জিনাত-উন-নিসা

মুগল রাজকন্যা

জিনাত-উন-নিসা (৫ অক্টোবর ১৬৪৩ – ৭ মে ১৭২১) ছিলেন জন্মসূত্রে একজন মুগল রাজকন্যা এবং সম্রাট আওরঙ্গজেব এবং তার প্রধান সম্রাজ্ঞী সঙ্গী দিলরাস বানু বেগমের দ্বিতীয় কন্যা। তার পিতা সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে 'পাদশাহ বেগম' এর সম্মানিত শিরোনাম প্রদান করেছিলেন।[১] রাজকুমারী জিনাত-উন-নিসা তার ধর্মানুরাগ এবং ব্যাপক দাতব্যের জন্য ঐতিহাসিকদের নিকট পরিচিত।[২]:১৪,৩১৮

জিনাত-উন-নিসা
মুগল সাম্রাজ্যের শাহজাদি
পাদশাহ বেগম
জন্ম৫ অক্টোবর ১৬৪৩
আওরঙ্গবাদ, মুগল সাম্রাজ্য
মৃত্যু৭ মে ১৭২১(1721-05-07) (বয়স ৭৭)
দিল্লি, মুঘল সাম্রাজ্য
সমাধি
জিনাত-উল-মসজিদ, দিল্লি
রাজবংশতৈমুরি
পিতাআওরঙ্গজেব
মাতাদিলরাস বানু বেগম
ধর্মইসলাম

জীবনী সম্পাদনা

জিনাত-উন-নিসার ("মহিলাদের মধ্যে মণী") জন্ম ৫ অক্টোবর ১৬৪৩ সালে আওরঙ্গবাদে, সম্রাট আওরঙ্গজেব এবং তার প্রধান সম্রাজ্ঞী সঙ্গী দিলরাস বানু বেগমের ঘরে। তার মা পারস্যের বিশিষ্ট সাফাভি রাজবংশ রাজকন্যা ছিলেন এবং গুজরাটের ভাইসরয় মির্জা বদি-উজ-জামান সাফাভির কন্যা ছিলেন।[৩] তার পিতামহ ছিলেন পঞ্চম মুগল সম্রাট শাহজাহান, যার যার শাসনামলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জিনাত তার বড় বোন, রাজকন্যা জিব-উন-নিসা ও তার ছোট বোন রাজকন্যা জুবদাত-উন-নিসা এর মতো ইসলামের মতবাদগুলোতে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।[৪] তিনি ব্যক্তিগত শিক্ষক এবং পণ্ডিতদের দ্বারা শিক্ষিত হয়েছিলেন, এবং বিবাহ করতে অস্বীকার করেন, তার সমগ্র জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। জিনাত তার কনিষ্ঠ সৎ ভাই মুহাম্মাদ কাম বখশের সপক্ষে ছিলেন, যার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার তার বাবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন। যদিও তার আপন ভাই আজম শাহ, মুহাম্মাদ কাম বখশকে গভীরভাবে অপছন্দ করতেন।[৫] উপপত্নী উদয়িপুরি মহালের পাশাপাশি জিনাত তার পিতার শাসনের পরবর্তী অংশে তার পিতার একমাত্র সঙ্গী ছিলেন। তিনি ১৭০৭ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত এক শতাব্দীর এক চতুর্থাংশ সময় ধরে দাক্ষিণাত্যে তার পিতার পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তিনি অনেক বছর বেঁচে ছিলেন, একটি মহান যুগের জীবন্ত স্মারক হিসেবে তার উত্তরাধিকারীদের সম্মান ভোগ করেছিলেন।[২]:২৮২

মৃত্যু সম্পাদনা

দিল্লির নদীর তীরে লালকেল্লা-র প্রাচীরের দেওয়াল জুড়ে নিজ খরচে তিনি জিনাত-উল-মসজিদ নির্মান করেন, যেখানে তাকে দাফন করা হয়েছিল।[৬]

পূর্বপুরুষগণ সম্পাদনা

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sir Jadunath Sarkar (১৯৭৩)। Volumes 1-2 of History of Aurangzib: Mainly Based on Original Sources। Orient Longman। পৃষ্ঠা 38। 
  2. Sir Jadunath Sarkar (১৯৭৯)। A short history of Aurangzib, 1618-1707 
  3. Annie Krieger-Krynicki (২০০৫)। Captive princess: Zebunissa, daughter of Emperor AurangzebOxford University Press। পৃষ্ঠা 1। 
  4. Schimmel, Annemarie (১৯৮০)। Islam in the Indian Subcontinent, Volume 2, Issue 4, Part 3। Leiden: Brill। আইএসবিএন 9789004061170 
  5. Richards, J.F. (১৯৯৫)। Mughal empire (Transferred to digital print. সংস্করণ)। Cambridge, Eng.: Cambridge University Press। আইএসবিএন 9780521566032 
  6. Annemarie Schimmel, Burzine K. Waghmar (২০০৪)। The Empire of the Great Mughals: History, Art and Culture। Reaktion Books। পৃষ্ঠা 154