জলরঙের এক পরিবর্তিত রূপ, যাতে রঙের মধ্যে, চকের গুঁড়ো জাতীয় অস্বচ্ছ জিনিস মেশাবার ফলে জলরঙের সূক্ষ্ম রঙ্গককণিকা-জনিত স্বচ্ছতার পরিবর্তে অনচ্ছ পুরু রং হয়। ফলে জলরঙ দিয়েও তেলরঙের মত "ফিনিশিং" কাজ সহজে হয়। অতীতে চকের গুঁড়োর বদলে ডিমের কুসুম মেশানো হত এবং পদ্ধতিটির নাম ছিল টেম্পেরা(en:tempera), এখন বাজারের তৈরি গুয়াশ যেমন "পোস্টার কালার" তার স্থান নিয়েছে।

গুয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা মণিপুরী নাচ
গুয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা মণিপুরী নাচ

জলরঙের সঙ্গে পদ্ধতিগত পার্থক্য সম্পাদনা

  • জলরঙের স্বচ্ছতার জন্য গাঢ় রঙকে হাল্কা রঙ দিয়ে ঢাকা সম্ভব নয়- এজন্য সবথেকে হাল্কা রঙ দিয়ে শুরুকরে ক্রমান্বয়ে গাঢ়তর রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়।গুয়াশ বা টেম্পেরার অস্বচ্ছতার সুবিধে হল বিভিন্ন রঙ যে কোন ক্রমপর্যায়ে লাগানো যায়।
  • জলরঙে কাগজের সাদা রঙ একবার ঢেকে ফেললে তা ধুয়ে কিছু হাল্কা করা গেলেও একবার করা ভুল পুরো নিষ্কলুষ করা অসম্ভব। গুয়াশ বা টেম্পেরায় তা সহজেই করা যায়।
  • জলরঙ শুকালেও ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই বজায় থাকে, কিন্তু গুয়াশ শুকালেও ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই কমে যায়।

তেলরঙের সঙ্গে তুলনা সম্পাদনা

তেলরঙের অধিকাংশ পদ্ধতিগত সুবিধা গুয়াশ পদ্ধতিতে আছে। তদুপরি জলরঙের দুই গুণ- তেলরঙের মত শুকাতে দেরি লাগে না এবং সরঞ্জাম (যেমন ক্যানভাসের বদলে কাগজ) দামে সস্তা-গুয়াশ পদ্ধতিতেও আছে। অর্থাৎ জল ও তেল রঙের দ্বয়ী সুবিধা এই পদ্ধতিতে বিদ্যমান।