চ্যাম্পিয়ন (২০০৩-এর চলচ্চিত্র)

২০০৩-এর রবি কিনাগী পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র

চ্যাম্পিয়ন হল ২০০৩ এর একটি বাংলা ক্রীড়া সম্পর্কিত চলচ্চিত্র যার পরিচালক রবি কিনাগী ও প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি জিৎ তৃতীয় এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রথম ছবি।[২] এই ছবিটি তেলুগু ছবি থম্মুডু (১৯৯৯) এর পুনঃনির্মাণ ছিল যা আবার ১৯৯৯ সালে হিন্দি ছবি জো জিতা ভোহি সিকান্দার দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল। ছবিটিতে সবকটি গানের কথা লিখেছিলেন গৌতম সুস্মিত এবং সুর করেছিলেন সংগীতকার এস.পি.ভেঙ্কটেশ।

চ্যাম্পিয়ন
চ্যাম্পিয়ন চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরবি কিনাগী
প্রযোজকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
রচয়িতারবি কিনাগী
শ্রেষ্ঠাংশেজিৎ
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
সুরকারএস পি ভেঙ্কটেশ
চিত্রগ্রাহকভি প্রভাকার
সম্পাদকঅতীশ চন্দ্র সরকার
পরিবেশকআশাদীপ বিনোদন
মুক্তি৬ জুন ২০০৩
স্থিতিকাল১৬৬ মিনিট [১]
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা

পটভূমি সম্পাদনা

ছবির মূল বক্তব্য হল একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন ছেলে কীভাবে জীবনের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে একজন দায়বদ্ধ এবং দায়িত্ববান হতে পারে। এই ছবিতে রাজা (জিৎ) এমন এক কলেজ ছাত্র, যে চিরকাল দুষ্টুমি করে চলছে। তিনি এবং তাঁর সহকর্মী ভোলা, ধোনু এবং কানু সর্বদা ব্যর্থতার তালিকার সবার ওপরে থাকেন। রাজার বড় ভাই রোহিত (সিদ্ধার্থ) ছিল রাজার ঠিক বিপরীত চরিত্র। রোহিত তাদের বাবার ক্যাফেতে কর্মরত এবং পড়াশোনাতেও খুব উজ্জ্বল ছিল। তাদের বাবা সর্বদা অস্থির রাজা থেকে বিরক্ত থাকতেন। এমনকি তার বাবার কাছ থেকে বার বার তিরস্কার পাওয়ার পরেও একগুঁয়ে রাজার কোন প্রকার কোন পরিবর্তন নেই। রাজার একমাত্র সমর্থন করত তাঁর শৈশবের বন্ধু কবিতা, যে গোপনে তাঁকে খুব ভালোবাসত কিন্তু চঞ্চল রাজা এক ধনির মেয়ে রিয়ায়কে পছন্দ করত। রাজা আর এক ধনির ছেলে রনির কাছ থেকে রিয়াকে বাঁচান। কিন্তু পরবর্তীকালে রিয়া রাজাকে প্রত্যাখ্যান করে রনি সাথে বন্ধুত্ব করে। ইতিমধ্যে রোহিত রনির বিপক্ষে আসন্ন কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য কঠোর অনুশীলন শুরু করে। তবে হটাৎ একদিন রোহিতকে রনি ও তার বন্ধুরা আক্রমণ করে এবং আহত করে। গুরুতর অবস্থায় রোহিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজা ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে ভেঙ্গে পড়ে। সে রোহিতের কোচের কাছে যায় এবং তাকে কিক বক্সিং প্রশিক্ষণের জন্য অনুরোধ করলেন। রাজা কঠোর অনুশীলন শুরু করে এবং তার শৈশবের বন্ধু কবিতার সমর্থন সে নিজেকে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। ফাইনাল ম্যাচে সে বিজয়ী হয়ে ট্রফিটি রোহিতকে উত্সর্গ করে।

সাথীর বিশাল সাফল্যের পরে এই চলচ্চিত্রটি থেকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন গতিবেগ নিয়ে জিৎ তার যাত্রা শুরু করার সাথে সাথে, রোহিত (জিৎের বড় ভাই) চরিত্রে সিদ্ধার্থ ব্যানার্জির আরও একটি দুর্দান্ত তরুণ অভিনেতা পেল। সিদ্ধার্থ, যদিও টিভি সিরিয়ালের প্রধান চরিত্রে নিয়মিত মুখ, তুলনামূলকভাবে বড় পর্দায় একজন নবাগত ছিলেন। তাঁর পর্দার উপস্থিতি জিৎের সাথে সমান সমান অভিনয়ে পাল্লা দিয়েছিল। এই ছবিটি থেকে শিল্পকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে পায় আরও এক উদীয়মান অভিনেতা, সাগনিক (রনির ভূমিকায়) যিনি জিৎ-সিদ্ধার্থের জুটির বিপরীতে দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন।

অভিনয় সম্পাদনা

প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন (জিৎ), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Champion 2003 Movie"। ২০১৯-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৪ 
  2. "Dream Pair : Heroine Hunt"। Calcutta, India: www.telegraphindia.com। ১৮ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৫