জুরি নদী

বাংলাদেশের নদী

জুরি নদী বা জুরী নদী বা জুড়ী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[১] নদীটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৩ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক জুরি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৩৩।[২]

জুরি নদী
Juri River
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্য অসম
অঞ্চল সিলেট বিভাগ
জেলাসমূহ মৌলভীবাজার জেলা, সিলেট জেলা
উৎস ত্রিপুরার পাহাড়
মোহনা কুশিয়ারা নদী
দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার (৪৫ মাইল)

অন্যান্য তথ্য সম্পাদনা

জুরি নদী অববাহিকার আয়তন ৬২৯ বর্গকিলোমিটার। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। তবে বর্ষায় সাধারণত একটু বন্যা হলেই নদীর দুপাশের অঞ্চল প্লাবিত হয়। বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৭ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। এই নদীর তীরে অবস্থিত জুরিবাজার।[৩]

উৎপত্তি ও প্রবাহ সম্পাদনা

জুরি নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশের পাহাড়িয়া অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ধর্মনগর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ধর্মনগর থেকে শুরু করে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর উত্তর দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর কুলাউড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে আরো উত্তরে গিয়ে হাকালুকি হাওড়ের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে ঘুরে গিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের নিকট কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে।[৩][৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৮৮। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২০৮।
  4. মোকাররম হোসেন, বাংলাদেশের নদী কথাপ্রকাশ; দ্বিতীয় সংস্করণঃ আগস্ট ২০১৪, পৃষ্ঠা ৮৩