ঘাদা আল-সাম্মান

সিরীয় লেখিকা, সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক (জন্ম ১৯৪২)

ঘাদা আল-সাম্মান[১] (আরবি: غادة السمّان) হলেন সিরিয়ার লেখক, সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক। তিনি দামেস্কে এক বিশিষ্ট ও রক্ষণশীল Damascene পরিবারে ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ঘাদা বিখ্যাত কবি নিজার কাব্বানি সহিত দূরবর্তী অত্মিয়ের সম্পর্কে যুক্ত। তার পিতা আহমেদ আল-সাম্মান সিরিয়ান ইউনিভার্সিটির সভাপতি ছিলেন। খুব অল্প বয়সে মা মারা যাওয়ার পর থেকে ঘাদা তার পিতার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

ঘাদা আল-সাম্মান
ভাষাআরবি, ইংরেজি, ফরাসি

কর্মজীবন সম্পাদনা

তার বাবা পশ্চিমা সাহিত্য ও আরবি সাহিত্য উভয়ই পছন্দ করতেন; এটি তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং তাকে উভয়ের বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করার একটি অনন্য শৈলী দিয়েছে। তা সত্ত্বেও, শীঘ্রই তিনি রক্ষণশীল দামেসিন সমাজের মুখোমুখি হন, যেখানে তিনি বেড়ে ওঠেন এবং তার প্রারম্ভিক জীবনের সময়গুলি অতিবাহিত করেছিলেন।

তিনি তার ছোট গল্পের প্রথম বই عيناك قدري "তোমার চোখ আমার গন্তব্য " ১৯৬২ সালে প্রকাশ করেছিলেন, যা যুক্তিসঙ্গতভাবে পাঠকদের দ্বারা ভালভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। যাইহোক, সে সময় তিনি অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী নারী লেখকদের সাথে জড়িত হয়েছিলেন। তার পরবর্তী প্রকাশনা তাকে নারী ও প্রেমের উপন্যাসের কঠোর পরিসর থেকে অনেক বেশি সামাজিক, নারীবাদী ও দার্শনিক বিস্তারে নিয়ে যায়।

তিনি ১৯৬৩ সালে সিরিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ পাশ করে স্নাতক হন এবং আমেরিকান বৈরুত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বৈরুতে চলে যান; তারপর থেকে সে দামেস্কে ফিরে আসেননি।

বৈরুতে তিনি সাংবাদিকতায় কাজ করেন এবং তিনি ১৯৬৫ সালে তার দ্বিতীয় সংকলন لا بحر في بيروت “নো সি ইন বৈরুত” প্রকাশ করেন, বইটিতে তার নতুন ও বিস্তৃত অভিজ্ঞতার প্রভাব স্পষ্ট। এরপর তিনি সংবাদদাতা হিসেবে কাজ কররা সাথে ইউরোপ ভ্রমণ করেন এবং তার তৃতীয় সংকলন লীল الغرباء “বিদেশীদের রাত্রি” ১৯৬৬ সালে প্রকাশ করেন, যা তার অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটায়।

তার উপর ছয় দিনের যুদ্ধ একটি প্রভাব ফেলেছিল, যেমনটি তার প্রজন্মের অনেকের উপর হয়েছিল, এটি তার বিখ্যাত প্রবন্ধ আহমল عاري إلى لندن "আই ক্যারি মাই শেম টু লন্ডন" -এ স্পষ্ট, তার পর তিনি ছয় বছর বই প্রকাশ করেনি, কিন্তু তার সাংবাদিকতা নিবন্ধ সামাজিক বাস্তবতার কাছাকাছি হয়ে ওঠে এবং তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। সেই সময়কালে তিনি যে নিবন্ধগুলি লিখেছিলেন তা তার পরবর্তী কিছু প্রকাশনার উৎস হয়ে ওঠে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Samman, Ghada Al-(1942–)"www.encyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ 

উৎস সম্পাদনা

লেখিকা ঘাদা আল-সাম্মানেরর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে