গ্যোং গিরিপথ

(গ্যোং গিরিবর্ত্ম থেকে পুনর্নির্দেশিত)

গ্যোং গিরিপথ বা গ্যোং লা সালতোরো পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত একটি গিরিপথ বিশেষ।

গ্যোং গিরিপথ
উচ্চতা৫,৬৮৬ মিটার (১৮,৬৫৫ ফুট)[১]
অবস্থানকাশ্মীর (বিতর্কিত অঞ্চল ভারত/পাকিস্তান)
পর্বতশ্রেণীপূর্ব কারাকোরাম পর্বতশ্রেণী
স্থানাঙ্ক৩৫°১০′২৯″ উত্তর ৭৭°০৪′১৫″ পূর্ব / ৩৫.১৭৪৭২° উত্তর ৭৭.০৭০৮৩° পূর্ব / 35.17472; 77.07083
গ্যোং গিরিপথ জম্মু ও কাশ্মীর-এ অবস্থিত
গ্যোং গিরিপথ
গ্যোং গিরিপথ
গ্যোং গিরিবর্ত্মের অবস্থান

অবস্থান সম্পাদনা

গ্যোং গিরিপথ সিয়াচেন হিমবাহের দক্ষিণপশ্চিমে এবং সিমলা চুক্তি অনুযায়ী ভারতপাকিস্তানের মধ্যের নিয়ন্ত্রণ রেখার শেষ প্রান্ত হিসেবে সংজ্ঞায়িত এনজে ৯৮৪২ থেকে ২০ কিমি (১২ মা) উত্তরে সালতোরো পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত।[২]

সামরিক গুরুত্ব সম্পাদনা

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত, পাকিস্তানসম্মিলিত জাতিপুঞ্জ সামরিক পর্যবেক্ষক দল যুদ্ধবিরতি রেখা চুক্তিতে সই করে। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ, পাকিস্তান ও অন্যন্যরা যুদ্ধবিরতি রেখা চুক্তি অনুযায়ী মানচিত্র প্রদর্শন করত।[৩] কিন্তু ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ডিফেন্স ম্যাপিং এজেন্সী কোন রকম তথ্যসূত্র ছাড়াই তাদের কৌশলগত অগ্রণী মানচিত্রে এনজে ৯৮৪২ থেকে কারাকোরাম গিরিপথের (৫,৫৩৪ মিটার) পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলকে চীনের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। [৪] এই মানচিত্রে সিয়াচেন অঞ্চল ও তার পার্শ্ববর্তী গিরিবর্ত্মগুলি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হওয়ায় ১৯৭০ এর দশক থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত এই অঞ্চলের উঁচু শৃঙ্গগুলিতে অবিযানের জন্য পর্বতারোহী অভিযাত্রী দল পাকিস্তান সরকারের কাছে অনুমতি চাইতে থাকে এবং পাকিস্তান তাদের অনুমতিপত্রও প্রদান করে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জাপানী পর্বতারোহী কাতায়ামা বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে টেরাম কাংরি-১ (৭,৪৬৫ মি অথবা ২৪,৪৯১ ফু) ও টেরাম কাংরি-২ (৭,৪০৬ মি অথবা ২৪,২৯৮ ফু) পর্বতশৃঙ্গদ্বয় জয়ের অভিযানে পাকিস্তানের থেকে অনুমতি লাভ করে।[৫] ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে জারোস্লাভ পন্সারের নেতৃত্বে এক জার্মান অভিযাত্রী দল বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে সিয়াচেন হিমবাহে প্রবেশ করে এবং সিয়াচেন হিমবাহটেরাম শেরের সংযোগস্থলে অভিযানের মূল ঘাঁটি তৈরী করে। এই সব ঘটনা পাকিস্তানকে এই সকল অঞ্চলের দাবী জানাতে উৎসাহ দেয়।[৬] ভারত সরকারসেনাবাহিনী সব কিছু লক্ষ্য করে মানচিত্রটির ব্যাপারে প্রতিবাদ করে। মার্কিন মানচিত্র ও পাকিস্তানের অনুমতিপত্রের গুরুত্ব অনুভব করে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাই অল্টিচিউড ওয়ারফেয়ার স্কুলের কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল নরেন্দ্র কুমার সিয়াচেন অঞ্চলে টেরাম কাংরি-২ পর্বতশৃঙ্গে সেনা পর্বতারোহণ অভিযান করেন।[৭]

অপারেশন মেঘদূত সম্পাদনা

বাইলাফন্ড, সিয়া ও গ্যোং এই তিনটি গিরিপথ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সিয়াচেন দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে অপারেশন মেঘদূত ভারতীয় সামরিক অভিযান হয়ে এসেছে।[৮] ভারত অপারেশন মেঘদূত শুরু হতে দ্রুত সিয়াবাইলাফন্ড গিরিপথ দখল করে অধিকার করে নেয়।[৯] সিয়াচেন হিমবাহের পশ্চিম দিকে ও নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটে অবস্থিত হওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এই স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। [১০][১১][১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Gyong"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৬ 
  2. See map on page 15: Hakeem, Asad (২০০৭-০৯-০১)। "Demilitarization of the Siachen Conflict Zone" (পিডিএফ)Sandia Report। Sandia National Laboratories, Albuquerque, NM, USA। ২০১২-০৪-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২০  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  3. Verghese, B.G.,। "Facts vs bluff on Siachen Kayani's suggestion worth pursuing"। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২১, ২০১২ 
  4. "2003 article about Siachen in Outside magazine"। Outsideonline.com। ২০১১-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫ 
  5. SANGAKU 71
  6. Dutta, Sujan (২০০৬-০৫-১৫)। "The Telegraph – Calcutta : Nation"। Calcutta, India: Telegraphindia.com। ২০১১-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫ 
  7. "Outside magazine article about Siachen battleground"। Outsideonline.com। ২০১১-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৫ 
  8. Barua, Pradeep P. (৩০ জুন ২০০৫)। The State at War in South Asia (Studies in War, Society, and the Military)। University of Nebraska Press। পৃষ্ঠা 253–255। আইএসবিএন 978-0-8032-1344-9। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৬ 
  9. Wirsing, Robert (১৯৯১)। Pakistan's security under Zia, 1977-1988: the policy imperatives of a peripheral Asian state। Palgrave Macmillan, 1991। আইএসবিএন 978-0-312-06067-1 
  10. See http://www.bharat-rakshak.com/MONITOR/ISSUE6-1/Siachen.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুন ২০১২ তারিখে for perhaps the most detailed treatment of the geography of the conflict, including its early days, and under section "3." the current status of control of Bilafond La, contrary to the oft-copied misstatement in the now-corrected error-plagued old summary formerly posted at http://www.globalsecurity.org/military/world/war/siachen.htm
  11. See http://www.hinduonnet.com/fline/fl2304/stories/20060310001704400.htm ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে for a detailed, current map.
  12. Child, Greg (১৯৯৮)। Thin air: encounters in the Himalayas। The Mountaineers Books, 1998। আইএসবিএন 978-0-89886-588-2 
  • "A Slow Thaw"Time। ২০০৫-১১-০৭। ২০১১-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-০৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা