ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস

ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস (১৮২৩৭/১৮২৩৮) হল একটি সুপরিচিত পুরনো ভারতীয় ট্রেন যেটি বিলাসপুর এর সাথে অমৃতসর এর সংযোগ স্থাপন করে| ট্রেনটির নাম ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস কারণ এটি ছত্তীসগঢ় রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে|

WAP 7 loco hauling Amritsar railway station - Bilaspur Chhattisgarh Express
Chhattisgarh Express (Amritsar-Bilaspur) Route map
WDP 4 B loco hauling (Amritsar - Bilaspur railway station) Chhattisgarh Express

এটা প্রথম ১৯৭৭ সালে ভোপাল - বিলাসপুর ছত্তিসগড় অঞ্চল এক্সপ্রেস নামে চালু হয় এবং প্রাথমিক ভাবে এটা বিলাসপুর থেকে ভোপাল এর হাবিবগঞ্জ অবধি চলাচল করত|

এই ট্রেনটি নবনির্মিত উপ-শহুরে রেলওয়ে স্টেশন হাবিবগঞ্জ থেকে উদ্ভূত প্রথম ট্রেন| ১৯৮০ সালে ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে ভোপাল এর প্রধান রেলওয়ে স্টেশন, ভোপাল জংশন অবধি করা হয়|

পরবর্তী কালে ১৯৮৭ সালে ট্রেনটির যাত্রাপথ আরও বাড়িয়ে প্রথমে হজরত নিজামউদ্দিন তারপর নিউ দিল্লি এবং শেষে ১৯৯০ সালে অমৃতসর অবধি করা হয়|

ইতিহাস সম্পাদনা

এই ট্রেনটি প্রথম এরকম ট্রেন যেটি ভোপালের আংশিক গ্রামীণ অঞ্চল, হাবিবগঞ্জ থেকে ১৯৭৭ সালে চলাচল শুরু করে| ১৯৮০ সালে এটার যাত্রাপথ বাড়িয়ে ভোপালের মুখ্য রেলওয়ে স্টেশন অবধি করে দেওয়া হয়| পরে ১৯৮৭ সালে ট্রেনটির যাত্রাপথ আরও বাড়িয়ে হজরত নিজামউদ্দিন করা হয় এবং ট্রেনটিতে একটি প্যানট্রি কার দেওয়া হয়| অবশেষে ১৯৯০ সালে ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে পরিশেষে অমৃতসর অবধি করা হয়|[১]

রুট সম্পাদনা

এই ট্রেনটি বিভিন্ন রাজ্য যেমন ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব এর মধ্যে দিয়ে চলাচল করে| এটি নিজের যাত্রাপথের দরুন ২০১১ কিলোমিটার দুরত্ব সম্পন্ন করে|

কিছু প্রধান স্টেশন যেখানে এই ট্রেনটি থামে : বিলাসপুর জংশন, রায়পুর জংশন, দুর্গ, গোনদিয়া জংশন, নাগপুর, ইতারসি জংশন, ভোপাল জংশন, ঝানসি জংশন, গওয়ালিয়র, আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট, মথুরা জংশন, হযরত নিজামউদ্দিন, গাজিয়াবাদ, মিরাট শহর, মুজাফ্ফরনগর, সাহারানপুর, আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট জংশন, লুধিয়ানা জংশন, জলন্ধর শহর থেকে অমৃতসর|[২][৩]

ট্রেন সংক্রান্ত তথ্য সম্পাদনা

এই ট্রেনটি একটি এক্সপ্রেস ট্রেন যেটি দৈনিক চলাচল করে| ট্রেনটি যখন বিলাসপুর থেকে ছারে তখন এটিকে ১৮২৩৭ সংখায় চিহ্নিত করা হয় এবং যখন অমৃতসর থেকে ছারে তখন ট্রেনটিকে ১৮২৩৮ সংখায় চিহ্নিত করা হয়|[৪]

কোচ সম্পাদনা

ট্রেনটিতে মোট ২৪ টি কোচ আছে যার বিবরণ হল

এস এল আর, জি ১, জি ২, এইচ এ ১, এ ১, বি ১, বি ২, বি ৩, এস ১২, এস ১১, পি সি, এস ১০, এস ৯, এস ৮, এস ৭, এস ৬, এস ৫, এস ৪, এস ৩, এস ২, এস ১, জি ৩, জি ৪, এস এল আর, এস পি|
ট্রেনটিকে বিলাসপুর থেকে নাগপুর অবধি ইতারসি শেড থেকে ডাব্লিউ এ পি ৪ দেওয়া হয়, তারপর নাগপুর থেকে হজরত নিজামউদ্দিন অবধি অজনি শেড থেকে ডাব্লিউ এ পি ৭ দেওয়া হয় এবং শেষে হজরত নিজামউদ্দিন থেকে অমৃতসর অবধি তুঘ্লাকাবাদ শেড থেকে ডাব্লিউ দি পি ৪বি দেওয়া হয়|[৫]

প্রসারণ এর ইতিহাস সম্পাদনা

  • সন ১৯৭৭ - এই ট্রেন টি ভোপাল এর হাবিবগঞ্জ থেকে বিলাসপুর জংশন অবধি হাবিবগঞ্জ - বিলাসপুর ছত্তিসগড় অঞ্চল এক্সপ্রেস নামে একটি এসি দ্বিতীয় স্তর, ৩ টি এসি তৃতীয় স্তর, ১০ টি স্লীপার, ৬ টি জেনারেল এবং ২ টি এসএলআর কোচ নিয়ে চলাচল শুরু করে.
  • সন ১৯৮০ - এই ট্রেনটির যাত্রাপথ ভোপাল এর প্রধান রেলওয়ে স্টেশন অবধি বাড়ানো হয় এবং এটি ভোপাল - বিলাসপুর ছত্তিসগড় অঞ্চল এক্সপ্রেস নামে চলাচল শুরু করে.
  • সন ১৯৮৭ - ১৯৮৮ - এই ট্রেন এ একটি প্যান্ত্রী কার দেওয়া হয় এবং ট্রেন সংখা ১২২৫/১২২৬, ভোপাল - হযরত নিজামউদ্দিন এক্সপ্রেস কে বাতিল করে এটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে দিল্লির হযরত নিজামউদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন অবধি করে দেওয়া হয়. এই সময় ট্রেনটির নাম থেকে অঞ্চল শব্দ টি উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং এটি স্বাধীনভাবে ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস হিসাবে পরিচিত হয়.
  • সন ১৯৯৭ - এটির যাত্রাপথ অমৃতসর জংশন অবধি সম্প্রসারিত করা হয়.
  • সন ১৯৯৯ - ট্রেন টি ছিন্দওয়ারা, মধ্য প্রদেশ থেকে স্লিপ কোচ এর ব্যবস্থা পায়.

এছাড়াও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ওয়েলকাম টু ইন্ডিয়ান রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার রিসার্ভেসন এন্কুয়ারী"। Indianrail.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৮ 
  2. "ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস ১৮২৩৭ - রানিং ট্রেন স্টেটাস" 
  3. "ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস ১৮২৩৮ - রানিং ট্রেন স্টেটাস" 
  4. "ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস"। cleartrip.com। ১ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "বিলাসপুর এক্সপ্রেস"