ডিজনির রেনেসাঁ

বর্তমানের ওয়ার্ল্ড ডিজনী এ্যানিমেশন ষ্টুডিওর সেকাল একাল

ডিজনির রেনেসাঁ বা পুনঃজাগরনের সময় বলা যেতে পারে ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল সময়কে। এই সময়ের ভিতরে ওয়াল্ট ডিজনি ফিচার অ্যানিমেশন সমালোচনা মুখর ও বানিজ্যিকভাবে সফল অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র তৈরীতে ফিরে আসে। এগুলো ছিল মূলত১৯৩০ সাল থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে ওয়াল্ট ডিজনির যুগে বহুল প্রচলিত পরিচিত গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরী।[১][২] এই পুনরূত্থান ডিজনি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রকে যোগ্যতার এক নতুন মাত্রা যোগ করে এবং দেশী বিদেশী বক্স অফিসে এক অসাধারণ সাফল্য দেখায় যা আগের ডিজনি যুগের অনেক চলচ্চিত্রর চাইতে বেশি লাভ এনে দেয়। [৩][৪][৫] এই সময়ে ডিজনির মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ছিলঃ দ্য লিটল মারমেইড (১৯৮৯), দ্য রেসকিউয়ার্স ডাউন আন্ডার (১৯৯০), বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট (১৯৯১), আলাদিন (১৯৯২), লায়ন কিং (১৯৯৪), পোকহনতাস (১৯৯৫), নতরদামের হান্চব্যাক (১৯৯৬), হারকিউলিস (১৯৯৭), মুলান (১৯৯৮), এবং টারজান(১৯৯৯)[৫] প্রায়শ ফ্যান্টাসিয়া ২০০০ (১৯৯৯)কে ডিজনি রেনেঁসার শেষ চলচ্চিত্রও বলা হয়।[৬]

রয় ই, ডিজনি অ্যানিমেশন বিল্ডিং, ১৯৯৫ সালে নতুন ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিও হিসেবে এটাকে উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

পটভূমি (প্রাক ১৯৮৮) সম্পাদনা

 
ওয়ার্ল্ড ডিজনি স্টুডিও এর আদি দালান যেটা অ্যানিমেশন ডিপার্টমেন্ট ১৯৮৫ সালে ছেড়ে এসেছে।

ওয়াল্ট এবং রয় ও ডিজনি মৃত্যুর পর (যথাক্রমে ১৯৬৬ এবং ১৯৭১ সাল), ওয়ার্ল্ড ডিজনি স্টুডিও ডন তাতুম, কার্ড ওয়াকার, এবং ওয়াল্টের জামাতা রন মিলার হাতে ন্যস্ত হয়। ১৯৭৭ সালের দ্য রেসকিউয়ারস্‌,চলচ্চিত্রটির পরে সমালোচক আর দর্শকরা ডিজনি অ্যানিমেশনের এক স্বর্ণ যুগের সূচনা হবে বলে অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু ব্যবস্থাপনার এই পরিবর্তনের পরবর্তী ১৮ বছর ধরে তৈরী করা সব চলচ্চিত্র তাদের আগের ব্যবস্থাপনার মত তেমন ব্যবসায়িক সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি।[৭]দি ফক্স এন্ড দি হাউন্ড , চলচ্চিত্রটি নির্মান করার সময় ডিজনিকে বিশেষ একটা বড় ধাক্কা সামলাতে হয় যখন দীর্ঘ দিনের অ্যানিমেটর ডন ব্লথ ডিজনি ছেড়ে যাবার সময় ১১ জন অ্যানিমেটরকে নিয়ে ডিজনির প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে তার নিজের স্টুডিও ডন ব্লথ প্রডাকশন শুরু করেন। [৮][৯] ১৭% অ্যানিমেটর ডিজনি ছেড়ে চলে যাওয়ায় দি ফক্স এন্ড দি হাউন্ড নির্মান কাজ বিলম্বিত হতে থাকে। ১৯৮২ সালে ডন ব্লথ প্রডাকশন দি সিক্রেট অব নিমহ্‌ তৈরী করে (যে কাহিনী মূলতঃ ডিজনি বেশি পাগলাটে বলে প্রত্যাখান করেছিল)। কোম্পানীটি ক্রমশ, ১৯৮০তে এবং ১৯৯০ এর প্রথমে ডিজনির প্রধান প্রতিদ্বন্ধী হয়ে ওঠে। শৌল স্টেইনবার্গের কর্তৃত্ব গ্রহণ করার এক বেপরোয়া চেস্টা থেকে বেচেঁ যাবার পর, ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি ডিজনি স্টুডিও বড় এক সাংগঠনিক পরির্বতন আনে যেখানে, প্রাক্তন প্যারামাউন্ট পিকচারস এর মাইকেল আইজনার, ১৯৮৪ সালে সি,ই, ও নিযুক্ত হন এবং প্যারামাউন্টে তার প্রাক্তন সহকারী জেফ্রি কাটজেনবার্গ,তার সাথে যোগ দেন। অন্যদিকে ভূতর্পূব ওয়ার্নার বাদ্রার্সএর ফ্র্যাঙ্ক ওয়েলস,প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৮৫ সালে লাইভ-এ্যাকশন সিনেমার জন্য আরও জায়গা করে দেবার জন্য অ্যানিমেশন বিভাগটিকে বারব্যাঙ্ক এর প্রধান এলাকা থেকে সরিয়ে "অস্থায়ী" ভিত্তিতে প্রায় ২ মাইল (৩.২ কিমি) পূর্বে গ্ল্যান্ডেলের কাছাকাছি বিভিন্ন হ্যাঙ্গার, গুদাম এবং ট্রেলারে ১০ বছরের জন্য সরিয়ে নেয়া হয়। এভাবে ডিজনি রেনেসাঁ (যেখানে এর নির্মান হয়েছিল) গ্ল্যান্ডেলের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল বিজনেস সেন্টারের কাছে বরং সাধারণ একটা শিল্প পার্কে চলতে থাকে।

১৯৮৫ সালে পিজি-রেটেড ব্ল্যাক ক্যালড্রন,বক্স অফিসে অসফল হবার পর অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পরে। স্টুডিওর ৩০ বছরের লালন করা নীতির বিরুদ্বে গিয়ে কোম্পানী টেলিভিশন অ্যানিমেশন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে যেটা (বর্তমানে ডিজনি টেলিভিশন অ্যানিমেশন),ডাকটেলস্‌এর মত শো তৈরী করছে। স্টুডিওর মূল ব্যবসাটিকে রক্ষা করার জন্য রয় ই, ডিজনি অ্যানিমেশন ডিপার্টমেন্টটিকে তাকে দেখাশুনা করতে দেবার জন্য আইজনারকে রাজী করান এই আশায় যে একদিন এই বিভাগটির ভাগ্য ফিরে আসবে।

১৯৮৬ঃ দ্য গ্রেট মাউস ডিটেক্টিভ বনাম এ্যান এ্যামেরিকান টেইল সম্পাদনা

 
গ্ল্যান্ডেলে ১৪০০ ফ্লাওয়ার স্ট্রীট, যেখানে ডিজনি রেনেঁসা অনেক চলচ্চিত্র মুক্তির তারিখ ঘোষনার পরও আংশিকভাবে নির্মিত হয়েছিল।

১৯৮৬ সালে ডিজনি দ্য গ্রেট মাউস ডিটেক্টিভ মুক্তি দেয়, আর সে সময় ডন ব্লথ মুক্তি দেয় এ্যান এ্যামেরিকান টেইল। ডন ব্লথের ছবিটি সাফল্য মাউস ডিটেক্টিভকে ছাড়িয়ে যায় এবং প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি হিসেবে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে।[১০] এ্যান এ্যামেরিকান টেইল'এর বড় ধরনের সাফল্যর পরও, দ্য গ্রেট মাউস ডিটেক্টিভ সমালোচনা ও ব্যবসায়িক দিক থেকে যথেস্ট সাফল্য পায়। এতে ডিজনির অ্যানিমেশন বিভাগটির কার্যনির্বাহীদের মনোবল বেড়ে যায়। দুই বছর পরে, অলিভার এন্ড কোম্পানী অর্থনৈতিক দিক থেকে সাফল্যে দি ল্যান্ড বিফোর টাইমকে পিছনে ফেলে দেয়। যুক্তরাস্ট্রের বাজারে - (যদিও পৃথিবীর অন্য জায়গায় বিপরীত ঘটনা ঘটেছিল), স্টুডিওগুলোর জন্য একটা নাটকীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুর যুগের সূচনা করেছিল।

১৯৮৮ সালে ডিজনি এ্যান এ্যামেরিকান টেইল এবং দি ল্যান্ড বিফোর টাইমএর প্রযোজক স্টিভেন স্পিলবার্গের সাথে জোট বাধেঁ এবং দীর্ঘদিনের অ্যানিমেশন ভক্তজীবন্ত চরিত্র/অ্যানিমেশনের সংমিশ্রনে এক উন্নতমানের সংকর ছবি হু ফেম্রড রজার র‌্যাবিট, তৈরী করেন। এখানে ১৯৩০ এবং ১৯৪০ দশকে বিভিন্ন স্টুডিওর অ্যানিমেটেড অনেক চরিত্রকে একসাথে উপস্থাপন করেন। এই ছবিটা সমালোচনা ও ব্যবসায়িক দিক থেকে দারুন সাফল্য পায় এবং ‍তিনটি একাডেমি এওর্য়াড ফর টেকনিক্যাল এ্যাচিভমেন্ট, পুরস্কার জিতে নেয়। মঞ্চভিত্তিক কার্টুন অ্যানিমেশনে উদ্দীপনা আবার নতুন করে ফিরে আসে। এই চলচ্চিত্র ছাড়াও, স্পিলবার্গ থ্রি রজার র‌্যাবিটস্বল্প দৈর্ঘ্য সিরিজ তৈরী করতে সাহায্য করেন। ১৯৮৮ সালে গ্রীষ্মের সবচাইতে বড় আকর্ষণ হিসাবে রজার র‌্যাবিট বক্স অফিস প্রাপ্তিতে প্রথম স্থান করে নেয়।[১১]

দি ডিজনি রেনেসাঁর প্রতিযোগিতার প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ডন ব্লথের অ্যানিমেটেড প্রোডাকশন সেই সঙ্গে বিদেশী অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র, বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য, জাপানি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকির স্টুডিও ঘিবলি অ্যানিমেগুলো[১২] তার লুপিন দ্য থার্ড চলচ্চিত্রায়ন, ক্যাসল অব ক্যাগলিওস্ট্রো (১৯৭৯), দ্য গ্রেট মাউস ডিটেক্টিভ এর ঘটনাপ্রবাহকে চরমভাবে প্রভাবিত করে। এতে ডিজনি রেনেসাঁর সামনে যাবার পথ সুগম হয়। কম্পিউটারে তৈরী করা চিত্র (সিজিআই), এ তৈরী করা দুই মিনিটের চূড়ান্ত দৃশ্যটি ছিল সম্পূর্নভাবে কম্পিউটার অ্যানিমেশনে, ব্যবহার করে করা ডিজনির প্রথম চলচ্চিত্র। এই ঘটনাটাকেই ডিজনি এ চলচ্চিত্র বিপণন করার সময় প্রচার করে। [১৩][১৪] দ্য লিটল মারমেইড, বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট , এবং আলাদিন,এর মত বিখ্যাত সব ছবির একজন প্রথম সারির অ্যানিমেটর গ্লেন কিএন, বলেন সেই দ্য রেসকিউয়ারস্ ডাউন আন্ডারএর সময় থেকেই মিয়াজাকির কাজ ডিজনির অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের উপর "বিশাল এক প্রভাব" ফেলে আসছে।.[১৫]

সময়ধারা (১৯৮৯–৯৯) সম্পাদনা

 
1400 গ্লেন্ডেলর এয়ারওয়ে, যেখানে ডিজনি রেনেসাঁর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র আংশিকভাবে নির্মিত হয়েছিল।

১৯৮৯ঃদ্য লিটল মারমেইড সম্পাদনা

সেই ১৯৩০ সাল থেকেই ডিজনি দ্য লিটল মারমেইডছবিটি একটু একটু করে উন্নত করে আসছিল। ১৯৮৮ সালে, রজার র‌্যাবিট এর সাফল্যের পর, ডিজনি স্টুডিও এটাকে আগের অনেক ছবির মত সঙ্গীত প্রধান, ছবি হিসেবে তৈরী করে একটা ব্রডওয়ের মত আবহ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। গীতিকার হাওয়ার্ড এ্যাশমান এবং সুরকার অ্যালান মেনকেন, এরা ব্রডওয়েতে অনেকদিন কাজ করেছেন এবং লিটল শপ অব হররস]], মত ছবি তৈরীতে জড়িত ছিলেন। সঙ্গীত প্রধান এই ছবিটি তৈরীর সময় কাহিনী, গীতিনাট্য লেখা ও সুর দেবার জন্য নিযুক্ত হন যাতে ছবিটি ভাল বাজার পায়।[১৬]

১৯৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া ছবি দ্য লিটল মারমেইড ছিল একটা সংকটময় সময়ে বাণিজ্যিক ভাবে সফল এবং ওই একই সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্লথের অল ডগস গো টু হ্যাভেনের, চাইতে বেশি লাভ ঝোলায় ভরে,[১৭] এবং সময়ের সাথে সাথে দি ল্যান্ড বিফোর টাইপে'র মত অ্যানিমেটেড ছবির জগতে সর্বোচ্চ আয়ের রের্কড ভেঙ্গে ফেলে। শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান ("আন্ডার দ্য সি") এবং বেস্ট অরিজিনাল স্কোর, এর জন্য দুটি একাডেমি এওর্য়াড জিতে নেয় সেই সংঙ্গে "কিস দ্য গার্ল" এর জন্য বেস্ট অরিজিনাল সংঙের জন্য নমিনেশন পেয়ে যায়।[১৮]ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিও এক বছর পর তাদের প্রথম ধারাবাহিক রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার মুক্তি দেয়। ছবিটি ইতিবাচক সাড়া পেলেও দ্য লিটল মারমেইডের মত বাণিজ্যিক সফলতা পায় নি।[১৯] এরপর ১৯৯১ সালে আসেবিউটি এন্ড দ্য বিস্ট। এটাই প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি যেটা প্রথম একাডেমি এওর্য়াড ফর বেস্ট পিকচার,এর জন্য মনোনয়ন পায় এবং এর শ্রেনীতে মাত্র পাচঁটি মনোনয়ন থাকার কারনে এটাই একমাত্র বেস্ট পিকচার মনোনীত ছবি হিসেবে রয়ে যায়। (১৯৪৪–২০০৮)। বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট গোল্ডেন গ্লোব এ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট পিকচার (মিউজিকাল অর কমেডি) জিতে এবংবেস্ট অরিজিনাল স্কোর এবং শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান এর জন্য দুটি একাডেমি পুরস্কার পায়।[২০][২১] বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট বেস্ট সাউন্ড, একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় সেই সংঙ্গে আরও দুইটা মনোনয়ন পায় শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান এর জন্য।[২১]

১৯৯০-৯১ঃ দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার এবং বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট সম্পাদনা

ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিও এক বছর পর তাদের প্রথম ধারাবাহিক দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার মুক্তি দেয়। ছবিটি ইতিবাচক সাড়া পেলেও দ্য লিটল মারমেইডের মত বাণিজ্যিক সফলতা পায় নি।[১৯] এরপর ১৯৯১ সালে আসেবিউটি এন্ড দ্য বিস্ট। এটাই প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি একাডেমি এওর্য়াড ফর বেস্ট পিকচার,এর জন্য মনোনয়ন পায়। এই শ্রেনীতে মাত্র পাচঁটি মনোনয়ন থাকার কারনে এটাই একমাত্র বেস্ট পিকচার মনোনীত ছবি হিসেবে রয়ে যায়। (১৯৪৪–২০০৮)। বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট গোল্ডেন গ্লোব এ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট পিকচার (মিউজিকাল অর কমেডি) জিতে এবংবেস্ট অরিজিনাল স্কোর এবং শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান এর জন্য দুটি একাডেমি পুরস্কার পায়।[২১][২২]বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট বেস্ট সাউন্ড, একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় সেই সংঙ্গে আরও দুইটা মনোনয়ন পায় শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান এর জন্য।

১৯৯২–৯৪ঃ আলাদিন এবং দি লায়ন কিং সম্পাদনা

এর পরে ১৯৯২ এবং ১৯৯৪ সালে যথাক্রমে মুক্তি পায়,আলাদিন এবং দি লায়ন কিং। দুইটা মুভিই ওই সালগুলোতে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করে।[২৩][২৪] আলাদিন মুক্তি পাবার সময় ছিল সবোর্চ্চ আয় করা অ্যানিমেটেড ছবি কিন্তু দি লায়ন কিং, মুক্তি পেয়ে এটাতে দ্বিতীয় সারিতে নামিয়ে দেয়। দি লায়ন কিং এর মুক্তির বছরে যে শুধু সবোর্চ্চ আয় করে তাই না, পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী অ্যানিমেটেড ফিল্মের ইতিহাসে এটা সবোর্চ্চ আয়কারী ছবি হিসেবে রয়ে যায়।[২৫]

হাওয়ার্ড অ্যাশমান মারা যাবার আগে আলাদিনের জন্য বেশ কিছু গান লেখেন কিন্তু এর মধ্যে মাত্র তিনটি গান ছবিতে ব্যবহার করা হয়। শেষমেশ টিম রাইস এই প্রকল্পে যোগ দেন এবং অ্যালান মেনকেনের সাথে ছবির বাকী অংশ ও গানগুলো শেষ করেন। এ্যাবা দি লায়ন কিং এর গান লিখবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে, রাইস, এলটন জন এবং হ্যান্স জিমারের সহযোগিতায় কাজটি শেষ করেন। দুটি ছবিই শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান এবং বেষ্ট অরিজিনাল স্কোর জন্য এ্যাকাডেমি পুরস্কার জিতে নেয়।[২৬][২৭] এছাড়াও আলাদিন বেষ্ট অরিজিনাল সংঙ এবং বেষ্ট সাউন্ড আর বেষ্ট সাউন্ড এফেক্টস এডিটিং, এর জন্য মোট পাচঁটি নমিনেশন পেয়ে যায়।[২৬] দি লায়ন কিং শ্রেষ্ঠ মৌলিক গানএর দুটি সহ আরও চারটি এ্যাকাডেমি এ্যাওর্য়াড পেয়ে যায়।[২৭]

 
৬২২/৬১০ সার্কেল ৭ ড্রাইভ (হার্ট-ড্যানন বিল্ডিং),যেখানে ডিজনী রেনেসাঁর অনেক ছবি আংশিক নির্মিত হয়েছিল।

এই দুটি ছবি তৈরীর মধ্যেই, ডিজনী এ্যানিমেশন তৈরীর পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে এবং প্রাক্তন ডিজনী এ্যানিমেটর টিম বার্টনের সহযোগিতায় দ্য নাইট মেয়ার বিফোর ক্রিসমাস (১৯৯৩) ছবিটি তৈরী করে। [২৮] এর জন্য পুনঃজাগরনের প্রথম দিকের ছবিগুলোকে কৃতিত্ব দিতে হয়, ডিজনীর ব্যবস্থাপনা পরিষদ পরবর্তীতে যথেষ্ট টাকা পয়সা বরাদ্দ করে এবং ডিজনীর ফিচার অ্যানিমেশন ছবিগুলোকে ১০ বছরের নির্বাসন থেকে গ্ল্যান্ডেলে ফিরিয়ে আনে। ডিসেম্বর ১৬, ১৯৯৪ সালে রবার্ট এ, এম,স্টারনের নকশা করা ২৪০,০০০ বর্গ ফুটের দালানটি প্রধান এলাকা সরিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

১৯৯৫–৯৭ঃ পোকাহনতাস, দি হান্চব্যাক অব নতর দাম, এবং হারকিউলিস সম্পাদনা

১৯৯৫ সালে ডিজনী পিক্সারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রথম সর্ম্পূন কম্পিউটারে তৈরী অ্যানিমেশন ফিল্ম টয় স্টোরি, নির্মান করে। ১৯৯৫ সালে ডিজনীর পরবর্তী অ্যানিমেটেড ছবি ছিল পোকাহনতাস, এই ছবির জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তারপরও সারা পৃথিবীতে এটার প্রদর্শিত আয় ছিল ৩৪৬ মিলিয়ন ডলার। ছবিটি বেষ্ট অরিজিনাল মিউজিকাল অর কমেডি স্কোর এবং কালারস অব দ্য উইন্ড" গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান, দু’টো এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ড পায়।[২৯] পরের বছর, ডিজনীর ১০০ মিলিয়ন বেশি বাজেটের প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি দি হান্চব্যাক অব নতর দাম(১৯৯৬), পোকাহনতাসের চাইতে ভাল পর্যালোচনা পায় কিন্তু বক্স অফিসে এর আয় হয় কম, ৩২৫ মিলিয়ন ডলার। এই দুটি ছবির পুরোধা গীতিকার ছিলেনস্টিফেন শোয়ার্জ (বর্তমানে শুধু মেনকেন মিউজিকে কাজ করছেন)।

১৯৯৭ সালে হারকিউলিস, মুক্তি পেলে বক্স অফিসে ২৫২ মিলিয়ন ডলার আয় করে যা হান্চব্যাকথেকে ৭৩ মিলিয়ন কম, সংবাদ মাধ্যমগুলো খোলাখুলি বলতে থাকে ডিজনী এ্যানিমেশন তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যানিমেটেড ছবির হিসেবে নীচের দিকে নেমে যাচ্ছে। যদিও এ ছবি পোকাহনতাস এবং দি হান্চব্যাক অব নতর দাম এর চাইতে বেশি ইতিবাচক পর্যালোচনা পায় তারপরও ড্রিম ওর্য়কস এবং পিক্সার মত প্রতিদ্বন্দী কোম্পানীগুলোর কাছে প্রতিযোগিতায় ডিজনী এ্যানিমেশন একটা হুমকির মুখে রয়ে যায়।[৩০][৩১] তিনটি ছবির প্রধান গান তৈরী করেছেন অ্যালান মেনকেন

১৯৯৮–৯৯ঃ মুলানটারজান সম্পাদনা

ডিজনীর পরের ছবি, মুলান (১৯৯৮), এবার জেরি গোল্ডস্মিথ এবং ম্যাথিউ ওয়াইল্ডার এবং ডেভিড জিপেলের সঙ্গীতে,সারা পৃথিবীর বক্স অফিস জুড়ে আয় করে ৩০৪ মিলিয়ন ডলার। এ সাফল্য ডিজনীর বাণিজ্যিক ও সমালোচনায় ভাল অবস্থান ফিরিয়ে আনে।টারজান ছবিটির মুক্তি এর পূর্ববর্তী রেনেসাঁ যুগের অবসান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৩২][৩৩] With ফিল কলিন্সের ইউ উইল বি ইন মাই হার্ট" সঙ্গীতের জন্য, টারজান শ্রেষ্ঠ মৌলিক গানবিভাগে [[একাডেমি এ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।[৩৪] এবং দি লায়ন কিংএর পরে, ডিজনীর সবচাইতে বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। বক্স অফিসে এর আয় হয় ৪৪৮ মিলিয়ন ডলার এবং সর্বত্র ইতিবাচক সমালোচনা পায়। টারজানকে এ সময়ের সবচাইতে ব্যয়বহুল অ্যানিমেটেড ছবি হিসেবে ধরা হয় যার ব্যয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার, যার বেশীর ভাগ ব্যয় হয় কম্পিউটার-সহায়ক নতুন পদ্ধতি তৈরী করতে, যেমন “ডীপ ক্যানভাস” নামে পটভূমি রঙিন করার নতুন পদ্ধতির জন্য । [৩৫] বারব্যাঙ্ক এর রেনেঁসা শুরুর পর নতুন ষ্টুডিওতে এটাই সর্ম্পূন প্রথম লেখা, তৈরী এবং প্রযোজনা করা ছবি। অন্য সব ছবিই হয় পুরোপুরি গ্ল্যান্ডেলে তৈরী অথবা গ্ল্যান্ডেলে শুরু হবার পর সেটাকে বারব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

টেলিভিশন ভিত্তিক এ্যানিমেশনে সাফল্য (১৯৮৫–১৯৯৮) সম্পাদনা

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র জগতে সাফল্যের পাশাপাশি এই সময়ে ডিজনী টেলিভিশনে জগতে জনপ্রিয় হবার জন্য বড় সড় পদক্ষেপ নেয়। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে টেলিভিশনের জন্য অ্যানিমেটেড ছবি তৈরী বিভিন্ন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবার পর অবশেষে ডিজনী এক সময়ের টিভিতে অভিজ্ঞতা আছে মাইকেল আইজনারের প্রতি সদয় হয় এবং মাইকেল আইজনার টিভি চলচ্চিত্র তৈরীর দায়িত্ব নেয়। ডিজনীর নাম বহন করা প্রথম টিভি কার্টুন ছবি, সিবিএস'এর দ্য ওয়াজলস এবং এনবিসি'এর ডিজনীস এ্যাডভেঞ্চার অব দি গামি বিয়ারস, দুটোরই অভিষেক হয় ১৯৮৫ সালের শরৎকালে। টিভি মিডিয়ার প্রচলিত অভ্যাস থেকে বেরিয়ে এসে এই চলচ্চিত্র নির্মানের বাজেট ছিল প্রচলিত গড় বাজেটের চেয়ে বেশি যার জন্য এতে উন্নত মানের চিত্রনাট্য ও অ্যানিমেশন করা সম্ভব হয়েছিল। সিন্ডিকেটদের কাছ থেকে লাভের অংশ পুনরূদ্ধার করার পূর্ব ধারণা থেকেই এটা করা হয়েছিল। দ্য ওয়াজলস ছিল মাত্র একটা মৌসুম অন্যদিকে ডিজনীস এ্যাডভেঞ্চার অব দি গামি বিয়ারস টিকে ছিল টানা ছয় মৌসুম। ১৯৮৭ সালে ডিজনীর অ্যানিমেশন বিভাগ ছোট পর্দার জন্য কার্ল বার্কস'এর স্ক্রুজ ম্যাকডাক কমিক বইটির চরিত্র বেছে নেয় সঙ্গে ছিল বিভিন্ন স্থানীয় টিভিতে বিক্রিত হিট ছবি ডাক টেলস । এই সাফল্য থেকে অনুপ্রানিত হয়ে, সিন্ডিকেটেড ছবিতে আরও বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ১৯৯০ সালে থিয়েটার ভিত্তিক ছবি ডাক টেলস দ্য মুভিঃ ট্রেজার অব দি লস্ট ল্যাম্প তৈরী হয়। বর্ধিত বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় দ্য ডিজনী আফটারনুন। বিভিন্ন চ্যানেলে এ রকম দুই ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য তৈরী হয় অ্যানিমেটেড ছবি যেমনঃ দি নিউ অ্যাডভেঞ্চারস অফ উইনি দ্য পূহ(১৯৮৮-১৯৯১), চিপ 'এন ডেল রেসকিউ রেঞ্জার্স (১৯৮৯–১৯৯১),টেলস্পিন (১৯৯০–১৯৯১), ডার্কউইং ডাক (১৯৯১–১৯৯৩, এবং এবিসি)তে সম্প্রচারিত গুফ ট্রুপ (১৯৯২–১৯৯৪), আর বোকার্স (১৯৯৩–১৯৯৪), এবং আরও একটি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত এবং এখনও জনপ্রিয় গারগোইলস (১৯৯৪–১৯৯৭). টিভি অ্যানিমেশন আরও কিছু ফিচার ছবি এনেছিল শনিবার সকালে প্রচারের জন্য যার মধ্যে ছিল দ্য লিটল মারমেইড এবং আলাদিন তিমন ও পুম্বা এবং হারকিউলিস, এর প্রথম দুইটা প্রচারিত হতো সিবিএস এ।

অভ্যর্থনা সম্পাদনা

সমালোচনা এবং জনসাধারণের সাড়া সম্পাদনা

রেনেসাঁর যুগে ডিজনির মুক্তিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই বেশ প্রশংসিত হয়েছিল, যেমন, চলচ্চিত্র সমালোচনার ওয়েব সাইট রোটেন টমেটোসে প্রথম সারির পাঁচটির মধ্যে চারটি ছিল - দ্য লিটল মারমেইড, বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট,আলাদিন এবং দ্য লায়ন কিং । এগুলো সেরা সমালোচকদের দারুন প্রশংসা পায় (৯০% এরও বেশি ইতিবাচক পর্যালোচনা) এবং সমালোচকরা এই ছবিগুলোকে "বড় চার" হিসাবে উল্লেখ করতে থাকে যেখানে পোকাহনতাসের ডিজনির রেনেসাঁ ফিল্মগুলির সর্বনিম্ন ইতিবাচক স্কোর পেয়েছে (৫৫% ইতিবাচক পর্যালোচনা)।

চলচ্চিত্র পরিচালক রোটেন টমেটোস মেটাক্রিটিক সিনেমাস্কোর
দ্য লিটল মারমেইড রন ক্লিমেন্টস
জন ম্যাসকার
৯৩%
(৮.১/১০ গড় মান) (৭০টি পর্যালোচনা)[৩৬]
৮৮ (২৪টি পর্যালোচনা)[৩৭]
দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার হেন্ডেল বুটয়
মাইক গ্যাব্রিয়েল
৭০%
(৬.২/১০ গড় মান) (২৬টি পর্যালোচনা)[৩৮]
৭০ (১৯টি পর্যালোচনা)[৩৯]
বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট গ্যারি ট্রাসডেল
কার্ক ওয়াইজ
৯৪%
(৮.৫/১০ গড় মান) (১১৬টি পর্যালোচনা)[৪০]
৯৫ (২২টি পর্যালোচনা)[৪১] এ প্লাস[৪২]
আলাদিন রন ক্লিমেন্টস
জন ম্যাসকার
৯৫%
(৮.১০/১০ গড় মান) (৭৪টি পর্যালোচনা)[৪৩]
৮৬ (২৫টি পর্যালোচনা)[৪৪] এ প্লাস[৪২]
দ্য লায়ন কিং রজার অ্যালারস
রব মিনকফ
৯৩%
(৮.৪০/১০ গড় মান) (১২৮টি পর্যালোচনা)[৪৫]
৮৮ (৩০টি পর্যালোচনা)[৪৬] এ প্লাস[৪২]
পোকাহনতাস মাইক গ্যাব্রিয়েল
এরিক গোল্ডবার্গ
৫৫%
(৬/১০ গড় মান) (৫৬টি পর্যালোচনা)[৪৭]
৫৮ (২৩টি পর্যালোচনা)[৪৮] এ মাইনাস[৪২]
দি হান্চব্যাক অব নতর দাম গ্যারি ট্রাসডেল
কার্ক ওয়াইজ
৭১%
(৭.১০/১০ গড় মান) (৫৬টি পর্যালোচনা)[৪৯]
৭৪ (২৮টি পর্যালোচনা)[৫০] [৪২]
হারকিউলিস রন ক্লিমেটস
জন ম্যাসকার
৮৪%
(৭/১০ গড় মান) (৫৫টি পর্যালোচনা)[৫১]
৭৪ (২২টি পর্যালোচনা)[৫২] [৪২]
মুলান ব্যারি কুক
টনি ব্যানক্রফট
৮৬%
(৭.৫০/১০ গড় মান) (৭৭টি পর্যালোচনা)[৫৩]
৭১ (২৪টি পর্যালোচনা)[৫৪] এ প্লাস[৪২]
টারজান কেভিন লিমা
ক্রিস বাক
৮৯%
(৭.৬/১০ গড় মান) (১০৫টি পর্যালোচনা)[৫৫]
৭৯ (২৭টি পর্যালোচনা)[৫৬] [৪২]

বক্স অফিসে সাফল্য সম্পাদনা

চলচ্চিত্র মুক্তির তারিখ আয় ক্রম বাজেট তথ্যসূত্র
যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক বিশ্বব্যাপী ঘরোয়া সর্বকালীন (ক) বিশ্বব্যাপী সর্বকালীন
দ্য লিটল মারমেইড ১৭ নভেম্বর ১৯৮৯ $১১১,৫৪৩,৪৭৯ $৯৯,৮০০,০০০ $২১১,৩৪৩,৪৭৯ ৫৮৫ 585 ৭০৫ $৪০,০০০,০০০ [৫৭]
দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার ১৬ নভেম্বর ১৯৯০ $২৭,৯৩১,৪৬১ $১৯,৪৬৮,৫৩৯ $৪৭,৪০০,০০০ ২,৭৫৭ 2757 2757 $২৭,০০০,০০০ [৫৮]
বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট ২২ নভেম্বর ১৯৯১ $২১৮,৯৬৭,৬২০ $২২৪,০৩৩,৯৫৬ $৪৪৩,০০১,৫৭৬ ১৫৮ ১৩৪ ২৫১ $২৫,০০০,০০০ [৫৯]
আলাদিন ২৫ নভেম্বর ১৯৯২ $২১৭,৩৫০,২১৯ $২৮৬,৭০০,০০০ $৫০৪,০৫০,২১৯ ১৬৪ ১০১ ১৩৯ $২৮,০০০,০০০ [৬০]
দ্য লায়ন কিং ২৪ জুন ১৯৯৪ $৪২২,৭৮৩,৭৭৭ $৫৪৫,৭০০,০০০ $৯৬৮,৪৮৩,৭৭৭ ২২ ১৯ ৩৯ $৪৫,০০০,০০০ [৬১]
পোকাহনতাস ২৩ জুন ১৯৯৫ $১৪১,৫৭৯,৭৭৩ $২০৪,৫০০,০০০ $৩৪৬,০৭৯,৭৭৩ ৩৮১ 381 ৩৬৩ $৫৫,০০০,০০০ [৬২]
দি হানচব্যাক অব নতর দাম ২১ জুন ১৯৯৬ $১০০,১৩৮,৮৫১ $২২৫,২০০,০০০ $৩২৫,৩৩৮,৮৫১ ৬২৩ 623 ৩১৪ $১০০,০০০,০০০ [৬৩]
হারকিউলিস ২৭ জুন ১৯৯৭ $৯৯,১১২,১০১[৬৪] $১৫৩,৬০০,০০০ $২৫৩,৭১২,১০১ ৬২৯ 629 ৪৫০ $৮০,০০০,০০০ [৬৫]
মুলান ১৯ জুন ১৯৯৮ $১২০,৬২০,২৫৪ $১৮৩,৭০০,০০০ $৩০৪,৩২০,২৫৪ ৪৪৪ 444 ৩৪৭ $৯০,০০০,০০০ [৬৬]
টারজান ১৮ জুন ১৯৯৯ $১৭১,০৯১,৮১৯ $২৭৭,১০০,০০০ $৪৪৮,১৯১,৮১৯ ২২৮ 228 ১৭৯ $১৩০,০০০,০০০ [৬৭]

নির্দেশক

  • (ক) বর্তমান টিকিটের দামের উপর ভিত্তি করে সামঞ্জস্যপূর্ণ মোটকে নির্দেশ করে (বক্স অফিস মোজো কর্তৃক গণনা)।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. দি আর্ট অব ডিজনিঃ দ্যা গোল্ডেন এজ (১৯৩৭–১৯৬১). ক্রনিকল বুকস্‌। ২০১৪। আইএসবিএন ৯৭৮১৪৫২১২২২৯৮.
  2. মিরারচি, চাক। অক্টোবর, ১৬, ২০১৬। "Taschen Releases Book About Disney’s Golden Age of Animation." ডিজনি ইনফরমেশন স্টেশন.
  3. "ডিজনিঃ নোটস্‌ অন দ্য এন্ড অব দ্য ডিজনি রেনেঁসা"। ডিসেন্টফিল্মস.কম। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৬, ২০০৮ 
  4. পুইগ, ক্লডিয়া (মার্চ ২৬, ২০১০)। "'ওয়েকিং ‍স্লিপিং বিউটি' ডকুমেন্টারী টেকস অ্যানিমেটেড লুক এট ডিজনি রেনেঁসা"ইউএসএ টুডে। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬, ২০১১ 
  5. পলান্ট, ক্রিস (২০১১)। ডিমিস্টিফাইং ডিজনিঃ এ হিস্টরী অব ডিজনি ফিচার অ্যানিমেশন। নিউ ইয়র্ক: কনটিনাম পাবলিকেশনস। পৃষ্ঠা ৮৯। আইএসবিএন 9781441150462। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৩, ২০১৭ 
  6. জোস স্পিগেল (জুলাই ২৮, ২০২০)। "'ফ্যান্টাসিয়া ২০০০,' এন্ড হোয়াই ইট সুড বি কনসিডারেট পার্ট অব দ্য ডিজনি রেনেঁসা"PopOptiq 
  7. কাওলি, জন। "দ্য রেসকিউয়ারস্‌"। দি অ্যানিমেটেড ফিল্মস অব ডন ব্লথক্যাটারু.কম। মার্চ ১১, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১২, ২০০৭ 
  8. "ডন ব্লথ আয়ারল্যান্ড"ক্যাটারু। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৫, ২০০৯ 
  9. "বায়োগ্রাফি"ডন ব্লথ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। মার্চ ৩, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৫, ২০০৯ 
  10. "ডন ব্লথ বায়োগ্রাফি"। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০০৯ 
  11. স্টুয়ার্ট, জেমস (২০০৫)। ডিজনিওয়ার। নিউ ইয়র্ক: সাইমন ও শুস্টার। পৃষ্ঠা 94আইএসবিএন 0-684-80993-1 
  12. পলান্ট, ক্রিস (২০১১)। ডিমিস্টিফাইং ডিজনিঃ এ হিস্টরী অব ডিজনি ফিচার অ্যানিমেশনএ এন্ড সি ব্ল্যাক। পৃষ্ঠা ৯০। আইএসবিএন 978-1-4411-7421-5 
  13. কর্কিস, জিম (মার্চ ২, ২০১১)। "হাও বাসিল সেভড ডিজনি ফিচার অ্যানিমেশনঃ পার্ট টু"Mouse Planet। সংগ্রহের তারিখ জুন ২২, ২০১৬ 
  14. Motamayor, Rafael (২ এপ্রিল ২০২০)। "রিভিজিটিং 'দ্য গ্রেট মাউস ডিটেক্টিভ', দি আনসাঙ্গ কিক্‌র্স্টাটার অব ডিজনি রেনেসাঁ (এন্ড ওয়ান অব দ্য ডিজনি'স ক্রিপিয়েস্ট মুভিস)"/Film। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২০ 
  15. লি, মাইকেল জে। অক্টোবর ২৪, ২০১০। "An Exclusive Interview with Glen Keane." RadioFree.com.
  16. "ট্রেজারস আনটোলডঃ দ্য মেকিং অব ডিজনিস 'দ্য লিটল মারমেইড'" [ডকুমেন্টারী ফিচারেট]. বোনাস ম্যাটিরিয়াল ফ্রম দ্য লিটল মারমেইডঃ প্লাটিনাম এডিশন [ডিভিডি]। ওয়াল্ট ডিজনি হোম এন্টারটেইনমেন্ট। ২০০৬।
  17. "1989 ইয়ারলি বক্স অফিস ফর জি-রেটেড মুভিস"বক্স অফিস মোজোইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ। জুন ১২, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৯, ২০১০ 
  18. "দি ‍সিক্সটি সেকেন্ড একাডেমি এ্যাওয়ার্ডস (১৯৯০) নমিনীস এন্ড উইনারস"। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্স। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  19. হ্যান, ডন (২০০৯)। ওয়েকিং স্লিপিং বিউটি (Documentary film)। বারব্যাঙ্ক, ক্যালিফোর্নিয়া: স্টোন সার্কল পিকচারস/ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচারস। 
  20. "বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট (1991) – এ্যাওর্য়াডস"IMDb। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০১০ 
  21. "দি সিক্সটি ফোরথ একাডেমি এ্যাওর্য়াড (1992) নমিনীস এন্ড উইনারস"। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্স। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  22. "বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট (1991) – এ্যাওর্য়াডস"IMDb। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০১০ 
  23. "১৯৯২ ইয়ারলি বক্স অফিস রেজাল্টস্‌"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০১০ 
  24. "1994 Yearly Box Office Results"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০১০ 
  25. "হাইয়েস্ট গ্রসিং অ্যানিমেটেড ফিল্মস"বক্স অফিস মোজো। মার্চ ২৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০০৯ 
  26. "দি সিক্সটি ফিফথ এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস(১৯৯৩) নমিনীস এন্ড উইনার্স"। Academy of Motion Picture Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  27. "দি সিক্সটি সেভেনন্থ এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস(১৯৯৫) নমিনীস এন্ড উইনার্স"। Academy of Motion Picture Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  28. মেন্ডেলসন, স্কট (অক্টোবর ১৫, ২০১৩)। "'নাইট মেয়ার বিফোর ক্রিসমাস' লজ্জা পাওয়া একটা ছোট্ট শিশু থেকে যেন ডিজনীর ২০ বছরের গৌরবের সন্তানে পরিনত হয়"ফোর্বস। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩ 
  29. "দি সিক্সটি এইটথ এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস(১৯৯৫) নমিনীস এন্ড উইনার্স"। এ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্স। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  30. হিকস, ক্রিস (আগস্ট ১০, ১৯৯৭)। "ইজ 'হারকিউলিস' এ উইকলিং? নট বাই এ লং শট"ডিসক্রিট নিউজ। মার্চ ১৮, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২১, ২০১৪ 
  31. ফ্যাব্রিক্যান্ট, জেরাল্ডাইন (জুলাই ১০, ১৯৯৭)। "হারকিউলিস ইজ টু উইক টু লিফট ডিজনী ষ্টক"দি নিউ ইয়র্ক টাইমস 
  32. পলান্ট, ক্রিস (২০১১)। পলান্ট, ক্রিস (২০১১)। ডিমিস্টিফাইং ডিজনীঃ এ হিষ্টরী অব ডিজনী ফিচার এ্যানিমেশন। নিউ ইর্য়ক: কনটিনাম পাবলিকেশনস। পৃষ্ঠা ৯৫। আইএসবিএন 9781441150462। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪ 
  33. বুকার, এম,কেইথ (২০১০)। ডিজনী, পিক্সার, এন্ড দি হিডেন মেসেজেস অব চিলড্রেনস ফিল্ম। সান্তা বারবারা: এবিসি-ক্লিও। পৃষ্ঠা ৬৫। আইএসবিএন 9780313376726। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪ 
  34. "দি সেভেনটি সেকেন্ড এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস (২০০০) নমিনীস এন্ড উইনার্স"। এ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্স। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ 
  35. ডেলি, স্টিভ জুলাই ৯, ১৯৯৯। "'Tarzan' changes the face of animation." এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি . ইউএসঃ মেরিডিথ কর্পোরেশন
  36. "দ্য লিটল মারমেইড"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৪ 
  37. "দ্য লিটল মারমেইড"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৯ 
  38. "দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৩, ২০০৯ 
  39. "দ্য রেসকিউয়ারস্‌ ডাউন আন্ডার"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৯ 
  40. "বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫ 
  41. "বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭ 
  42. "সিনেমাস্কোর"সিনেমাস্কোর। সংগ্রহের তারিখ মে ২৫, ২০১৬ 
  43. "আলাদিন"। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫ 
  44. "আলাদিন"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭ 
  45. "দ্য লায়ন কিং"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১১, ২০০৮ 
  46. "দ্য লায়ন কিং"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৯, ২০০৮ 
  47. "Pocahontas"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১১, ২০০৮ 
  48. "পোকাহনতাস"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৯, ২০০৮ 
  49. "দি হান্চব্যাক অব নতর দাম"। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১১, ২০০৮ 
  50. "দি হান্চব্যাক অব নতর দাম"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৯ 
  51. "Hercules"। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৯ 
  52. "Hercules"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৯ 
  53. "মূলান"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৯, ২০০৮ 
  54. "Mulan"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৮ 
  55. "টারজান"রোটেন টমেটোস। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৪ 
  56. "টারজান"মেটা ক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৯, ২০০৮ 
  57. "The Little Mermaid (1989)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  58. "The Rescuers Down Under (1990)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  59. "Beauty and the Beast (1991)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ মে ৪, ২০১২ 
  60. "Aladdin (1992)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  61. "The Lion King (1994)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৪, ২০১২ 
  62. "Pocahontas (1995)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  63. "The Hunchback of Notre Dame (1996)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  64. https://www.boxofficemojo.com/release/rl240748033/weekend/
  65. "Hercules (1997)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  66. "Mulan (1998)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯ 
  67. "Tarzan (1999)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০০৯