জুঁই (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum)[৪]shrub এবং vine গণের একটি সদস্য; যারা অলিভ পরিবারে অবস্থিত(Oleaceae)।এতে ইউরেশিয়া,অস্ট্রেলেশিয়া এবং ওশেনিয়ার মতো উষ্ণ অঞ্চলের ২০০ এর বেশি প্রজাতি রয়েছে। জুঁই তার আপন বৈশিষ্ট্যের কারণে বেশি চাষ হয়। এটি তিউনিসিয়ার জাতীয় ফুল।[৫]

জুঁই
Jasminum sambac
রাজ্যউদ্ভিদ
(শ্রেণীবিহীন)সপুষ্পক উদ্ভিদ
(শ্রেণীবিহীন)Eudicots
(শ্রেণীবিহীন)Asterids
বর্গলেমিয়ালেস
পরিবারOleaceae
গোত্রJasmineae
প্রজাতিজেসমিনাম
প্রজাতির ধরণJasminum offinale
প্রজাতির ধরনের প্রণেতালি.
উপবিভাগপ্রজাতি
উপবিভাগ২০০ এর বেশি, দেখুন জেসমিনাম প্রজাতির তালিকা[১][২][৩]
সমার্থক
  • জ্যাকসোনিয়া
  • জেসমিনিয়াম ডুমোর্ট.
  • মেনোডোরা হাম্ব. এবং বনপ্ল.
  • মোগোরিয়াম জাস.
  • নোলডেনথাস নোব্ল.

বর্ণনা সম্পাদনা

জুঁই পত্রঝরা (শীতকালে পাতা ঝরে এমন) অথবা চিরহরিত্‍ (সারা বছর সবুজ থাকে) উভয় প্রকারেরই হতে পারে। তাদের পাতা উল্টোদিকে গজায়। ফুলগুলো সাধারণত ২.৫ সেমি (০.৯৮ ইঞ্চি) হয়ে থাকে। তারা সাদা অথবা হলুদ হয়ে থাকে, যদিও র্যাডিশ রঙে তাদের খুবই কম দেখা দেয়। জুঁইয়ের ফল,জাম পাকলে কালো হয়।

এ প্রজাতিটির মূল ক্রোমোজোমসংখ্যা ১৩, এবং বেশিরভাগ প্রজাতি ডিপ্লয়েড (2n=26). তাছাড়া, প্রকৃতিতে জুঁইয়ের যেসব প্রজাতি পাওয়া যায় তাদের ক্রোমোজোমসংখ্যা হল,

প্রজাতি 2n
Jasminum sambac (2n=39)
Jasminum flexile (2n=52)
Jasminum mesny (2n=39)
Jasminum angustifolium (2n=52).[৬]

বিভাগ ও বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

জুঁই ইউরেশিয়া, অস্ট্রেলেশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের স্থানীয় ফুল, যদিও ২০০টির মধ্যে একটি মাত্র প্রজাতি ইউরোপের স্থানীয়।[৭]এশিয়াদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এর মূল উত্‍পত্তিস্থান.[৮]Jasminum flumiese (যা ভুল নামে অর্থাত্‍ "ব্রাজিলীয় জুঁই" নামে পরিচিত) এবং Jasminum dichotomum (সোনালী জুঁই) হাওয়েই and ফ্লোরিডায় দুষ্প্রাপ্য প্রজাতি.[৯][১০] Jasminum polyanthum, শ্বেত জুঁই নামেও পরিচিত,অস্ট্রেলিয়ায় একটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতি.[১১]

বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস সম্পাদনা

প্রজাতিগণসহকারে Jasminum জলপাই পরিবারের (Oleaceae) Jasmineae হিসেবে বিন্যস্ত হয়।[৬] Jasminum কে পাঁচটি সেকশনে ভাগ করা হয়—Alternifolia, Jasminum, Primulina, Trifoliolata, এবং Unifoliolata.

প্রজাতির নামটি নেওয়া হয়েছে আরবিল্যাটিনের মধ্য দিয়ে ফারসি ইয়াসমীন ("আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত উপহার") থেকে।[১২][১৩][১৪]

নির্বাচিত প্রজাতি সম্পাদনা

প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত:[১৫]

চাষ এবং ব্যবহার সম্পাদনা

জুঁই ফুলের জন্যই এ গাছের চাষ করা হয়। এটি বাগানে সৌন্দর্য বর্ধনে ও সুগন্ধের জন্য গৃহস্থালী উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নারীরা একে চুলে বাঁধে।

জুঁই চা সম্পাদনা

 
জুঁই ফুল দ্বারা সবুজ চা

জুঁই[কোনটি?] চা বানানো হয় চীন এ,যেখানে একে বলা হয় জুঁই ফুলের চা(茉莉花茶; pinyin: mò lì huā chá). Jasminum sambac ফুলও জুঁই চা বানাতে ব্যবহৃত হয়, প্রায়ই যা সবুজ চা অথবা সাদা চাএর মূলে থাকে, কিন্তু কখনও ওলোঙ ভিত্তি ব্যবহৃত হয়।ওকিনায়া, জাপান এ, জুঁই চা সানপিন চা (さんぴん茶) হিসেবে পরিচিত। [১৬] ফুলগুলোকে মেশিনে দেয়া হয় যেখানে ফুলের তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চায়ে ফুলের গন্ধ ও স্বাদ শোষন প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় চার ঘণ্টা লাগে। মানোন্নয়ের জন্য এই প্রক্রিয়াকে সাত বার পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি করা হয়।

সাংস্কৃতিক গুরুত্ব সম্পাদনা

 
চৈনিক চিত্রশিল্পী জাও চাঙ কর্তৃক কাপড়ের উপর কালি ও রঙ দ্বারা অঙ্কিত ছবি সাদা জুঁইয়ের শাখা , ১২ শতকের পূর্বে

তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহর জুঁই উত্‍পাদনের জন্য বিখ্যাত । অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু সহ ভারতের পশ্চিম এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে, জুঁই নিজস্ব ঘরে চাষ করা হয়।এই ফুলগুলো তাদের জীবিকা এবং সজ্জার জন্য চাষ করা হয়। সুগন্ধি ইন্ডাস্ট্রির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যেও জুঁই চাষ করা হয়। এটি বিয়ে এবং ধর্মীয় উত্‍সবে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জগন্নাথ এর চন্দনযাত্রায়, জুঁইফুল এবং চন্দনকাঠে সুবাসিত পানি দ্বারা দেবীকে স্নান করানো হয়।

 
মিনাক্ষী সুন্দরেশ্বর, মাদুরাই, তামিলনাড়ু এর জন্য জুঁই ব্যবহৃত হয়
 
Jহায়দ্রাবাদ, ভারতে জুঁই ফুটছে

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্সিতে পরিবর্তন[১৭][১৮] এবং ২০১১ এর তিউনিশীয় বিদ্রোহ উভয়কেই ফুলের প্রেক্ষীতে "জুঁই বিদ্রোহ" বলা হয়।

সিরিয়ায়, জুঁই[কোনটি?] হল দামেস্ক এর প্রতীকীয় ফুল,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যাকে বলা হয় জুঁইয়ের শহর. থাইল্যান্ড এ, জুঁই[কোনটি?] ফুল মাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।.[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

"জেসমিন" বিভিন্ন দেশে দেওয়া একটি নারীনামও বটে।

জাতীয় ফুল হিসেবে জুঁই সম্পাদনা

কিছু দেশ ও রাজ্য জুঁই সম্মান করে জাতীয় প্রতীক হিসেবে।সেগুলো নিম্নরূপ:

অন্যান্য গাছ যাদের "জেসমিন" বলা হয় সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

^৩ এটি ইংরেজি জেসমিন(Jasmine) এর জন্য প্রযোজ্য।বাংলা জুঁইয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জেসমিনাম"ইন্ডেক্স নমিনিয়াম জেনেরিসিয়ামআন্তর্জাতিক উদ্ভিদশ্রেণিবিন্যাস সংস্থা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৩ 
  2. "10. Jasminum Linnaeus"চৈনিক উদ্ভিদের নাম১৫: ৩০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৩ 
  3. জেসমিনিয়াম ৪১৪৭ নং আইডি তাং২০০৮-০৬-০৩
  4. সানসেট ওয়েস্টার্ন গার্ডেন বুক্স, ১৯৯৫:৬০৬–৬০৭.
  5. বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুলের তালিকা
  6. A.K. Singh (২০০৬)। Flower Crops: Cultivation and Management। New India Publishing। পৃষ্ঠা ১৯৩–২০৫। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৮৯৪২২-৩৫-৬ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  7. Ernst Schmidt, Mervyn Lötter, & Warren McCleland (২০০২)। Trees and shrubs of Mpumalanga and Kruger National Park। Jacana Media। পৃষ্ঠা ৫৩০। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯১৯৭৭৭-৩০-৬ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  8. H. Panda (২০০৫)। Cultivation and Utilization of Aromatic Plants। National Institute Of Industrial Research। পৃষ্ঠা 220। আইএসবিএন 978-81-7833-027-3। ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  9. "Jasminum fluminense" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনসারভেশন সার্ভিস প্ল্যান্টস ডেটাবেস। ইউএসডিএ 
  10. "Jasminum dichotomum" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনসারভেশন সার্ভিস প্ল্যান্টস ডেটাবেস। ইউএসডিএ 
  11. "Weeds of the Blue Mountains Bushland - Jasminum polyanthum"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  12. "jasmine, -in, jessamine, -in", OED
  13. "jasmine." Webster's Third New International Dictionary, Unabridged. Merriam-Webster, 2002.
  14. Metcalf, 1999, p. 123.
  15. GRIN"Jasminum information from NPGS/GRIN"Taxonomy for Plants। National Germplasm Resources Laboratory, Beltsville, Maryland: USDA, ARS, National Genetic Resources Program। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৯, ২০১২ 
  16. Demole E; Lederer, E.; Mercier, D. (১৯৬২)। "Isolement et détermination de la structure du jasmonate de méthyle, constituant odorant caractéristique de l'essence de jasmin"। Helv Chim Acta45 (2): 675–85। ডিওআই:10.1002/hlca.19620450233 
  17. Michael, Ayari; Vincent Geisser (২০১১)। "Tunisie : la Révolution des "Nouzouh"* n'a pas l'odeur du jasmin" (French ভাষায়)। Témoignage chrétien। ২০১১-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-১৪ 
  18. "La révolution par le feu et par un clic" (French ভাষায়)। Le Quotidien d'Oran/moofid.com। ২০১১-০২-২৫। ২০১১-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-১৪ 
  19. পাকিস্তানের জাতীয় প্রতীকসমূহ

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পুনরায় দেখুন সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা