অতি তীব্রতর ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ (ইংরেজি: Cyclone Hudhud)[nb ১] হল এমন একটি ক্রান্তীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যা ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে পূর্ব ভারতনেপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটায়। ২০১৪ সালের ৬ ই অক্টোবরে আন্দামান সাগরে একটি উর্দ্ধ-বায়বীয় ঘূর্ণাবর্তের সঞ্চালনের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে হুদহুদ উদ্ভূত হয়েছিল। ৮ ই অক্টোবর হুদহুদ একটি ঘূর্ণিঝড়ে এবং ৯ ই অক্টোবরে এটি একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। পরবর্তীকালে হুদহুদ দ্রুত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে এবং আইএমডি কর্তৃপক্ষ এটিকে একটি অতি তীব্রতর এবং ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের কাছে, স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কিছু আগে, ১২ ই অক্টোবর নাগাদ হুদহুদ তার সর্বোচ্চ শক্তিতে পৌঁছেছিল, বাতাসে তিন মিনিটের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১৮৫ কিমি (ঘন্টায় ১১৫ মাইল) এবং সর্বনিম্ন কেন্দ্রীয় চাপ ৯৬০ এমবিএআর অথবা ২৮.৩৫ পারদস্তম্ভের চাপের সমান) ছিল। তারপরে এই সম্পূর্ণ ঝড়টি উত্তর দিক বরাবর উত্তর প্রদেশ এবং নেপালের দিকে অগ্রসর হয়, যার ফলে উভয় এলাকাতেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং পরবর্তীতে ভারী তুষারপাত ঘটে।

ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ
ঘূর্ণিঝড় (সাইক্লোন)
ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ সর্বোচ্চ মাত্রায় রয়েছে
গঠন৭ অক্টোবর ২০১৪
বিলুপ্তি১৪ অক্টোবর ২০১৪
সর্বোচ্চ গতি৩-মিনিট স্থিতি: ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা (১১৫ mph)
১-মিনিট স্থিতি: ২১৫ কিমি/ঘণ্টা (১৩০ mph)
সর্বনিম্ন চাপ৯৫০ hPa (mbar); ২৮.০৫ inHg
হতাহত১২৪ জন
ক্ষয়ক্ষতি$3.4 বিলিয়ন (২০১৪ $)
প্রভাবিত অঞ্চল
২০১৪ উত্তর ভারত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড় ঋতু অংশ

হুদহুদ বিশাখাপত্তনম শহর এবং অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানগরামশ্রীকাকুলামের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য সরকারের[৩] হিসাবনুযায়ী আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ₹২১৯ বিলিয়ন (ইউএস $৩.৫৮ বিলিয়ন) টাকা। সরকারপক্ষ থেকে কমপক্ষে ১২৪ জনের মৃত্যুকে নিশ্চিত করা হয়, যাদের বেশিরভাগই অন্ধ্র প্রদেশ এবং নেপালের বাসিন্দা ছিলেন। প্রাথমিকভাবে, এনাদের প্রত্যেকের মৃত্যুই ঘূর্ণিঝড় এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী তুষারপাতের কারণে ঘটেছিল বলে জানা যায়।

আবহাওয়ার ইতিহাস সম্পাদনা

 
সাফির-সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী, মানচিত্রে ঝড়টির পথ ও তীব্রতা দেখানো হয়েছে।
মানচিত্রের ব্যাখ্যা
     গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপ (≤৩৮ মা/ঘ, ≤৬২ কিমি/ঘ)
     গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় (৩৯–৭৩ মা/ঘ, ৬৩–১১৮ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ১ (৭৪–৯৫ মা/ঘ, ১১৯–১৫৩ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ২ (৯৬–১১০ মা/ঘ, ১৫৪–১৭৭ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৩ (১১১–১২৯ মা/ঘ, ১৭৮–২০৮ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৪ (১৩০–১৫৬ মা/ঘ, ২০৯–২৫১ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৫ (≥১৫৭ মা/ঘ, ≥২৫২ কিমি/ঘ)
     অজানা
ঝড়ের ধরন
  অক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, ছোট নিম্নচাপ, গ্রীষ্মমন্ডলীয় গোলযোগ বা মৌসুমী নিম্নচাপ

ঊর্ধ্ব-বায়বীয় ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ৬ অক্টোবর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চলের সৃষ্টি হয়[৪]। এটি ধীরে ধীরে একত্রিত হয় এবং ৭ ই অক্টোবর ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (বা, ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, সংক্ষেপে: আই এম ডি) এটিকে নিম্নচাপ রূপে ঘোষণা করে । মুক্ত জলের উপরিভাগে থাকাকালীন অবস্থায়, নিম্নচাপটি একটি অনুকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে থাকে এবং যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্র (বা, জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার, সংক্ষেপে:জে টি ডব্লু সি) একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় গঠনের (বা, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ফর্মেশন অ্যালার্ট, সংক্ষেপে: টি সি এফ এ) সতর্কতা জারি করে। এরপর ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর এই ঝড়টিকে "গভীর নিম্নচাপ" রূপে উন্নীত করে।[৫][৬]

এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া যেহেতু ঝড়ের কেন্দ্রে থাকা ক্রান্তীয় ঝড়ের বাতাসের গতিবেগকে নথিভুক্ত করে তাই ৮ ই অক্টোবরের শুরুর দিকে জেটিডব্লিউসি এই প্রক্রিয়ার জন্য তার নির্দেশ জারি করা শুরু করে দেয়[৭]আইএমডি মারফত পরে জানায় যে, গভীর নিম্নচাপটি লং আইল্যান্ড, আন্দামানে প্রথম আছড়ে পড়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো তীব্রতায় পৌঁছে যাওয়ায়, এর নাম দেওয়া হয় "হুদহুদ"[৮]। পরের দিন বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করার পর, হুদহুদের গতিবেগ তীব্র হতে থাকে এবং এটি একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

১০ ই অক্টোবর নাগাদ, হুদহুদ যখন একটি বেতারতরঙ্গের চোখের বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি করে এবং মাঝারি বায়ুর গতিবেগের[৯] মতো অনুকূল পরিবেশ যখন এর তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে তখন জেটিডব্লিউসি এই ঝড়টিকে ১ নম্বর শ্রেণীর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। আইএমডি একই দিনে হুদহুদকে একটি অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে অভিহিত করে এবং এরপরে জেটিডব্লিউসি ঝড়টিকে ২ নম্বর শ্রেণীর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে[১০] উন্নীত করে।

১১ ই অক্টোবর, হুদহুদের তীব্রতা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এর কেন্দ্রে একটি ঘূর্ণিঝড়ের চোখ তৈরি হয়। পরের ঘন্টাগুলিতে, ঝড়টির সর্বনিম্ন কেন্দ্রীয় চাপ ৯৫০ mbar (২৮.০৫ পারদস্তম্ভের চাপের সমান) এবং তিন মিনিটের গড় বাতাসের গতিবেগ ১৮৫ কিমি/ঘন্টা (১১৫ মাইল প্রতি ঘন্টা) সহ সর্বোচ্চ তীব্রতায় পৌঁছে যায়। এই তীব্রতাকে বজায় রেখে, ১২ ই অক্টোবর দুপুরে এটি ১৭°৪২′ উত্তর ৮৩°১৮′ পূর্ব / ১৭.৭° উত্তর ৮৩.৩° পূর্ব / 17.7; 83.3ের কাছাকাছি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে (ইংরেজি: Landfall)। বিশাখাপত্তনমে ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হাই উইন্ড স্পিড রেকর্ডার (সংক্ষেপে: এইচ ডব্লুউ এস আর) যন্ত্র ব্যবহার করে দমকা বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৬০ কিমি/ঘন্টা (১৬০ মাইল প্রতি ঘন্টা) নথিবদ্ধ করা হয়। শহরে অবস্থিত ডপলার আবহাওয়া রাডার দিয়ে পরিমাপ করা, ঝড়ের চোখের ব্যাস ছিল প্রায় ৬৬ কিমি (৪১ মাইল)। বাতাসের প্রবল গতিবেগ বেতারসংযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে, রাডারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আরও পর্যবেক্ষণকে বাধা দেয়[১১]

অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, স্থলভাগে ভূমির ওপর দিয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার সময় হুদহুদ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। ঝড়টি তার দুর্বল হওয়ার এই প্রবণতাকে অব্যাহত রাখে এবং সর্বশেষে ১৪ ই অক্টোবর পূর্ব উত্তর প্রদেশের উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত হয়[১২]। বঙ্গোপসাগরীয় বেশিরভাগ ঝড়েরই ভূমিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শক্তিক্ষয় ঘটে, হুদহুদই একমাত্র বিকল্প ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যার অবশিষ্টাংশ উত্তরে হিমালয়[১৩] পর্যন্ত পৌঁছেছিল।

প্রস্তুতি এবং প্রভাব সম্পাদনা

ভারত সম্পাদনা

 
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসররত অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ

ঝড়ের জন্যে, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা এবং সুরক্ষা বাহিনীর অথবা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (সংক্ষেপে: এনডিআরএফ) ৩৫ টি দলকে অন্ধ্রপ্রদেশওড়িশায় একত্রিত করা হয়[১৪]। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার দিন অর্থাৎ ১২ ই অক্টোবরে পূর্বাঞ্চলীয় রেলবিভাগের[১৫][১৬]র ৩৮ টি ট্রেনকে বাতিল করা হয়।

অন্ধ্র প্রদেশ সম্পাদনা

অন্ধ্রপ্রদেশের তেরোটি জেলার মধ্যে যেখানে ধান, চিনাবাদাম, আখ এবং ডাল সহ স্থায়ী ফসল কাটা হয়নি এমন নয়টি জেলায় একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। অন্ধ্র প্রদেশের পাঁচ লক্ষ লোক সহ সাত লক্ষেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে ত্রাণ শিবিরজরুরি বাঙ্কারে রাখা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার সব মিলিয়ে অর্ধ লক্ষ লোকের স্থানান্তরের[১৭][১৮] ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছিল।

 
বিশাখাপত্তনমের কাছে হুদহুদের প্রভাবে ভেসে যাওয়া একটি সেতু

১২ ই অক্টোবর দুপুরে ১৮৫ কিমি/ঘন্টা (১১৫ মাইল প্রতি ঘন্টা) বাতাসের গতিবেগসম্পন্ন হুদহুদ বিশাখাপত্তনমের[১৯] উপর দিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল অতিক্রম করে। প্রাথমিক তথ্যানুসারে,উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাসের সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ৩ জন নিহত হন[২০]। উপকূলে আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় বিশাখাপত্তনম ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের[২১] রাডার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

 
বিশাখাপত্তনমের রাস্তাতে হুদহুদের প্রভাব

বিশাখাপত্তনম উপকূল, (যা "ভাইজ্যাগ" নামেও সুপরিচিত) ১৮৫ কিমি/ঘন্টা (১১৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা) বাতাসের গতিবেগযুক্ত হুদহুদের আঘাত সহ্য করে। প্রবল বর্ষণের ফলে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার সময় রাস্তায় দাঁড়ানো শত শত যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত[২২] হয়। বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরের রানওয়ে (বিমানের জন্য নির্মিত পথ) প্লাবিত হয় এবং রাডার ও দিক নির্দেশকগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল গতিবেগের কারণে বিমানবন্দরের ছাদ ভেঙে উড়ে যায়[২৩]ভাইজ্যাগের নিকটবর্তী গ্রামগুলিতেও হুদহুদের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। ঘূর্ণিঝড়ের সময় শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার জন্য পরিচিত কাসিমকোটা তেও হুদহুদ তার প্রভাব বিস্তার করেছিল, এবং পরবর্তীতে সেটিই বিশাখাপত্তনম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য আদর্শ রেশন পদ্ধতির স্থানে পরিণত হয়[২৪][২৫]

হুদহুদের কারণে অন্ধ্র প্রদেশের মধ্যেই ৬১ জন মারা যান এবং আনুমানিক ₹২১৯ বিলিয়ন (ইউএস $৩.৫৮ বিলিয়ন) টাকার ক্ষয়ক্ষতি ঘটে, যার মধ্যে শুধুমাত্র শিল্পের ক্ষেত্রেই প্রায় ₹৬১.৩৬ বিলিয়ন (ইউএস $১ বিলিয়ন) টাকার ক্ষতি হয়[৩]

ওড়িশা সম্পাদনা

হুদহুদের কারণে ওড়িশা সরকার ১৬ টি জেলাকে উচ্চ সতর্কতার অধীনে রাখে: এরমধ্যে বালাসোর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর, পুরী, গঞ্জাম, ময়ূরভঞ্জ, জাজপুর, কটক, খুরদা, নয়াগড়, গজপতি, ঢেঙ্কানাল, কেওনঝড়, মালকানগিরি এবং কোরাপুট উল্লেখযোগ্য।

স্থলভাগে ঝড় আছড়ে পড়ার সময়, দক্ষিণ ওড়িশার বিভিন্ন জেলাগুলিতে প্রবল বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। এই অঞ্চলগুলিতে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিমি (প্রতি ঘন্টায় ৫৬ মাইল) পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল[২৬]। ওড়িশায় ২ জন নিহত[২৭] হন। ওড়িশা সরকারও ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে[২৮] সহায়তার জন্য ওএসডিএমএ থেকে ৩০ টি দলকে প্রেরণ করে।

অন্যত্র প্রভাব সম্পাদনা

৮ ই অক্টোবর, হুদহুদ যখন ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি করছিল, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিদ্যালয় গুলিকে বন্ধ করে দেয় এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে এবং এর আশেপাশে জলপথ পরিষেবা বাতিল করা হয়। স্থানীয় জেলেদেরকে ঝড় সম্পর্কে আগাম সতর্ক করা হয়। আন্দামান দ্বীপটিকে অতিক্রমকারী প্রধান রাস্তাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আন্দামান ট্রাঙ্ক রাস্তাটির ওপর, ঝড়ের প্রবল শক্তির কারণে গাছ উপড়ে যাওয়ার জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এই দ্বীপে ভূমিধ্বসের খবরও পাওয়া যায়, যার ফলে কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ মাধ্যম বিকল[২৯] হয়ে পড়ে। হুদহুদ উত্তর প্রদেশে[৩০] ১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় ।

নেপাল সম্পাদনা

১৪ ই অক্টোবর ২০১৪ তারিখে, নেপালে হুদহুদের কারণে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ধৌলাগিরি পর্বতে একটি তুষারপাত[৩১][৩২] ঘটে যায়। তুষারপাত এবং ভারী তুষারপাতের কারণে নেপালে[১৩] কমপক্ষে ৪৩ জন পর্বতারোহী এবং পথপ্রদর্শক প্রাণ হারান।

পরবর্তী ক্ষেত্রে সম্পাদনা

১৫ ই অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্ধ্র প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলির[৩৩] জন্য ₹১০০০ কোটি (ইউএস $১৬৩ মিলিয়ন) টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করেন । এছাড়াও, বিশাখাপত্তনমে এফএমএসসিআই দ্বারা আয়োজিত জে কে টায়ার জাতীয় কার্টিং চ্যাম্পিয়নশিপের ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা হুদহুদের কারণে স্থগিত করতে হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. The name Hudhud, suggested by Oman, refers to the bird Hoopoe.[১] The bird is known as the "hudhud" in the Quran, and appears in the story of Sulayman (Solomon).[২]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "How Cyclone Hudhud got its name"। ১২ অক্টোবর ২০১৪। ১৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. কুরআন ২৭:২০–২৮
  3. "Cyclone Hudhud caused Rs 21,908 crore loss, agriculture sector worst hit: Andhra government"Daily News and Analysis। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  4. "Tropical Weather Outlook for North Indian Ocean Issued at 0600 UTC of October 6, 2014" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। অক্টোবর ৭, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "Tropical Cyclone Formation Alert – Issued at 1330 UTC, 7 October 2014."। Joint Typhoon Warning Center। অক্টোবর ১০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. "Tropical Weather Outlook for North Indian Ocean Issued at 0600 UTC of October 7, 2014." (পিডিএফ)। India Meteorological Department। অক্টোবর ৭, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪ 
  7. "Tropical Cyclone 03B (Three) Warning #01 Issued at 0300 UTC of October 8, 2014."। Joint Typhoon Warning Center। অক্টোবর ৮, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৪ 
  8. "Cyclonic Storm Hudhud over north Andaman Sea & adjoining southeast Bay of Bengal." (পিডিএফ)। India Meteorological Department। অক্টোবর ৮, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৪ 
  9. "Tropical Cyclone 03B (Hudhud) Warning #09 Issue at 10 October 2013, 0300 UTC"। Joint Typhoon Warning Center। অক্টোবর ১০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  10. "Tropical Cyclone 03B Best Track as on 10 October 2014"। Joint Typhoon Warning Center। অক্টোবর ১০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  11. "Very Severe Cyclonic Storm, HUDHUD over the Bay of Bengal (7-14 October 2014): A Report" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। নভেম্বর ৬, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  12. "BOB 03 Advisory 54 issued at 1300 UTC, October 14, 2014" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। অক্টোবর ১৫, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  13. Wang, S-Y, Simon; Gillies, Robert R; Fosu, Boniface; Singh, Pratibha M (ডিসেম্বর ২০১৫)। "The Deadly Himalayan Snowstorm of October 2014: Synoptic Conditions and Associated Trends [in "Explaining Extremes of 2014 from a Climate Perspective"]"Bulletin of the American Meteorological Society96 (12): S89–S94। ডিওআই:10.1175/BAMS-D-15-00113.1 বিবকোড:2015BAMS...96S..89S 
  14. "Hudhud intensifies: Andhra Pradesh, Odisha on high alert"। India Today। India Today। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  15. "BULLETIN No.4 Trains Cancelled / Diverted / Partially Cancelled on account of Cyclone 'Hudhud'"। ১০ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৪ 
  16. "Cyclone Hudhud Effect: 38 Trains Cancelled on October 12"। ১১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৪ 
  17. "Cyclone Hudhud: 1.11 lakh people in Andhra Pradesh evacuated"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৪ 
  18. "Cyclone Hudhud: PM Narendra Modi to visit Visakhapatnam today, take stock of situation"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  19. "Hudhud Cyclone Date – Anniversary observed in Vizag"। TSAPRoundup। IANS। ১২ অক্টোবর ২০১৫। ১৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  20. "3 killed as cyclone Hudhud hits coastal Andhra Pradesh"। news.biharprabha.com। IANS। ১২ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  21. "Cyclone warning centre at Vizag also hit by Hudhud"। news.biharprabha.com। IANS। ১২ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  22. "Relief operations begin in cyclone-hit Andhra"। ১৩ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৪ 
  23. "Hudhud rips through Visakhapatnam airport"Times of India। Hyderabad। ১৪ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টো ১৫, ২০১৪ 
  24. "Picking up the pieces in India after Cyclone Hudhud"। ২২ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৫ 
  25. "Kasimkota Hudhud Rehabilitation and Food Distribution Database" (PDF)Visakhapatnam Official Website। National Informatics Centre। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  26. "Cyclone Hudhud triggers Heavy rainfall in Southern Odisha"। news.biharprabha.com। IANS। ১২ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  27. "Cyclone Hudhud: 2 killed in Odisha, 68,000 people moved to safer places"Times of India। ১২ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  28. Mishra, Ashutosh; Mohanty, Subhashish (২০১৪-১০-১৪)। "Odisha returns Andhra's favour"Telegraph India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২ 
  29. "Cyclone Hudhud Heads for Odisha, After Battering Andaman and Nicobar Islands"। NDTV। ৮ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৪ 
  30. "Cyclone Hudhud impact: Heavy rain kills 18 in Uttar Pradesh"। India Today। ১৫ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  31. "Nepal vows new safety rules for trekkers after deaths of 41 killed in blizzard, avalanches"। ২১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৪ 
  32. "Freak Nepal blizzards kill at least 20, including hikers, guides"। ১৫ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৪ 
  33. "Cyclone Hudhud Live: Modi announces Rs 1000 cr-aid,which was never fulfilled; Vishakhapatnam limps back to normalcy"। www.firstpost.com। FIRSTPOST। ১৫ অক্টোবর ২০১৪। ১৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪ 


বহিঃসংযোগ সম্পাদনা