খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার

খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার (তিব্বতি: ཁྲ་འབྲུག་དགོན་པ།ওয়াইলি: khra-’brug dgon-pa, ZYPY: Changzhug Gönba, লাসা উপভাষা আইপিএ: [ʈʂʰaŋʈʂuk kø̃pa]) তিব্বতের ইয়ার্লুং উপত্যকার প্রাচীন বৌদ্ধবিহারগুলির মধ্যে একটি।

খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার
Tibetan name
তিব্বতীཁྲ་འབྲུག་དགོན་པ།
ওয়াইলি প্রতিলিপিকরণkhra-’brug dgon-pa
IPAতে উচ্চারণ[ʈʂʰaŋʈʂuk kø̃pa]
সরকারি প্রতিলিপি (গণচীন)Changzhug Gönba
THDLTradruk
অন্যান্য প্রতিলিপিTrandruk, Trangdruk,
Tradrug, Trandrug, Trangdrug
চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী昌珠寺
সরলীকৃত昌珠寺
PinyinChāngzhū Sì
খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার Tibet-এ অবস্থিত
খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার
খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার
তিব্বতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক:২৯°১১′৩৮″ উত্তর ৯১°৪৬′১৯″ পূর্ব / ২৯.১৯৩৮৯° উত্তর ৯১.৭৭১৯৪° পূর্ব / 29.19389; 91.77194
মঠের তথ্য
অবস্থাননেদং প্রদেশ, লহোকা বিভাগ, তিব্বত, চীন
প্রতিষ্ঠাতাস্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
স্থাপিতসপ্তম শতাব্দী
ধরনতিব্বতি বৌদ্ধধর্ম

অবস্থান সম্পাদনা

খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার চীনের তিব্বতের ল্হোকা বিভাগের নেদং প্রদেশে র্ত্সে-থাং শহর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে ২৯°১১′৩৮″ উত্তর ৯১°৪৬′১৯″ পূর্ব / ২৯.১৯৩৮৯° উত্তর ৯১.৭৭১৯৪° পূর্ব / 29.19389; 91.77194 স্থানাঙ্কে অবস্থিত। [১]

ইতিহাস সম্পাদনা

খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহার তিব্বত সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো স্থাপন করেন। তিব্বত সম্রাট খ্রি-স্রোং-ল্দে-ব্ত্সানমু-নে-ব্ত্সান-পো র রাজত্বকালে এই মন্দিরটি তিব্বতের প্রধান তিনটি রাজকীয় বৌদ্ধবিহারের মধ্যে একটি ছিল। বৌদ্ধ ধর্ম বিরোধী তিব্বত সম্রাট গ্লাং-দার-মা এই বিহারের ব্যাপক ক্ষতি করেন। ১৩৫১ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির সংস্কার করা হয়। পঞ্চম দলাই লামা এই বিহারের সোনালী ছাদের নির্মাণ করান। সপ্তম দলাই লামার আমলে এই মন্দিরকে প্রসারিত করা হয়। চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু হলে এই মন্দিরের বহু অট্টালিকা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ১৯৮০ এর দশকে মন্দিরটির সংস্কার সাধন করা হয়, এবং বর্তমানে এই মন্দিরকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়। [২][৩]

কিংবদন্তি সম্পাদনা

এই বৌদ্ধবিহারের নির্মাণ সম্বন্ধে বেশ কিছু কিংবদন্তি কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। একটি কল্পকাহিনী অনুসারে, তিব্বতের তলায় শুয়ে থাকা এক বিশাল স্রিন-মো (སྲིན་མོ) বা রাক্ষসীকে ধরে রাখতে বারোখানা দৈবিক মন্দিরের একটি খ্রা-ব্রুগ বৌদ্ধবিহারকে তাঁর বাম কাঁধে স্থাপন করা হয়। [৪] অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে, বৌদ্ধবিহারটির নির্মাণের পূর্বে ঐ স্থানে একটি হ্রদ ছিল যেখানে একটি পাঁচ মাথাওয়ালা ড্রাগনের বসবাস ছিল। স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো ধ্যানবলে এক বিরাট বাজপাখির আহ্বান করেন যা ঐ ড্রাগনকে পরাজিত করে হ্রদের সমস্ত জল খেয়ে মন্দির নির্মাণের স্থান করে দিয়েছিল।[৫]

সাজসজ্জা সম্পাদনা

মন্দিরের কেন্দ্রটি স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর দ্বারা নির্মিত বলে ধরা হয়। এই অংশে বুদ্ধ ও তারার মূর্তি ছিল। বর্তমানে এই মূর্তিগুলির অংশ হিসেবে শুধুমাত্র মাটির ছাঁচ রয়ে গেছে। এই মন্দিরের বারান্দায় তিব্বত সম্রাট খ্রি-স্রোং-ল্দে-ব্ত্সানের নামাঙ্কিত বিখ্যাত একটি ঘণ্টা ছিল। [৬][৭]

এই বৌদ্ধবিহারে হাজারখানেক মুক্তা দিয়ে সজ্জিত একটি থাংকা আছে। এই থাংকাটি স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর চীনা পত্নী ওয়েংচেন গোংঝু নিজে তৈরী করেছিলেন বলে মনে করা হয়। থাংকাটিতে ওয়েংচেন গোংঝুকে সাদা তারা হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও এই মন্দিরে আট বছর বয়সী পদ্মসম্ভবের ভাষণরত মূর্তি রয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 国家测绘局地名研究所: 西藏地名, 中国藏学出版社 1995, আইএসবিএন ৭-৮০০৫৭-২৮৪-৬, pp. 70f. (চীনা)
  2. Dorje, Gyurme. (1999). Footprint Tibet Handbook with Bhutan. 2nd Edition. Footprint Handbooks. Bath, England. আইএসবিএন ১-৯০০৯৪৯-৩৩-৪, pp 191-192
  3. Chinas Tibet: Zahlen und Fakten 2005 – Denkmalschutz ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে (Beijing Rundschau / Beijing Review; in German)
  4. Alex McKay: The History of Tibet (RoutledgeCourzon 2003), আইএসবিএন ০-৭০০৭-১৫০৮-৮, pp. 340 f.
    Guntram Hazod: The Royal Residence Pho brang byams pa mi ’gyur gling and the Story of Srong btsan sgam po’s Birth in Rgya ma. In: Henk Blezer (Hg.): Tibet, Past and Present (Brill 2002), আইএসবিএন ৯০-০৪-১২৭৭৫-৫; pp. 41f.
    vgl. Michael Aris: Bhutan. The Early History of a Himalayan Kingdom (Warminister, Aris and Phillips 1979), আইএসবিএন ০-৮৫৬৬৮-১৯৯-৭, pp. 3ff.
  5. Jeremy Atiyah, David Leffmann, Simon Lewis: China (Dumont 2004), আইএসবিএন ৩-৭৭০১-৬১৫০-৫, p. 1039.
  6. Snellgrove, David and Richardson, Hugh. (1995). A Cultural History of Tibet. Shambhala. Boston & London. আইএসবিএন ১-৫৭০৬২-১০২-০. Originally published in 1968 by George Weidenfeld and Nicolson Ltd. p. 74.
  7. Richardson, Hugh Edward. (1985) A Corpus of Early Tibetan Inscriptions. Royal Asiatic Society. আইএসবিএন ০-৯০৪৭৫৯৬০০ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম/4 pp. 82-83

আরো পড়ুন সম্পাদনা

  • ངག་དབང་བློ་བཟང་རྒྱ་མཚོ།: བོད་ཀྱི་དེབ་ཐེར་དཔྱིད་ཀྱི་རྒྱལ་མོའི་གླུ་དབྱངས།, অধ্যায় ৬
  • Vitali, Roberto. Early Temples of Central Tibet. 1990 Serindia Publications. London. আইএসবিএন ০-৯০৬০২৬-২৫-৩

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা