টিম পেইন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

টিমোথি ডেভিড পেইন (জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৪) তাসমানিয়ার হোবার্টে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক। ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাসমানিয়ান টাইগার্স এবং ক্লাব ক্রিকেটে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাবে খেলছেন।

টিম পেইন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটিমোথি ডেভিড পেইন
জন্ম (1984-12-08) ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৪ (বয়স ৩৯)
হোবার্ট, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামটি-পেইন, কিড
উচ্চতা১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো-মিডিয়াম
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪১৪)
১৩ জুলাই ২০১০ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১৩ অক্টোবর ২০১০ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭৮)
২৮ আগস্ট ২০০৯ বনাম স্কটল্যান্ড
শেষ ওডিআই১৩ এপ্রিল ২০১১ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই শার্ট নং৩৬
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৬-বর্তমানতাসমানিয়া (জার্সি নং ৮)
২০১১পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া (জার্সি নং ২৩)
২০১১-বর্তমানহোবার্ট হারিকেন্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬ ৭৩ ১০৭
রানের সংখ্যা ২৮৭ ৭৩৭ ৩,৫৪০ ৩,১৭৪
ব্যাটিং গড় ৩৫.৮৭ ৩৯.৪৮ ৩১.৬০ ৩৩.৭৬
১০০/৫০ ০/২ ১/৫ ১/২৪ ৬/১৫
সর্বোচ্চ রান ৯২ ১১১ ২১৫ ১৩৪
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৬/১ ৩৫/৪ ১৯৯/১০ ১৩৮/১৬
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তাসমানিয়ার পক্ষে মাত্র ১৬ বছর বয়সে A$১০,০০০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন।[১] ডিসেম্বর, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে তাকে মনোনীত করে।[২][৩] উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়ে ৮-খেলায় ২৩.৬৬ গড়ে ১৪২ রান করেন ও ২২.২৮ গড়ে ৭ উইকেট পান।[৪] তারপরও অস্ট্রেলিয়া প্লেট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়।[৫] ২০০৫ সালে তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২০০৫-০৬ মৌসুমে একদিনের খেলায় সেঞ্চুরি করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২১৫ রান করেন। রাজ্য দলের প্রথম শেফিল্ড শিল্ড (পূর্বে - পুরা কাপ) বিজয়ে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে একদিনের জয়ী দলের সদস্য।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

২০০৯ মৌসুমে পেইনের একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। নিয়মিত উইকেট-কিপার ব্র্যাড হাড্ডিনের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার এই অন্তর্ভুক্তি।[৬] সিরিজের ষষ্ঠ খেলায় তিনি তার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকান। ২০১০ সালে হাড্ডিনের আঘাতের কারণে ইংল্যান্ডের নিরপেক্ষ মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু তিনি তেমন ভাল করতে পারেননি। চূড়ান্ত দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করলেও ইংল্যান্ড ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।[৭][৮] এর পরপরই ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু, ২০১০-১১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে হাড্ডিন ফিরে আসায় তিনি স্থানচ্যূত হন। এরপর এপ্রিল, ২০১১ সাল থেকেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে নিয়মিত ছিলেন না।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Rookie creates history with selection for Tasmania"Cricinfo। ESPN। ১৪ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-৩১ 
  2. "Australian squad for 2004 ICC Under-19 World Cup announced"Cricinfo। ESPN। ১২ ডিসেম্বর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-৩১ 
  3. "Player Profile: Tim Paine"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৭ 
  4. "ICC U/19 Cricket World Cup, 2003/04 Averages - Australia Under-19s"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-৩১ 
  5. "Bangladesh dispatch Australia to win Plate final"Cricinfo। ESPN। ১২ ডিসেম্বর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-৩১ 
  6. "Australia named Nannes for Twenty20"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-১৮ 
  7. "Player Oracle TD Paine"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ 8 September  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. "Statistics / Statsguru / TD Paine / One-Day Internationals"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা