খুমি বাংলাদেশের একটি উপজাতি।[১] এরা খামি নামেও পরিচিত। নামটির অর্থ হলো "সর্বোত্তম জাতি"। [২] আরাকানীরা এদেরকে খেমি জাতি বলে অভিহিত করে থাকে।[৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

১৭শ শতকের শেষভাগে খুমি উপজাতি আরাকান থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আগমন করে। খুমীদের মুল জনগোষ্ঠীর বসবাস মায়ানমারে। গোষ্ঠীগত দাংগার কারণে খুমীদের একটি অংশ মায়ানামার হতে পালিয়ে এসে বান্দরবানের গহিন অরণ্যে বসবাস করতে শুরু করে। আবার অনেকের মতে খুমি আদিবাসীরা মূলত মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীভুক্ত একটি দল। তারা প্রধানত তিব্বতি বার্মিজ-কুকি-চীন ভাষায় কথা বলে।

তারা সাধারণত প্রকৃতি পূজারী। জুম চাষই তাদের প্রধান জীবিকা।

বাংলাদেশে খুমি সম্পাদনা

বাংলাদেশে খুমি নৃ-গোষ্ঠীর আগমন বার্মার চিন প্রদেশ থেকে। এই চিন হিলস প্রদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ সালে আরাকান প্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে নামকরণ করা হয় চিন হিলস। বাংলাদেশে এরা বান্দরবান জেলার রুমা, রৌয়াংছড়ি, এবং থানচি উপজেলাতে বসবয়াস করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পকেটবুক (১৯৯৯) অনুসারে এদের মোট জনসংখ্যা ১২৪১। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই খুমি শিক্ষার্থী"prothomalo.com। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০ 
  2. Khumi Tribe, বাংলাপিডিয়া
  3. "খুমি সম্প্রদায়ের প্রথম স্নাতক - প্রথম আলো"prothom-alo.com। ১৬ জুন ২০১০। নভেম্বর ৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০ 

আরও দেখুন সম্পাদনা