জাভেদ আখতার

কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার

জাভেদ আখতার (হিন্দি: जावेद अख्तर, উর্দু: جاوید اختر‎‎; জন্ম: ১৭ জানুয়ারি, ১৯৪৫) একজন কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি ভারতের মূলধারার একজন লেখক এবং তার বেশীরভাগ সফল এবং জনপ্রিয় কাজগুলো সেলিম খানের সাথে করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১০ টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।

জাভেদ আখতার
স্থানীয় নাম
जावेद अख्तर
جاوید اختر
জন্ম (1945-01-17) ১৭ জানুয়ারি ১৯৪৫ (বয়স ৭৯)
গোয়ারিয়র, গোয়ারিয়র রাজ্য, ব্রিটিশ ভারত
পেশাকবি, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার
জাতীয়তাভারতীয়
দাম্পত্যসঙ্গী
সন্তানজোয়া আখতার
ফারহান আখতার

শৈশব কাল সম্পাদনা

তার আসল নাম ছিলো জাদু। তার বাবার লেখা একটা কবিতা "লম্বা,লম্বা কিসি জাদু কা ফাসানা হোগা" থেকে এই নাম নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি 'জাদু' নামের সাথে মিল রেখে জাভেদ নাম নেন।[১]

শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

তিনি লখনউয়ের কলভিন তালুকদার কলেজ এবং মিন্টো সার্কেলে পড়াশোনা করেন। তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশান পাস করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

পেশা সম্পাদনা

১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবরে আখতার মুম্বই আসেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি কোনো কাজ নিতে সমর্থ হননি।

সেলিম খানের সাথে প্রথম জাভেদ আখতারের সাক্ষাৎ হয় সরহাদি লুটেরা ছবি তৈরির সময়। এই ছবি ছিলো সেলিম খানের সর্বশেষ অভিনীত ছবিগুলোর একটা। এরপর তিনি চিত্রনাট্য লেখার দিকে মন দেন। এই সময় থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেলিম খান চিত্রনাট্য লিখতেন আর জাভেদ আখতার তাকে ডায়ালগ দিয়ে সাহায্য করতেন। সেই সময় থেকে তারা সেলিম-জাভেদ জুটি নামে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৮২ এর আগ পর্যন্ত তারা এভাবেই কাজ চালিয়ে যান।

রাজেশ খান্না প্রথম সেলিম খান এবং জাভেদ আখতারকে তার হাতি মেরে সাথি চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ দেন।[২][৩]

এছাড়াও তাদের ব্যবসাসফল জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে: যাদু কি বারাত (১৯৭৩), জাঞ্জির (১৯৭৩), হাত কি সাফাই (১৯৭৪), দেবর (১৯৭৫), শোলে (১৯৭৫), প্রেমাদা কান্নিকি, চাচা ভাতিজা (১৯৭৭), ডন (১৯৭৮), ত্রিশূল (১৯৭৮), মনুশুলু চেছিনা দঙ্গালু (তেলুগু ছবি), যুগনধার, দোস্তানা (১৯৮০), ক্রান্তি (১৯৮১), জামানা (১৯৮৫) এবং মি. ইন্ডিয়া (১৯৮৭)। তারা একত্রে প্রায় ২৪টির মত চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন; যেমন: ২টি তেলুগু চলচ্চিত্র, মনুশুলু চেছিনা দঙ্গালু, যুগনধার এবং একটি কন্নাটা চলচ্চিত্র প্রেমাদা কান্নিকি। তাদের লেখা ২৪টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ২০টি ব্যবসাফল হিট চলচ্চিত্র। তাদের লেখা চিত্রনাট্য বক্স অফিসে তেমন সাফল্য দেখাতে না পারা চলচ্চিত্র গুলি হল; আখিরী দাও (১৯৭৫), ইমান ধর্ম (১৯৭৭), কালা পাত্থর (১৯৭৯), এবং শান (১৯৮০)। তারা ১৯৮২ সালের ব্যক্তিগত বিষয়ের কারণে আলাদা হয়ে যান। সেলিম-জাভেদ জুটিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল চিত্রনাট্যাকার হিসাবে বর্ণনা করা হয়।[৪]

আখতার ২০০৯ সালের ১৬ই নভেম্বর রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আখতার হানি ইরানির সাথে বিয়ে করেন এবং এখানে তার দুই সন্তান ফারহান আখতার এবং জয়া আখতার জন্মগ্রহণ করে। ফারহান এবং জয়া দুজনেই অভিনয় করছেন। বাবা আখতার আর ছেলে ফারহান বেশ কিছু ছবিতে এক সাথে কাজ করেছেন যেমন দিল চাহতা হ্যায়, লক্ষ্য, রক অন!! এবংজিন্দেগি না মিলেগি দোবারা মেয়ে জয়ার সাথে।[৬]

জাভেদ আখতার হানি ইরানিকে তালাক দেন এবং উর্দু কবি কাইফি আজমির মেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন।[৭]

পুরস্কার সম্পাদনা

তিনি পাঁচ বার জাতীয় পুরস্কার পান, এছারাও পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন তার কবিতা সংগ্রহ "লাভা"র জন্য। ২০২০ সালে তিনি 'রিচার্ড ডকিন্স অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Chopra, Anupama (২০০০)। Sholay: The Making of a Classic। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 16আইএসবিএন 0-14-02997-0X 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৩-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-০২ 
  3. http://www.bollywoodhungama.com/movies/features/type/view/id/3718/
  4. Sholay, through the eyes of Salim Khan, [১],Rediff.com
  5. "Javed Akhtar, Dua nominated to Rajya Sabha – India – DNA"। Dnaindia.com। ১৭ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৩ 
  6. "Transcript of the Javed Akhtar Chat"। rediff.com। ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৩ 
  7. "Honey Irani on Divorce, Survival & Shabana Azmi"। iDiva.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৩ 
  8. "রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কার পেলেন জাভেদ আখতার"এনটিভি অনলাইন। ২০২০-০৬-০৮। ২০২০-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা