গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল

গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল (岐阜県? গিফু কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[২] এর রাজধানী গিফু নগর।[৩]

গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল
岐阜県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
 • জাপানি岐阜県
 • রোমাজিGifu-ken
গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অফিসিয়াল লোগো
গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলচুউবু
দ্বীপহোনশু
রাজধানীগিফু
আয়তন
 • মোট১০,৬২১.১৭ বর্গকিমি (৪,১০০.৮৬ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৭ম
জনসংখ্যা (আগস্ট ২০১১[১])
 • মোট২০,৭৪,১৫৮
 • ক্রম১৮শ
 • জনঘনত্ব২০০/বর্গকিমি (৫১০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-21
জেলা
পৌরসভা৪২
ফুলঅ্যাস্ট্রাগ্যালাস সিনিকাস
গাছজাপানি য়িউ
(ট্যাক্সাস কাস্পিডাটা)
পাখিরক টার্মিগান
(ল্যাগোপাস মিউটা)
মাছআয়ু
(প্লেকোগ্লসাস অল্টিভেলিস)
ওয়েবসাইটwww.pref.gifu.lg.jp/English

ইতিহাস সম্পাদনা

গিফু প্রাচীন কাল থেকে জাপানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধেরও ঘটনাস্থল ছিল এখানেই। চতুর্থ শতাব্দীতে এখানে য়ামাতো রাজসভার আসন স্থাপিত হয়। ৬৭২ খ্রিঃ জিন্‌শিন যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট তেম্মু জাপানের চত্বারিংশ (চল্লিশ তম) সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আধুনিক গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অতীতে হিদা ও মিনো প্রদেশ এবং এচিযেন ও শিনানো প্রদেশের অংশবিশেষে বিভক্ত ছিল।[৪] এর বর্তমান রাজধানী গিফু নগরের নামকরণ হয় ১৫৬৭ খ্রিঃ যখন ওদা নোবুনাগা তার সমগ্র জাপানের একত্রীকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে এই নগরের নামকরণ করেন।[৫] গিফু নামটি লিখতে ব্যবহৃত দুটি চিত্রাক্ষরের প্রথমটি আসে ঐতিহাসিক কিশান পর্বত (山) থেকে; কিশান পর্বত প্রাচীন চীনের একত্রীকরণ সংক্রান্ত কিংবদন্তি বিশেষ। দ্বিতীয় অক্ষরটি আসে কনফুশিয়াসের জন্মস্থান কুফু (曲) অঞ্চলের নাম থেকে।[৬] অনুমান করা যায়, নোবুনাগা জাপানের একত্রীকরণ চেয়েছিলেন বলে এই চিত্রাক্ষরগুলি নির্বাচন করেন।

ভূগোল সম্পাদনা

স্থলবেষ্টিত গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল আইচি, ফুকুই, ইশিকাওয়া, মিয়ে, নাগানো, শিগা এবং তোয়্যামা। উত্তরের হিদা অঞ্চল পার্বত্য; এখান দিয়ে জাপানি আল্পস পর্বতমালার অংশবিশেষ প্রসারিত হয়েছে। দক্ষিণের মিনো অঞ্চল প্রধানত উর্বর সমতল, নোওবি সমভূমির অংশ। জনবসতির অধিকাংশই দক্ষিণের মনোনীত নগর নাগোয়্যা ও তৎসন্নিহিত অংশে কেন্দ্রীভূত।

জলবায়ু সম্পাদনা

গিফুর জলবায়ু দক্ষিণে আর্দ্র উপক্রান্তীয় থেকে উত্তরে আর্দ্র মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়।

মিনো অঞ্চল নিচু পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় কিছুটা চরমভাবাপন্ন। পূর্বের তাজিমি নগরে প্রায়ই জাপানের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল পরিলক্ষিত হয়। এই নগরের গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা ৩৪.১⁰ সেলসিয়াস। ২০০৭ এর ১৬ই আগস্ট জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম দিন হিসেবে তাজিমিতে ৪০.৯⁰ সেলসিয়াস উষ্ণতা নথিভুক্ত হয়।[৭] হিদা অঞ্চলে শীতকাল জোরালো; বিশেষত উত্তরের পার্বত্যাঞ্চলে প্রবল তুষারপাত হয়।

অর্থনীতি সম্পাদনা

গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলে মজবুত - এমনকি যুদ্ধে ব্যবহারের মত মজবুত কাগজ প্রস্তুতি[৮] ও কৃষির মত প্রথাগত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকলেও বর্তমানে আকাশযান ও স্থলযান নির্মাণের মত কারিগরী শিল্প প্রধান হয়ে উঠেছে। নাগোয়্যা নগরের লাগোয়া অঞ্চল সম্পূর্ণ শিল্পায়িত। ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে আছে ডাই শিল্প, ছাঁচ নির্মাণ ও প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ।

পর্যটন সম্পাদনা

গিফুতে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে, যাদের মধ্যে প্রধান হল শিরাকাওয়ার ঐতিহাসিক গ্রামপুঞ্জ। এই গ্রামগুলি ইউনেস্কো নির্দিষ্ট বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 岐阜県の人口・世帯数人口動態統計調査結果Gifu prefectural website (Japanese ভাষায়)। Gifu Prefecture। অক্টোবর ১০, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১১, ২০১১ 
  2. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Gifu-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 246, পৃ. 246,; "Chūbu" in গুগল বইয়ে p. 126, পৃ. 126,
  3. Nussbaum, "Gifu" in গুগল বইয়ে p. 246, পৃ. 246,
  4. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,
  5. Stone ledger in front of Kashimori Shrine. Erected by Kashimori Shrine.
  6. Gifu tour guide – Outline of Gifu Prefecture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ অক্টোবর ২০১১ তারিখে. Gifu Prefecture Tourist Federation. Accessed September 9, 2007.
  7. Gifu Prefecture sees highest temperature ever recorded in Japan – 40.9 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০১৬ তারিখে – Japan News Review ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে
  8. The Fire Balloons ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Greg Goebel. Accessed November 23, 2007.