ইসরায়েল-জর্ডান শান্তি চুক্তি

শান্তি চুক্তি
(জর্ডান-ইসরাইল শান্তি চুক্তি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ইসরাইল - জর্ডান শান্তি চুক্তি বা ওয়াদ্বি আরাবা চুক্তি (হিব্রু ভাষায়: הסכם השלום בין ישראל לירדן‎) স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৪ সালে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর । তখন পর্যন্ত জর্ডান ছিল দ্বিতীয় আরব রাষ্ট্র যে মিশরের পর ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে ভূমি, পানি, ব্যবসা এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে সম্পর্ক স্থাপিত করে। এই চুক্তির অন্য একটি অঙ্গীকার ছিল জর্ডান অথবা ইসরাইল কোন দেশই ,তাদের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় কোন দেশকে তাদের ওপর আক্রমণ করতে দিবে না ।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৮৭ সালে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিমন প্যারেস এবং  জর্ডানের রাজা হুসাইন গোপনে শান্তিচুক্তির চেষ্টা  চালান যেখানে যখন ইসরাইল পশ্চিম তীর জর্ডানের স্বীকার করে নেয়। এই চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তির কাঠামো হিসেবে নির্ধারণ করা প্রস্তার করা  হয়। কিন্ত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর আপত্তির কারণে  এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি।

স্বাক্ষর সম্পাদনা

১৯৯৪ সালে ২৬ অক্টোবর জর্ডান এবং ইসরাইল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে,অনুষ্ঠানটি হয় জর্ডানে বর্ডারের পাশে ইসরাইলের আলভা বেলিতে। প্রধানমন্ত্রী রবিন এবং জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী আবদেল ইসলাম আল-মাজালি চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন চুক্তিটি পর্যবেক্ষণ করেন । পোগ্রাম শেষ হওয়ার পর হাজারো বেলুন উড়ানো হয়। মিশর স্বাগত জানায় যেখানে সিরিয়া প্রত্যাখ্যান করে ।

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

এই শান্তিচুক্তির প্রস্তাবনা ঘটিত হয় ৩০ টি অনুচ্ছেদ, ৫ পরিসিষ্ট নিয়ে ঘটিত হয়।

পরিশিষ্ট ১ এর বিষয় হল সংগাতপূর্ণ বর্ডার এবং সার্বভৌমত্ব। |পরিশিষ্ট ২ এর বিষয় হল পানি এবং ঔই সম্পকির্ত বিষয়। |পরিশিষ্ট ৩ এর বিষয় অপরাধ এবং মাদক। |পরিশিষ্ট ৪ এর পরিবেশ বিষয়ক। |পরিশিষ্ট ৫ এর বিষয় বর্ডার স্থানান্তর পাসপোর্ট এবং ভিসা।

প্রধান বিষয় সম্পাদনা

বর্ডার সম্পাদনা

আন্তজার্তিকভাবে জর্ডান এবং ইসরাইল এর বর্ডার হচ্ছে আরমুখ নদী, মৃত সাগর।

কূটনীতিক সম্পর্ক সম্পাদনা

দুইপক্ষই চুক্তিতে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে  একমত হয়। তাদের মধ্যে স্থায়ী দূতাবাস  স্থাপন, ভ্রমণ ভিসা ,মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়।

নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সম্পাদনা

উভয়দেশ চুক্তিবদ্ধ হয় যে তারা তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, নির্দিষ্ট এলাকা,একজন একজনের এরিয়ায় অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করবেন না ।

জেরুজালেম সম্পাদনা

আর্টিকেল ৯ এ আলোচনা করা হয়েছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া ।

পানি সম্পাদনা

ইসরাইল বছরে ৫০,০০০,০০০ কিউবিক মিটার পানি দিতে রাজি হয় । উভয় দেশই পানির অন্যান্য উৎস বৃদ্ধি করতে রাজি হয়।

ফিলিস্তিনি শরনার্থী সম্পাদনা

ইরসাইল এবং জর্ডান  উভয় দেশই চুক্তিবদ্ধ হয় তারা ফিলিস্তিনি শরনার্থীদের সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

1.https://archive.nytimes.com/www.nytimes.com/learning/general/onthisday/big/1026.html 2.http://avalon.law.yale.edu/20th_century/pal06.asp 3.https://en.m.wikipedia.org/wiki/Israel–Jordan_peace_treaty