জিন য়ুডি, (সরলীকৃত চীনা: 晋武帝; প্রথাগত চীনা: 晉武帝; ফিনিন: Jìn Wǔ Dì; ওয়েড-জাইলস: Chin Wu-ti; ২৩৬ – ১৬ মে, ২৯০) ছিলেন চীনের জিন সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। তার পারিবারিক নাম সিমা ইয়ান (চীনা: 司馬炎; ফিনিন: Sīmǎ Yán) ও সম্মানসূচক নাম আনশি (安世)। তিনি সিমা য়ির নাতী এবং সিমা ঝাওয়ের পুত্র। ২৬৫ সালে তিনি চাও ওয়েই রাজ্যে শেষ রাজা চাও হুয়াইকে তার কাছে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য করেন এবং জিন সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। তিনি ২৬৫ থেকে ২৯০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন এবং ২৮০ সালে পূর্ব য়ু বিজয়ের পর সমগ্র চীনের সম্রাট হন।[২]

সিমা ইয়ান
রাজত্ব৮ ফেব্রুয়ারি, ২৬৬ – ১৬ মে, ২৯০ খ্রিস্টাব্দ
জন্ম২৩৬ খ্রিস্টাব্দ
মৃত্যু১৬ মে, ২৯০ খ্রিস্টাব্দ (৫৪ বছর[১])
দাম্পত্য সঙ্গীইয়াং ইয়ান
ইয়াং ঝি
মরণোত্তর নাম
য়ু (চীনা: ; ফিনিন: ),
literary meaning: "martial"
উপাসনালয়ের নাম
শিজু (চীনা: 世祖; ফিনিন: shì zǔ)
পিতাসিমা ঝাও
মাতাওয়াং ইউয়ানজি

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সিমা ইয়ান ২৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবা সিমা ঝাও ও মা ওয়াং ইউয়ানজির জ্যেষ্ঠ পুত্র। তার বাবা সিমা ঝাও ছিলেন কাও ওয়েই রাজ্যের সেনাপ্রধান সিমা য়ির পুত্র এবং একজন মধ্য পদস্থ কর্মচারী ও বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের সদস্য। ২৪৯ সালে গাওপিং সমাধির ঘটনার পর সিমা য়ি রাজপ্রতিনিধি কাও শুয়াং থেকে ক্ষমতা লাভ করলে রাজ্যে সিমা ঝাও প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। ২৫১ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর সিমা ঝাও তার ভাই রাজপ্রতিনিধি সিম শির সহকারী হিসেবে যোগ দেয়। সিমা শির মৃত্যুর পর তিনি ওয়েই রাজ্যের রাজপ্রতিনিধি ও সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে ওঠেন। তার মা ওয়াং ইউয়ানজি ছিলেন কনফুসীয় ধর্মের পণ্ডিত ওয়াং সুর কন্যা।[৩]

জিন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পূর্ব জীবন সম্পাদনা

ইতিহাসে সিমা ইয়ানের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ২৬০ সালে ওয়েই সম্রাট চাও মাও তার ক্ষমতা পুনঃদখলের জন্য আক্রমণ চালালে জিয়া চংয়ের নেতৃত্বে তার বাবার অনুগত সৈন্য নিয়ে তাকে পরাজিত করে এবং হত্যা করে। সেই সময়ে তার বাবা তাকে মধ্যপদস্থ সেনাপ্রধান থেকে পদোন্নতি প্রদান করেন এবং তিনি নতুন সম্রাট চাও হুয়ানকে তার ডিউক প্রাসাদ থেকে রাজধানী লুওইয়াংয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব পান। ২৬৩ সালে শু হানের নেতৃত্বে আরেকটি বিজয় আসলে তার বাবা জিনদের ডিউক হন এবং তাকে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন। যদিও সিমা ঝাও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগছিলেন সিমা ইয়ান নাকি সিমা ইউকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করবেন। সিমা ইউ ছিলেন সিমা ঝাওয়ের ভাই নিঃসন্তান সিমা শির পালক পুত্র। সিমা ইউও সিমা ইয়ানের মত মেধাবী ছিল কিন্তু কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী সিমা ইয়ানকে উত্তরাধিকারী করার পক্ষে রায় দেন। সিমা ঝাও তাদের রায়ের ভিত্তিতে সিমা ইয়ানকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। ২৬৪ সালে সিমা ঝাওকে রাজপ্রতিনিধি করে জিনদের যুবরাজ উপাধি দিলে সিমা ইয়ান রাজদরবারের যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত হন।[৪]

সিমা ঝাও ২৬৫ সালে নিয়মানুসারে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে মারা যান এবং সিমা ইয়ান তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি চাও হুয়ানকে সিংহাসন পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এরই মধ্য দিয়ে চাও ওয়েই রাজ্যের পতন হয় এবং জিন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪]

জিন সম্রাট সম্পাদনা

তাইশি যুগ: জিন সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পাদনা

সম্রাট য়ু ২৬৫ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর চাও ওয়েইয়ের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেন। তিনি দেখলেন চাও ওয়েইয়ের রাজপরিবারের ক্ষমতাহীনতা তাদের পতনের মূল কারণ। তাই তিনি তার চাচা, ভাই ও পুত্রদের বিভিন্ন প্রদেশের যুবরাজ হিসেবে নিয়োগ দেন। তাদের স্বতন্ত্র সামরিক ব্যবস্থা ও পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করেলেন। এই কৌশল আট যুবরাজের যুদ্ধ ও উত্তর চীনের উপর কতৃত্ব হারানোর পূর্ব পর্যন্ত কার্যকর ছিল এবং পরবর্তীতে দক্ষিণের সাম্রাজ্যগুলো এই কৌশল অনুসরণ করে।

সম্রাট য়ু চাও ওয়েইয়ের রাজনৈতিক পদ্ধতির আরেকটি সমস্যা খুঁজে বের করেন, তা হল প্যানেল আইনের কঠোরতা। তিনি প্যানেল আইন কিছুটা শিথিল করেন। কিন্তু অভিজাতেরা এই শিথিলতার সুযোগ নিতে থাকল ফলে আইনের শাসনে অসমতা দেখা দিল। অভিজাতরা গুরুতর অপরাধ করেন শুধুমাত্র তিরস্কার পেয়েই ক্ষান্ত হত অথচ সাধারণ জনগণের শাস্তিতে তেমন কোন তারতম্য দেখা গেল না। ফলে অভিজাতরা দুর্নীতি করার সুযোগ পায় এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। অপরদিকে সাধারণ জনগণ সরকারের সাহায্য লাভেও ব্যর্থ হয়। যেমন, ২৬৭ সালে কয়েকজন অভিজাত মিলে একজন কাউন্টি ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় সাধারণ জনগণের জমি দখল করে নেয়। সম্রাট য়ু অভিজাতদের কোন শাস্তি না দিয়ে ঐ ম্যাজিস্ট্রেটকে কঠিন শাস্তি প্রদান করেন।[৩]

সম্রাট য়ু ২৬৫ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর তার মা ওয়াং ইউয়ানজিকে রাজমাতার সম্মান দান করেন। ২৬৬ সালে তিনি জিন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় তার চাচা সিমা শির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তার স্ত্রী ইয়াং হুইয়ুকেও রাজমাতার সম্মান দান করেন। একই বছর তিনি তার স্ত্রী ইয়াং ইয়ানকে সম্রাজ্ঞী করেন। ২৬৭ সালে কনফুসীয় নীতি অনুসারে তার জীবিত বড় পুত্র সিমা ঝংকে রাজদরবারের যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত করেন। তিনি মনে করেন রাজনৈতিক অস্থিরতাকালীন সময়ে সে তাকে সাহায্যে আসতে পারে কিন্তু যুবরাজ ঝং সরকার পরিচালনার প্রয়োজনীয় কায়দাকানুনগুলো শিখতে ব্যর্থ হয়। সম্রাট য়ু তারপরও ২৭২ সালে যুবরাজ ঝংয়ের জন্য অভিজাত জিয়া চংয়ের কন্যা জিয়া নানফেংকে যুবরাজ্ঞী হিসেবে পছন্দ করেন, যাতে সে ঝংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ২৭৪ সালে সম্রাজ্ঞী ইয়াং ইয়ান বুঝতে পেরেছিল যে যেই সম্রাজ্ঞী হবে তার পুত্রই হবে রাজদরবারের নতুন যুবরাজ। তাই তিনি সম্রাট য়ুকে তার চাচাতো বোন ইয়াং ঝিকে বিয়ে করার অনুরোধ করেন এবং সম্রাট তার অনুরোধ মেনে নেন।[৩]

সিয়াননিং যুগ: চীন পুনঃএকত্রীকরণ সম্পাদনা

২৭৬ সালে সম্রাট য়ু অসুস্থ হয়ে পড়লে উত্তরসূরী নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। যুবরাজ ঝং ছিলেন আইনসম্মত উত্তরাধিকারী কিন্তু পদস্থ কর্মচারী ও সাধারণ জনগণ চাচ্ছিল তার পরিবর্তে সম্রাট য়ুর যোগ্য ভাই কিয়ের যুবরাজ সিমা ইউ সিংহাসনে আরোহণ করুক। সম্রাট য়ু সুস্থ হয়ে উঠলে যারা ইউয়ের পক্ষে কথা বলেছিল এমন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন কিন্তু কাউকেই অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করেন নি।

পরের বছর ইয়াং হু তাকে পূর্ব য়ু রাজ্য বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বেশির ভাগ সেনা কর্মকর্তা তুফা বিদ্রোহ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। কিন্তু ডু ইয়ু ও ঝাং তাকে সমর্থন প্রদান করেন। সম্রাট য়ু তাদের অভিমত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন এবং সে সময়ে আক্রমণে যান নি।

২৭৬ সালে তিনি তার মৃত স্ত্রী ইয়াং ইয়ানকে দেওয়া কথা অনুযায়ী তার চাচাতো বোন ইয়াং ঝিকে বিয়ে করেন এবং তাকে সম্রাজ্ঞী করেন। নতুন সম্রাজ্ঞী ইয়াংয়ের পিতা ইয়াং জুন একজন প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং বেশি ঔদ্ধত্য হয়ে পড়েন।[৩]

২৭৯ সালে সেনাপ্রধান মা লং তুফা বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হলে সম্রাট য়ু পূর্ব য়ু রাজ্যে আক্রমণে মনযোগী হন। তিনি তার সেনাবাহিনী ছয়টি দলে ভাগ করেন এবং তার চাচা সিমা ঝও, ওয়াং হুন, ওয়াং রং, হু ফেন, ডু ইয়ু, এবং ওয়াং জুনকে সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। বড় দুটি দল ছিল ওয়াং হুন ও ওয়াং জুনের অধীনে। তারা সকলেই তাদের দল নিয়ে দ্রুত অগ্রসর হয় এবং পূর্বনির্ধারিত সীমানাবর্তী শহরে আক্রমণ করে। ওয়াং জুনের নৌবহর পূর্ব দিকে ইয়াংৎজি নদীর দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব য়ুর নৌবহরকে পরাজিত করে। পূর্ব য়ুর চ্যান্সেলর ঝাং টি ওয়াং হুনের দলকে পরাজিত করার শেষ চেষ্টা চালায় কিন্তু নিজেই পরাজিত হয় এবং হুনের হাতে মারা যান। ওয়াং হুন, ওয়াং জুন ও সিমা ঝও জিয়ানয়ের দিকে অগ্রসর হন এবং সুন হাওকে ২৮০ সালের এক বসন্তে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন। সম্রাট য়ু সুন হাওকে গুইমিংয়ের মারকুইস পদ প্রদান করেন।[৪]

তাইকাং ও তাইসি যুগ: দুর্দশার শুরু সম্পাদনা

২৮১ সালে সম্রাট য়ু সুন হাওয়ের রাজপ্রাসাদ থেকে ৫,০০০ নারীকে তার নিজে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজকার্য বাদ দিয়ে তাদের সাথে আমোদে লিপ্ত হন। কথিত আছে, তার রাজপ্রাসাদে এতো পরিমাণ সুন্দরী নারী ছিল যে তিনি কার সাথে সময় পার করবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতেন। ফলে তার ছাগল চালিত যান তাকে যে নারীর কাছে নিয়ে থামাত তার সাথেই সময় পার করতেন। এই কারণে অনেকেই তাদের তাদের ঘরের পাশে বাঁশ পাতা ও লবণ রেখে দিতেন যাতে ছাগল সেই খাবারের লোভে তার ঘরের সামনে থামে। এসময়ে সম্রাজ্ঞী ইয়াংয়ের পিতা ইয়াং জুন এবং চাচা ইয়াং ইয়াও ও ইয়াং জি ক্ষমতাধর হয়ে উঠেন।

সম্রাট য়ু চিন্তা করেন তার মৃত্যুর পর তার ভাই ইউর সিংহাসন দখল করার আকাঙ্ক্ষা আছে কিনা। তাই তিনি ২৮২ সালে তাকে তার রাজ্যে পাঠিয়ে দেন। যদিও ইউর তেমন কোন আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য ওরা যায় নি। রাগে দুঃখে ইউ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২৮৩ সালে মারা যান।[৩]

বুক অব জিন[১]ওয়েনসিয়ান তানকাং অনুসারে, ১৬৬ ও ২২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব সিনো-রোমান সম্পর্কের জের ধরে ডা কিন থেকে আরেকটি রাষ্ট্রদূত দল সম্রাট য়ুর রাজত্বকালে চীনে আসে। ইতিহাসে বর্ণিত আছে যে, তারা ২৮৪ সালে চীনে পৌঁছে সম্রাটকে সম্মানসূচক উপঢৌকন প্রদান করে।[৫][৬]

২৮৯ সালে সম্রাট য়ু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাজপ্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত হন। তিনি সবচেয়ে সম্মানিত দুই যুবরাজ, ইয়াং জুন এবং তার চাচা রু’নানের যুবরাজ সিমা লিয়াংকে রাজপ্রতিনিধি করার কথা ভাবেন। এতে ইয়াং জুন ভীত হয়ে সিমা লিয়াংকে একটি প্রধান শহর সুচাংয়ে নিয়োগ দেন। এছাড়া তিনি আরও বেশ কয়েকজন যুবরাজকে আরও কয়েকটি শহরে নিয়োগ দেন। ২৯০ সালে সম্রাট য়ু ইয়াং এবং লিয়াং দুজনকেই রাজপ্রতিনিধি নিয়োগ করেন কিন্তু তিনি উইল লেখার পর ইয়াং জুন তা জোরপূর্বক দখল করে এবং পরিবর্তন করে শুধুমাত্র তার নাম রাজপ্রতিনিধি হিসেবে প্রচার করেন। এর কিছুদিন পর সম্রাট য়ু তার সাম্রাজ্য অসমর্থ পুত্র ও ক্ষমতালোভী রাজপ্রতিনিধির হাতে রেখে মারা যান।

যুগের নাম সম্পাদনা

  • তাইশি (চীনা: 泰始; ফিনিন: taì shǐ) ২৬৫ - ২৭৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সিয়াননিং (চীনা: 咸寧; ফিনিন: xían níng) ২৭৫ - ২৮০ খ্রিস্টাব্দ
  • তাইকাং (চীনা: 太康; ফিনিন: taì kāng) ২৮০ - ২৮৯ খ্রিস্টাব্দ
  • তাইসি (চীনা: 太熙; ফিনিন: taì xī) ২৮ জানুয়ারি, ২৮৯ – ১৬ মে, ২৯০ খ্রিস্টাব্দ

পরিবার সম্পাদনা

  • পিতা: সিমা ঝাও, জিন সম্প্রদায়ের রাজা, চাও ওয়েই রাজপ্রতিনিধি সিমা য়ির পুত্র
  • মাতা: ওয়াং ইউয়ানজি, কনফুসীয় ধর্মের পণ্ডিত ওয়াং সুর কন্যা
  • পত্নী:
    • ইয়াং ইয়ান (বি. ২৬৬, মৃ. ২৭৪), যুবরাজ গুই, সম্রাট জিন হুইডি, ও যুবরাজ জিয়ান, এবং যুবরাজ্ঞী পিংইয়াং, সিনফেং, ও ইয়াংপিংয়ের মা
    • ইয়াং ঝি (বি. ২৭৬, বি. ২৯০), সম্রাজ্ঞী ইয়াং ইয়ানের চাচাতো বোন, যুবরাজ হুইয়ের মা
  • প্রধান উপপত্নী:
    • উপপত্নী জুও ফেন, কবি
    • উপপত্নী হু, হু ফেনের কন্যা, যুবরাজ্ঞী য়ু'আনের মা
    • উপপত্নী ঝুগে ওয়ান
    • উপপত্নী শেন, যুবরাজ্ঞী ঝিং, ওয়েই ও আইয়ের মা
    • উপপত্নী সু, যুবরাজ সিয়ানের মা
    • উপপত্নী গুই, যুবরাজ ঝিয়ের মা
    • উপপত্নী ঝাও, যুবরাজ ইয়ুর মা
    • উপপত্নী লি, যুবরাজ ইয়ুন ও ইয়ানের মা
    • উপপত্নী ইয়ান, যুবরাজ গাইয়ের মা
    • উপপত্নী চেন, যুবরাজ সিয়ার মা
    • উপপত্নী ঝু, যুবরাজ মোর মা
    • উপপত্নী চেং, যুবরাজ য়িংয়ের মা
    • উপপত্নী ওয়াং ইউয়ানজি, সম্রাট জিন হুয়াইয়ের মা
    • উপপত্নী সিয়ে জিউ, পরবর্তীতে সম্রাট জিন হুইডির উপপত্নী
    • উপপত্নী ঝাও চান[৭]
  • সন্তানসন্ততি:
    • সিমা গুই, অল্প বয়সে মারা যান, মরণোত্তর পিলিংয়ের যুবরাজ দাও হিসেবে অভিষিক্ত হন (২৮৯ সাল)
    • সিমা ঝং (জ. ২৫৯ - মৃ. ৩০৭), রাজদরবারের যুবরাজ (২৬৭ সাল), পরবর্তীতে সম্রাট জিন হুইডি
    • সিমা জিয়ান (জ. ২৬২ - মৃ. ২৯১), প্রথমে রু'নানের যুবরাজ (২৭০ সাল), পরে নানইয়াংয়ের যুবরাজ (২৭৬ সাল), কিনের যুবরাজ সিয়ান (২৮৯ সাল)
    • সিমা জিং, (জ. অজানা - মৃ. ২৭০), চেংইয়াংয়ের যুবরাজ হুয়াই (২৬৯ সাল)
    • সিমা ওয়েই (জ. ২৭১ - মৃ. ২৯১), প্রথমে শিপিংয়ের যুবরাজ, পরে চুয়ের যুবরাজ য়িন (২৮৯), সম্রাজ্ঞী জিয়া নানগেং হত্যা করান (২৯১ সাল)
    • সিমা সিয়ান (জ. অজানা - মৃ. ২৭৩), চেংইয়াংয়ের যুবরাজ শাং (২৭০ সাল)
    • সিমা ঝি (জ. ২৭১ - মৃ. ২৭৩), ডংহাইয়ের যুবরাজ চং (২৭৩ সাল)
    • সিমা ইয়ু (জ. ২৭১ - মৃ. ২৭৭), শিপিংয়ের যুবরাজ আই (২৭৭ সাল)
    • সিমা ইয়া'ন (বি.দ্র. তার পিতা ও ভাইয়ের নাম থেকে আলাদা উচ্চারণ), দাইয়ের যুবরাজ আই (২৮৯ সাল)
    • সিমা ইয়ুন (জ. ২৭২ - মৃ. ৩০০), প্রথমে পুইয়াংয়ের যুবরাজ (২৭৭ সাল), পরে হুয়াইনানের যুবরাজ ঝংঝুয়াং (২৮৯ সাল), সিমা লুন হত্যা করেন (৩০০ সাল)
    • সিমা গাই (জ. ২৭২ - মৃ. ২৮৩), সিনড়ুর যুবরাজ হুয়াই (২৭৭ সাল)
    • সিমা সিয়া (জ. ২৭৩ - মৃ. ৩০০), কিংহের যুবরাজ কাং (২৮৯ সাল)
    • সিমা মো (জ. ২৭৬ - মৃ. ২৮৬), রুয়িনের যুবরাজ আই
    • সিমা আই (জ. ২৭৭ - মৃ. ৩০৪), চাংশার যুবরাজ লি (২৮৯ সাল), চাংশ্যানের যুবরাজ হিসেবে পদাবনতি (২৯১ সাল), চাংশার যুবরাজ লি হিসেবে প্রত্যর্পণ (৩০১ সাল), সিমা ইয়াং হত্যা করেন (৩০৪ সাল)
    • সিমা য়িং (জ. ২৭৯ - মৃ. ৩০৬), চেংডুর যুবরাজ (আনু. ২৮৯ সাল), রাজদরবার যুবরাজ (৩০৪ সাল), পরে চেংডুর যুবরাজ হিসেবে পদাবনতি (৩০৪ সাল), আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয় (৩০৬ সাল)
    • সিমা ই'আন (জ. ২৮৩ - মৃ. ৩১৩) (বি.দ্র. তার পিতা ও ভাইয়ের নাম থেকে আলাদা উচ্চারণ), য়ুর যুবরাজ সিয়াও (২৮৯ সাল), বিংটুর যুবরাজ হিসেবে পদাবনতি (৩০০ সাল), পরে ডাইয়ের যুবরাজ, য়ুর যুবরাজ হিসেবে প্রত্যর্পণ (৩০১ সাল), হান ঝাও হত্যা করেন (৩১৩ সাল)
    • সিমা চি, প্রথমে ইয়ুঝাংয়ের যুবরাজ (২৯০ সাল), পরে রাজদরবারের যুবরাজ (৩০৪ সাল), পরবর্তীতে সম্রাট জিন হুয়াইডি
    • সিমা হুই (জ. ২৮৩ - মৃ. ২৮৪), মরণোত্তর বহালের যুবরাজ শাং
    • যুবরাজ্ঞী চাংশ্যান
    • যুবরাজ্ঞী পিংইয়াং
    • যুবরাজ্ঞী সিনফেং
    • যুবরাজ্ঞী ইয়াংপিং
    • যুবরাজ্ঞী ওয়ানিয়ান
    • যুবরাজ্ঞী সিয়াংচেং
    • যুবরাজ্ঞী য়ু'আন
    • যুবরাজ্ঞী ইংইয়াং ১
    • যুবরাজ্ঞী ইংইয়াং ২
    • যুবরাজ্ঞী ফানচ্যাং
    • যুবরাজ্ঞী লিংশুউ
    • যুবরাজ্ঞী গুয়াংপিং
    • যুবরাজ্ঞী য়িংচুয়ান

এছাড়া তার আট পুত্র যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার আগে মারা যান।

পূর্বপুরুষ সম্পাদনা

জিন য়ুডির পরিবার
16. সিমা জুন
8. সিমা ফাং
4. সিমা য়ি
2. সিমা ঝাও
10. ঝাং ওয়াং
5. ঝাং চুনহুয়া
11. লেডি শান
1. সিমা ইয়ান, জিন য়ুডি
12. ওয়াং লাং
6. ওয়াং সু
3. ওয়াং ইউয়ানজি

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Fang Xuanling et al. Book of Jin, Volume 3, Biography of Emperor Wu
  2. "Wudi - EMPEROR OF JIN DYNASTY"Encyclopædia Britannica [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Cohn, Ronald, & Russell, Jesse (2012). Emperor Wu of Jin. Bookvika Publishing
  4. Li, Bo, & Zheng, Yin (Chinese) (2001). 5000 years of Chinese history. Inner Mongolian People's publishing corp, আইএসবিএন ৭-২০৪-০৪৪২০-৭
  5. Warwick Ball (2016), Rome in the East: Transformation of an Empire, 2nd edition, London & New York: Routledge, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৭২০৭৮-৬, p. 152.
  6. Friedrich Hirth (২০০০) [1885]। Jerome S. Arkenberg, সম্পাদক। "East Asian History Sourcebook: Chinese Accounts of Rome, Byzantium and the Middle East, c. 91 B.C.E. - 1643 C.E."Fordham.eduFordham University। ২০১৪-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২০ 
  7. Shou Chen, Songzhi Pei, Robert Joe Cutter, William Gordon Crowell (1999). Empresses and Consorts: Selections from Chen Shou's Records of the Three States With Pei Songzhi's Commentary. University of Hawaii Press.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

জিন য়ুডি
জন্ম: ২৩৬ মৃত্যু: ১৬ মে ২৯০
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
নিজে
জিন রাজা হিসেবে
চীনের সম্রাট
পশ্চিম জিন
২৬৫ (২৮০) - ২৯০
উত্তরসূরী
জিন হুইডি
পূর্বসূরী
সুন হাও
Chinese royalty
পূর্বসূরী
সিমা ঝাও
জিন রাজা
২৬৫
সিংহাসন একত্রীকরণ
Titles in pretence
পূর্বসূরী
চাও হুয়ান
— TITULAR —
চীনের সম্রাট
২৬৫–২৮০
Reason for succession failure:
তিন রাজ্য বিজয়
উত্তরসূরী
নিজে