপালের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সম্প্রতি, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ইস্তানবুল থেকে কাঠমান্ডু সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে এবং এর মাধ্যমে নেপালের সাথে ইউরোপ মহাদেশের সরাসরি যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

এই বিমানবন্দরের আসল নাম ছিল গাউছার বিমানবন্দর যেটি কাঠমান্ডু-র পাশে অবস্থিত ছিল। নেপালে বিমানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৯ সালে, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বহনকারী একটি বীচক্র্যাফট বোনাঞ্জা বিমান অবতরনের মাধ্যমে। প্রথম চার্টার বিমান চলাচল শুরু করে ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ সালে যেটি পরিচালনা করে "হিমালয় এভিয়েশন"।[৪]

১৯৫৫ সালে রাজা মহেন্দ্র এটির উদ্বোধন করে, স্মৃতিস্বরূপ রাজার পিতার নামে ত্রিভুবন বিমানবব্দর নামকরণ করেন। এই বিমানবন্দরের নামে পুনরায় পরিবর্তন করে ১৯৬৪ সালে করা হয় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। শুরুর ঘাসের রানওয়েকে কংক্রিটে রুপান্তর করা হয় ১৯৫৭ সালে এবং ১৯৬৭ সালে সম্প্রসারণ করা হয় ৩,৭৫০ ফুট (১,১৪০ মি), থেকে ৬,৬০০ ফুট (২,০০০ মি)। ১৯৭৫ সালে রানওয়ে পুনরায় সম্প্রসারণ করা হয় ৬,৬০০ ফুট (২,০০০ মি) থেকে ১০,০০০ ফুট (৩,০০০ মি)।[৪]

১৯৬৭ সালে লুফ্‌টহানজা বোয়িং ৭০৭ বিমান অবতরন করে.[৪] নেপাল এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭২৭ বিমান দিয়ে জেটবিমান পরিচালনা শুরু করে ১৯৭২ সালে।[৪]

মে ২০০৭ সালে, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস ভিয়েনা ফ্লাইট বন্ধ করলে ইউরোপ সঙ্গে নেপালের সরাসরি বিমান চলাচল বিছিন্ন হয়ে যায়।[৫] সম্প্রতি, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ইস্তানবুল থেকে কাঠমান্ডু সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে এবং এর মাধ্যমে নেপালের সাথে ইউরোপ মহাদেশের সরাসরি যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।[৬]

সুবিধা সম্পাদনা

এই বিমানবন্দরের একক ১০,০০৭ ফুট (৩,০৫০ মি) কংক্রিটের ০২/২০ রানওয়ে আছে। এই বিমানবন্দরে কোন যান্ত্রিক অবতরন ব্যবস্থা নেই।[৭] এখানে সাধারণ টার্মিনাল দুইটি - একটি আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল। এছাড়া একটি ভিআইপি টার্মিনাল আছে।

এই বিমানবন্দরের নেপালি সেনাবাহিনীর এয়ার সার্ভিসের বিমান পরিচালনার সক্ষমতা আছে।

সড়ক পরিবহণ সম্পাদনা

এই বিমানবন্দরটি কাঠমান্ডু এবং পটন-এর মধ্য চলাচলকারী বাসস্টেশন দ্বারা যুক্ত। বিমানবন্দরের বাইয়রে লোকাল বাস পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয় এবং প্রী-পেইড ট্যাক্সি পাওয়া যায়। শহরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে ট্যাক্সিতে যেতে প্রায় ২৫ মিনিট সময় লাগে। আন্তজেলা বাস স্টেশন বিমান বন্দর থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্ব।

বাধা - প্রতিবন্ধকতা সম্পাদনা

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিতি রয়েছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের।

হিমালয় পর্বতমালার কারণে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি দেশ নেপাল। তাই প্রতিদিন প্রচুর যাত্রীও আসা-যাওয়া করেন এখানে। পর্বত ছাড়াও প্রায়ই ঘন কুয়াশা ঘিরে ফেলে ত্রিভুবন বিমানবন্দরকে। এ কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিপত্তিতে পড়তে হয় পাইলটদের। কিন্তু বিমান সংস্থাগুলো লাভের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। চারপাশের উচুঁ পাহাড়-পর্বতে ঘেরা। এখানে উড়োজাহাজ অবতরণ করাতে যেমন সতর্ক থাকতে হয়, তেমনি ওঠানোর সময় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়। ত্রিভুবনে অবতরণের সময় প্রধান বাধা একটি বিশাল পাহাড়, এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৭০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। ত্রিভুবন বিমানবন্দরের নয় মাইল দূরে রয়েছে এই পাহাড়। এ জন্য এই রানওয়েতে কোনো উড়োজাহাজই সোজা অবতরণ করতে পারে না। ওই পাহাড় পেরোনোর পরপরই দ্রুত উড়োজাহাজ অবতরণ করাতে হয়।

এখানে অটোমেটিক ল্যান্ডিং সিস্টেমও নেই।

এয়ারলাইন্স এবং গন্তব্যস্থল সম্পাদনা

 
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স বিল্ডিং
 
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বাইরের দৃশ্য
 
কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ারবাস এ৩২০ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
 
নেপাল এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৫৭ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
 
থাই এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৭৭-২০০ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থলটার্মিনাল
এয়ার এরাবিয়া রাস আল খাইমা বিমানবন্দর, শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
এয়ার এশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
এয়ার চায়না বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চেংদু শাউংলু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হাসা বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
এয়ার ইন্ডিয়া ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী, কলকাতা, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দর, বারাণসী আন্তর্জাতিক
ভুটান এয়ারলাইন্স ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী, পারো আন্তর্জাতিক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা আন্তর্জাতিক
বুদ্ধ এয়ার ভদ্রপুর বিমানবন্দর, গৌতমবুদ্ধ বিমানবন্দর, ভাইরাহাওা , ভারতপুর বিমানবন্দর, বিরাটনগর বিমানবন্দর, ধানঘাদি বিমানবন্দর, জনকপুর বিমানবন্দর, নেপালগুঞ্জবিমানবন্দর , পোখরা বিমানবন্দর, সীমারা বিমানবন্দর, তুমলিংতর বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ
বুদ্ধ এয়ার গয়া বিমানবন্দর, গয়া, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দর, বারাণসী আন্তর্জাতিক
চায়না এয়ারলাইন্স তাইপে - তয়য়ান আন্তর্জাতিক
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স কুনমিং চাংগুসি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স গুয়ানজু বায়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, গুয়ানজু আন্তর্জাতিক
ড্রাগন এয়ার হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
ড্রুক এয়ার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী, পারো আন্তর্জাতিক
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
ফ্লাই দুবাই আল-মক্তাউম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
ইন্ডিগো ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী, আন্তর্জাতিক
কোরিয়ান এয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
মালিন্ডো এয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
নেপাল এয়ারলাইন্স ভদ্রপুর বিমানবন্দর, ভোজপুর বিমানবন্দর , বিরাটনগর বিমানবন্দর, ছারজাহারি বিমানবন্দর, ঢানগাধি বিমানবন্দর, লামিদান্দা বিমানবন্দর, তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দর, ফাপ্লু বিমানবন্দর , পোখরা বিমানবন্দর,রামজাতার বিমানবন্দর, তুম্লিঙ্গাতারবিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ
নেপাল এয়ারলাইন্স বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে, কেমপেগাওরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলম্বো দিল্লি, ঢাকা, হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, দোহা, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দুবাই, হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , কলকাতা, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মুম্বাই, চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিঙ্গাপুর, থিম্পু / পারো, টোকিও আন্তর্জাতিক
ওমান এয়ার মাস্কট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
কাতার এয়ারওয়েজ হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর, দোহা আন্তর্জাতিক
সুরিয়া এয়ারলাইন্স গৌতমবুদ্ধ বিমানবন্দর, ভাইরাহাওা, ভারতপুর বিমানবন্দর, বিরাটনগর বিমানবন্দর, ধানঘাদি বিমানবন্দর, নেপালগুঞ্জবিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ
সিচুয়ান এয়ারলাইন্স চেংদু শানলু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চংকিং বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
সিল্ক এয়ার সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
সিম্রিক এয়ারলাইন্স গৌতমবুদ্ধ বিমানবন্দর, ভাইরাহাওা, জমসম বিমানবন্দর, তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দর, পোখরা বিমানবন্দর, সীমারা বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ
সীতা এয়ার বিরাটনগর বিমানবন্দর, ত্রিভুবননগর বিমানবন্দর, ঢানগাধি বিমানবন্দর, জনকপুর বিমানবন্দর,জমসন বিমানবন্দর, তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দর ,নেপালগুঞ্জ বিমানবন্দর, পোখরা বিমানবন্দর, তুমলিংতর বিমানবন্দর[৮] অভ্যন্তরীণ
স্পাইসজেট ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লী, আন্তর্জাতিক
তারা এয়ার ভোজপুর বিমানবন্দর, লামিদান্দা , তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দর, নেপালগুঞ্জ বিমানবন্দর, ফাল্পু বিমানবন্দর, রমেছাপ বিমানবন্দর[৯] অভ্যন্তরীণ
থাই এয়ারওয়েজ সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক
টার্কিশ এয়ারলাইন্স ইস্তানবুল বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক
ইয়েতি এয়ারলাইন্স ভোজপুর বিমানবন্দর, গৌতমবুদ্ধ বিমানবন্দর, ভাইরাহাওা, ভারতপুর বিমানবন্দর,বিরাটনগর বিমানবন্দর, ঢানগাধি বিমানবন্দর,জনকপুর বিমানবন্দর, নেপালগুঞ্জ বিমানবন্দর, পোখরা বিমানবন্দর, তুমলিংতর বিমানবন্দর[১০] অভ্যন্তরীণ

ঘটনা-দুর্ঘটনা সম্পাদনা

  • ১০ মে ১৯৭২ – থাই এয়ারওয়েজের ডগলাস ডিসি-৮ বিমান ১০০ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সহ অবতরনের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এবং এতে ১ জন নিহত হয়।[১১]
  • ১৯৯২ - থাই এয়ারওয়েজের একটি এয়ারবাস অবতরণ করার জন্যে বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১৩ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হয়।[১২]
  • ১৭ জানুয়ারি ১৯৯৫ – নেপাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আরএ১৩৩ কাঠমান্ডু থেকে রামজাতার যাওয়ার সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে, এতে এক ক্রু এবং এক যাত্রী নিহত হয়।[১৩]
  • ৭ জুলাই ১৯৯৯ – লুফ্‌টহানজা কার্গো বোয়িং ৭২৭ আকাশে উড়ার ৫ মিনিট পড়ে চম্পাদেবী পর্বতে বিধ্বস্ত হয়।বিমানে থাকা ৫ জন ক্রু মারা যায়।[১৪]
  • ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ – নিকন এয়ার ফ্লাইট ১২৮ পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১০ যাত্রী এবং ৫ জন ক্রু সবাই মারা যায়।[১৫]
  • ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ – ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৮১৪ কাঠমান্ডু থেকে দিল্লী যাওয়ার পথে ছিনতাই হয়। বিমানটিকে পরে আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।
  • ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ – নেপা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।[১৬]
  • ২০১১ - বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ১৯ জন আরোহীর মধ্যে একজন শুরুতে প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হলেও পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। বলা হয় খারাপ আবহাওয়া ও নিচুতে থাকা মেঘের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিলো।
  • ২০১২ - সিতা এয়ারের একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই সম্ভবত একটি শকুনের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জন আরোহীর সবাই মারা যান।
  • ৪ মার্চ ২০১৫– টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩৩০ ঘন কুয়াশার মধ্যে অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে সরে যায়। তিরিশ মিনিট আকাশে চক্কর কাটার পরে, আবার অবতরনের চেষ্টা করে।[১৭] বিমানটি পিছলে ঘাসের উপর চলে যায় এবং বিমানের সম্মুখ চাকা ভেঙ্গে পড়ে এবং সাময়িকভাবে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য বন্ধ করা হয়।[১৮] ২২৭ যাত্রী এবং ১১ ক্রু সবাই বিমান থেকে নিরাপদে বের হয়ে যায়।[১৯]
  • ১২ মার্চ ২০১৮ - ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২১১, একটি বোম্বার্ডি ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজ যা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরে অবতরনের সময় এতে আগুন ধরে যায় ও রানওয়ের দিক পরিবর্তন করে ও পূর্বদিকে বিধ্বস্ত অবতরণ করে।এতে ৫০ জন লোক মারা যায়।[২০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Tribhuvan International Airport"। Civil Aviation Authority of Nepal। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. VNKT সম্পর্কিত বিমানবন্দর তথ্যাদি - ওয়ার্ল্ড এ্যারো ডাটাSource: DAFIF.
  3. গ্রেট সার্কেল ম্যাপার-এ KTM / VNKT সম্পর্কিত বিমানবন্দর তথ্যাদি। Source: DAFIF (effective October 2006).
  4. Administrator। "Chronology"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Austrian bids farewell to the 737", Airliner World, June 2013: p6
  6. Medyasoft (c) 2012। "International Flight Destinations & Special Offers – Turkish Airlines"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  7. "Kathmandu – Tribhuvan Airport (KTM/VNKT)"azworldairports.com। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  8. "Sita Air"। ১৬ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  9. "Tara Air schedulef flights timetable"। ১৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  10. "404-Error: 404"। ৩০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 
  11. Harro Ranter (১০ মে ১৯৭৩)। "ASN Aircraft accident Douglas DC-8-33 HS-TGU Kathmandu-Tribhuvan Airport (KTM)"। ২০ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 
  12. "ত্রিভুবন-বিমানবন্দর-এ-পর" 
  13. Aviation Safety Network ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে. Retrieved 18 November 2006.
  14. Harro Ranter (৭ জুলাই ১৯৯৯)। "ASN Aircraft accident Boeing 727-243F VT-LCI Kathmandu"। ২১ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 
  15. Aviation Safety Network ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে. Retrieved 18 November 2006.
  16. The Aviation Herald. Retrieved 26 December 2008.
  17. Saul, Heather (৪ মার্চ ২০১৫)। "Turkish Airlines flight TK 726 crash-lands on Nepal runway in dense fog"The Independent। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  18. "TIA to remain closed until 10 am Friday"eKantipur.com। ৫ মার্চ ২০১৫। ৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  19. Pokharel, Krishna (৪ মার্চ ২০১৫)। "Turkish Airlines Jet Veers Off Runway in Nepal"The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫ 
  20. "নামার সাথে সাথে বিমানটি কাঁপছিলো: প্রত্যক্ষদর্শী"বিবিসি বাংলা। ১২ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা