জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ যুগ্মশহর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি শহর মিলিয়ে একটি পৌরসভা এলাকা।

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৫১,৭৯০[১]
চিন্তামণি পার্শ্বনাথ জৈন মন্দির

বিবরণ সম্পাদনা

দুটি যুগ্মশহর ভাগীরথী নদীর দুই পাড়ে অবস্থিত। জিয়াগঞ্জ শহরটি শিয়ালদহ - কৃষ্ণনগর - লালগোলা রেলপথে এবং আজিমগঞ্জ, হাওড়া - কাটোয়া -আজিমগঞ্জ লাইনে অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

ভাগীরথী গঙ্গার পশ্চিমতীরে আজিমগঞ্জ; পূর্বদিকে জিয়াগঞ্জ বালুচর, এটি জৈন বণিকদের আদি বাসস্থল। এখানকার বালুচরের সিল্কের শাড়ি জগদ্বিখ্যাত। রেশম এখানকার বাণিজ্যের প্রধান বস্তু হিসাবে সুপরিচিত ছিল।

১৮শ শতকের প্রথম থেকে বাণিজ্যের আকর্ষণে বিভিন্ন বণিক পরিবার যেমন: লছমিপৎ সিংহ ও ধনপৎ সিংহের পরিবার, নাহার পরিবার, দুধোরিয়া পরিবার, নওলাক্ষা পরিবার মুর্শিদাবাদ নগরের বাইরে বাস করতে শুরু করেন। এখানে প্রথম ব্যবসা স্থাপন করেন বাহাদুর সিংহ।[২]

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ যুগ্মশহরের জনসংখ্যা হল ৪৭,২২৮ জন।[৩] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. https://www.census2011.co.in/data/town/801659-jiaganj-azimganj-west-bengal.html
  2. ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন।
  3. "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬