জব্বলপুর বিমানবন্দর

বিমানবন্দরটি ভারতের মধ্য প্রদেশের জব্বলপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) পূর্বে দিকে অবস্থিত।

জব্বলপুর বিমানবন্দর (আইএটিএ: জেএলআর, আইসিএও: ভিএজেবি), দুমনা বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। বিমানবন্দরটি ভারতের মধ্য প্রদেশের জব্বলপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) পূর্বে দিকে অবস্থিত। বিমানবন্দরটি মহাকৌশাল অঞ্চলে ও পূর্ব মধ্যপ্রদেশে এবং কানহা জাতীয় উদ্যান, বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, পেনচ জাতীয় উদ্যান, খাজুরো এবং ভেদঘাটে ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য বিমান পরিসেবা প্রদান করে। বিমানবন্দরটি ৭৫৯.৫২ একর এলাকায় বিস্তৃত। এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট এবং জুম এয়ার নির্ধারিত ফ্লাইট পরিষেবাগুলি জব্বলপুর থেকে পরিচালনা করছে বর্তমান সময়ে।

জব্বলপুর বিমানবন্দর

দুমন বিমানবন্দর
বিমানবন্দরের প্রবেশ পথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনজনসাধারন
পরিচালকভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাজব্বলপুর, মধ্যপ্রদেশ, ভারত
অবস্থানদুমন
এএমএসএল উচ্চতা১,৬২৪ ফুট / ৪৯৫ মিটার
স্থানাঙ্ক২৩°১১′০৫″ উত্তর ০৮০°০৩′৩১.৫″ পূর্ব / ২৩.১৮৪৭২° উত্তর ৮০.০৫৮৭৫০° পূর্ব / 23.18472; 80.058750
ওয়েবসাইটজব্বলপুর বিমানবন্দরের ওয়েসাইট
মানচিত্র
জে.এল.আর মধ্যপ্রদেশ-এ অবস্থিত
জে.এল.আর
জে.এল.আর
মধ্যপ্রদেশ ও ভারতে বিমানবন্দরটির অবস্থান
জে.এল.আর ভারত-এ অবস্থিত
জে.এল.আর
জে.এল.আর
মধ্যপ্রদেশ ও ভারতে বিমানবন্দরটির অবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
ফুট মি
০৬/২৪ ৬,৫২২ ১,৯৮৮ আস্ফাল্ট
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০১৬-মার্চ ২০১৭)
যাত্রী সংখ্যা1,69,994(বৃদ্ধি10.8%)
বিমান সংখ্যা3048(বৃদ্ধি25.6%)

ইতিহাস সম্পাদনা

বিমানবন্দর ১৯৩০-এর দশকে খোলা হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং সময়কালে রয়েল এয়ার ফোর্স এবং রয়েল ফ্লাইং কর্পস দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত জব্বলপুর বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল, এবং ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত বিমানবন্দরে একটি ময়লা রানওয়ে ছিল। নতুন বাঁধানো রানওয়ে মূল ময়লা রানওয়ে উপরে নির্মিত হয়েছিল। দুমনা বিমানঘাঁটি চালু হওয়ার আগে, ১৯২০-র দশকে দুমনাতে বিমান অবতরণ করত, এমনকি সেই সময়ে জব্বলপুর শহরের সীমানার ভিতরে একটি রেসকোর্সের মধ্যেও বিমানগুলি অবতরণ করছিল।

রানওয়ে সম্পাদনা

রানওয়েটি এয়ারবাস ৩২০ পরিবার / বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সহ ছোট শরীরের বিমান চালানোর ক্ষমতা রাখে এবং রাতে অবতরণের জন্য ডিওওআর / ডিএমই, এনডিবি এবং স্পষ্টতা পদ্ধতির পথ নির্দেশক ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানবন্দরে এ ৩২০ / বি-৭৩৭ বা ২ এটিআর ৭২ বিমানের জন্য একটি পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রান্তিক সম্পাদনা

প্রান্তিক বা টার্মিনালের ঘণ্টায় ১২৫ জন যাত্রী পরিচালনা করার ক্ষমতা আছে। ৪ টি চেক-ইন ডেস্কয়ে নিরাপত্তা জন্য সিসিটিভি এবং একটি এক্স-রে মেশিনের রয়েছে। বিমানবন্দরটি রানওয়েতে আলো, গাড়ী-কলিং, রাতে অবতরণ সুবিধা, একটি খাদ্য স্টল এবং এটিএম দিয়ে সজ্জিত। মধ্যপ্রদেশ সরকার পর্যটন তথ্য কেন্দ্র এবং প্রাথমিক চিকিৎসা, এমআইআর, এবং ডাক্তার ও নার্সের মতো চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে।

সম্প্রসারণ সম্পাদনা

একটি নতুন সুসংহত প্রান্তিকের (ইন্টিগ্রেটেড টার্মিনাল) নির্মান করা যা ₹১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ১০০০০ বর্গ মিটার এলাকায় এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০০ জন যাত্রী পরিচালনা করতে করতে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পে বর্তমানে চালু থাকা ১৯৮৮ মিটার (৬৫২২ ফুট) দীর্ঘ রানওয়েকে ২৭৫০ মিটার (৯০২২ ফুট) রানওয়েতে পরিনত করা হবে। এছাড়া ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর, ৫ কিলোমিটার পথচ্যুতির সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই সড়কটি বিমানবন্দরকে শহরের সঙ্গে এবং একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের সাথে সংযুক্ত করে, যা টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত।

বিমান সংস্থা এবং গন্তব্য সম্পাদনা

বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থল
অ্যালায়েন্স এয়ার দিল্লি
স্পাইসজেট আহমেদাবাদ কলকাতা, বেলগাঁও, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই
ইন্ডিগো কলকাতা, হায়দরাবাদ

দুর্ঘটনা এবং ঘটনা সম্পাদনা

  • ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে মুম্বই থেকে জব্বলপুর আসে স্পাইস জেটের এসজি ২৪৫৮ বিমানটি। এই বিমানে ৪৯ যাত্রী সহ মোট ৫৩ জন ছিলেন। রানওয়ে নামার সময় ৩০-৪০ টি বন্য শুয়োর ওই বিমানের সামনে চলে আসে। যার ফলে বিমানের চালক এমার্জেন্সি ব্রেক লাগাতে বাধ্য হন এবং বিমানটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় ৩ টি বন্য শুয়োরের মৃত্যু হয়। এর জন্য বিমানবন্দরটির লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল কিছু দিন। [১][২][৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জব্বলপুর বিমানবন্দরের লাইসেন্স বাতিল"। কলকাতা ২৪x৭। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Accident: Spicejet DH8D at Jabalpur on Dec 4th 2015, boar strike, runway excursion, left main and nose gear collapsed"। Avherald.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 
  3. Boyle, Darren। "Indian passenger aircraft badly damaged after hitting a wild boar on landing | Daily Mail Online"। Dailymail.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা