গেভারহান হাতুন

উসমানীয় শাহজাদী, সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের কন্যা

গেভারহান হাতুন (উসমানীয় তুর্কি: کوھرخان خاتون) ছিলেন একজন উসমানীয় শাহজাদী। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় মেহমেদগুলবাহার হাতুনের কন্যা এবং দ্বিতীয় বায়েজীদের বোন।

গেভারহান হাতুন
ইস্তাম্বুলের ফাতিহ-এ গুলবাহার হাতুন সমাধিস্তম্ভে অবস্থিত গেভারহান হাতুনের সমাধিসৌধ।
জন্মএদিরনে, উসমানীয় সাম্রাজ্য
মৃত্যুকনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
সমাধি
গুলবাহার হাতুন সমাধিস্তম্ভ, ফাতিহ, ইস্তাম্বুল
দাম্পত্য সঙ্গীউঘুরলু মুহাম্মাদ
বংশধরগোডে আহমেদ
রাজবংশউসমানীয় (জন্মসূত্রে)
আক কোয়ুনলু (বৈবাহিক সূত্রে)
পিতাদ্বিতীয় মেহমেদ
মাতাগুলবাহার হাতুন
ধর্মসুন্নি ইসলাম

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

গেভারহান হাতুন ছিলেন ফাতিহ অর্থাৎ বিজয়ী নামে পরিচিত সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ এবং গুলবাহার হাতুনের কন্যা। তিনি সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদের বোন ছিলেন।[১][২]

বিবাহ সম্পাদনা

১৪৭৪ সালে গেভারহান, আক কোয়ুনলু শাসক সুলতান উযুন হাসানের পুত্র উঘুরলু মুহাম্মদকে বিয়ে করেন।[৩] উঘুরলু মুহাম্মদ তার পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং উসমানীয়দের কাছে আশ্রয় চান।[৪] গেভারহানের পিতা উঘুরলু মুহাম্মদকে স্বাগত জানান এবং তার সাথে বিয়ে দেন।[৫]

উঘুরলু মুহাম্মদের সাথে গেভারহানের বিয়ে ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল, যা প্রকৃতপক্ষে নিয়মটি প্রমাণ করেছিল। উঘুরলু মুহাম্মদ তার নিজের ভূমি থেকে নির্বাসিত এবং উসমানীয় দরবারে আশ্রয়প্রার্থী, এই আক কোয়ুনলু শাহজাদাকে উসমানীয় রাজপরিবারের এক ধরনের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।[৬] সুলতান মেহমেদ তার নতুন জামাতাকে সীমান্তবর্তী প্রদেশ শিভাস-এ অভিষিক্ত করেছিলেন এবং তাকে অস্ত্র ও লোকবল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার সাহায্যে তিনি যথাযথ সময়ে তাঁর পৈতৃক উত্তরাধিকারের দাবি করতে পারবেন।[৭] তবে ১৪৭৭ সালে উঘুরলু মুহাম্মদ তার পিতার বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি বিদ্রোহে মৃত্যুবরণ করেন।[৫][৭]

এই বিবাহবন্ধনে, মুহাম্মদ এবং গেভারহান দম্পতির সন্তান গোডে আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। আহমেদের পিতার মৃত্যুর কারণে সুলতান মেহমেদ তার নাতিকে ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন।[৫] ১৪৮৯ সালে আহমেদ তার মামাজান সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদের কন্যা শাহজাদী আয়নিশাহ হাতুনকে বিয়ে করেন।[৮]

মৃত্যু সম্পাদনা

যখন গেভারহান মৃত্যুবরণ করেন, তখন তিনি ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদে অবস্থিত তার মা গুলবাহার হাতুনের সমাধিস্তম্ভে সমাধিস্থ হন।[৯]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে চিত্রায়ণ সম্পাদনা

২০১৩ সাকে তুর্কী ধারাবাহিকফাতিহ-এ গেভারহান হাতুন চরিত্রটি তুর্কী অভিনেত্রী হান্দে সোরাল দ্বারা অভিনীত হয়েছিল।[১০]

বংশ ক্রমণিকা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Uluçay 2011, পৃ. 39, 42।
  2. Sakaoğlu 2008, পৃ. 178।
  3. Sakaoğlu 2008, পৃ. 179।
  4. Ottoman Women in Public Space। BRILL। মে ১৯, ২০১৬। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন 978-9-004-31662-1 
  5. Tarih arastirmalari dergisi, Volumes 21-23। Ankara Üniversitesi Basımevi। ২০০৩। পৃষ্ঠা 206। 
  6. Leslie P. Peirce (১৯৯৩)। The Imperial Harem: Women and Sovereignty in the Ottoman Empire । Oxford University Press। পৃষ্ঠা 303-4 n. 51আইএসবিএন 978-0-195-08677-5 
  7. Woods, John E. (১৯৯৯)। The Aqquyunlu: Clan, Confederation, Empire। University of Utah Press। পৃষ্ঠা 122, 187। আইএসবিএন 978-0-874-80565-9 
  8. Sakaoğlu 2008, পৃ. 193।
  9. Uluçay 2011, পৃ. 42।
  10. Fatih (TV Mini-Series 2013), সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৭ 

উৎস সম্পাদনা

  • Uluçay, Mustafa Çağatay (২০১১)। Padişahların kadınları ve kızları। Ankara, Ötüken। 
  • Sakaoğlu, Necdet (২০০৮)। Bu mülkün kadın sultanları: Vâlide sultanlar, hâtunlar, hasekiler, kadınefendiler, sultanefendiler। Oğlak Yayıncılık। আইএসবিএন 978-9-753-29623-6