চরক

ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক

চরক প্রাচীন ভারতের একজন চিকিৎসক[১] চরক ছিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের কনিষ্ক রাজার চিকিৎসক। সেময়কালে তিনি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সর্বপ্রথম সংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যা চরক সংহিতা নামে সমধিক পরিচিত।[২]


চরক
Charaka
Charaka monument in the Patanjali campus, India.
জন্ম
charaka

100 BCE - 200 CE
Taxila, ancient India
সমাধিTaxila, ancient India
পরিচিতির কারণAuthor of Charaka Samhita, written in Sanskrit
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রMedicine

চরক সংহিতা সম্পাদনা

চরক সংকলিত চরক সংহিতা আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিদ্যার আকর গ্রন্থ। এতে বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসাগুলো সংকলন করেন চরক।[২] বইটিতে ১২০টি অধ্যায় রয়েছে, যা আবার ৮ অংশে বিভক্ত।[১]

  • সূত্র-স্থানম্
  • শারীর-স্থানম্
  • ইন্দ্রীয়-স্থানম্
  • কল্প - স্থানম্
  • সিদ্ধি - স্থানম্
  • বিমান-স্থানম্
  • নিদান-স্থানম্
  • চিকিৎসা-স্থানম্

এই বইয়ের মূল ভাষা ছিল সংস্কৃত। পরবর্তীকালে তা আরবি, গ্রিক, ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। বিখ্যাত শল্য চিকিৎসক ইবনে সিনা আরবিতে অনূদিত চড়ক সংহিতা এবং তৎকালীন আরেকটি চিকিৎসা আকরগ্রন্থ সশ্রত সংহিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[২] বর্তমানে চরক এ যে সংস্করণ পাওয়া যায় তা অগ্নিবেশ তন্ত্রের প্রতি সংস্কৃত গ্রন্থ। সুশ্রুতসংহিতা এবং চরকসংহিতা উভয়‌ গ্রন্থ‌ই ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আব্বাস এর সময় আরবি ভাষায় অনুদিত হয় এবং এর মাধ্যমে ইউরোপে প্রচারিত হয়।

চরক মুনি তার গ্রন্থের ' সূত্র স্থানম্ ' অংশে বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ ও তার গুণের কথা বর্ণনা করেছেন । তার গ্রন্থে - নিম্ব ( নিম গাছ ) , এলাচি ( এলাচ ) , পিপ্পলী ( পিপুল ) প্রভৃতি গাছের ভেষজ গুণ বর্ণনা করা হয়েছে ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. চরক সংহিতা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। সংগ্রহের তারিখ: ১১ জুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  2. এই জনপদে চিকিৎসাচর্চা ইতিহাসের প্রেক্ষিতে[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], শাহাদুজ্জামান, সাপ্তাহিক ২০০০।