গ্লিপটোথেক

মিউনিখে অবস্থিত একটি জাদুঘর

গ্লিপটোথেক (জার্মান: [ɡlʏptoˈteːk] (listen)) জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত একটি জাদুঘর। বাভারিয়ার রাজা লুডভিগ প্রথমের নিজস্ব সঙগ্রহশালা থেকে অধিকৃত গ্রীক ও রোমান ভাস্কর্য দ্বারা এটি সজ্জিত। লিও ভন ক্লেনৎযে কর্তৃক দ্বারা নব্য-ক্লাসিকাল ধরনার নকশায় ১৮১৬ থেকে ১৮৩০ সালে এটি তৈরি হয়।

The Glyptমিউনিখে ওথেক

ইতিহাস সম্পাদনা

 
জাদুঘরের একটি ফিচাদে

বাভারিয়ার রাজা লুডভিগ প্রথম তার অন্যান্য আরো প্রকল্পের পাশাপাশি গ্লিপটোথেক অন্যতম একটি। তিনি জার্মানিতে "জার্মান এথেন্স" তৈরির স্বপ্ন দেখেন। যেন জার্মানিতে প্রাচীন গ্রীক সঙ্স্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে তিনি মিউনিখ শহরের প্রধান ফটক তৈরি করেন। গ্লপিটোথেক মিউনিখের সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর।

 
১৯০০ সালের গ্লিপ্টোথেকের অভ্যন্তরীন সজ্জা

১৮০৬ সাল থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে , জাদুঘর তৈরির প্রথম দিকে লুডভিগ গ্রীক ও রোমান ভাস্কর্যের উল্লেখযোগ্য একটি সঙ্গিগ্রহ গড়ে তোলেন। নিজের জনবল দ্বারা তিনি মেডুসা রোনডানিনি, বারবেরিনি ফন এর মতো উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম এই জাদুঘরে নিয়ে আসেন। ১৮১৩ সালে আফাএর মন্দির থেকে এগিনা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

স্থাপত্য সম্পাদনা

জাদুঘরটি ক্লাসিকাল গ্রীক-ইতালিয়ান ঘরানার নকশায় নির্মিত। জাদুঘরের বাহ্যিকভাগের দেয়ালে (পেছনের দিক ছাড়া) ১৮ টি অরিজিনাল রোমান ও গ্রীক ভাস্কর্য রয়েছে। তেরোটি আয়তাকার, বর্গাকার অথবা গোলাকার কক্ষ দ্বারা একটি কোর্টচত্বর পরিবেষ্টিত। ভাস্কর্যগুলো পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করে। পূর্ব ও পশ্চিম দিকে রেনেসাঁ সিময়কার ভাস্কর্য বিদ্যমান, যে আমলে গ্লিপ্টোথেক নির্মিত হয়। এই জাদুঘরটি প্রাথমিকভাবে মার্বেল পাথরে নির্মিত হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে পুনর্গঠিত করার সময় ভেতরের দেয়াল লাল পাথর দিয়ে তৈরি হয় এমং হাল্কা প্লাস্টার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা