ক্রিয়াবিশেষণ বলতে সেইসব পদ বা শব্দকে বোঝায়, যা ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে।[১] সাধারণত এই ধরনের পদ ক্রিয়া বা কাজের স্থান, সময়, অবস্থা নির্দেশ করে।

প্রকারভেদ সম্পাদনা

সাধারণ শ্রেণীকরণ[১] সম্পাদনা

  • ধরণবাচক
  • কালবাচক
  • স্থানবাচক
  • নেতিবাচক
  • পদাণু

গঠন বিবেচনায়[১] সম্পাদনা

  • একপদী
  • বহুপদী

বিভিন্ন ক্রিয়াবিশেষণ সম্পাদনা

  • ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে।[১] উদাহরণ:
    টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
    ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
  • কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ কাজ সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।[১] উদাহরণ:
    আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি।
    যথাসময়ে সে হাজির হয়।
  • স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কাজের স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ।[১] উদাহরণ:
    মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।
    তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
  • নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ‘না’, ‘নি’ ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়াপদের নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়াপদের পরে বসে।[১] উদাহরণ:
    সে এখন যাবে না
    তিনি বেড়াতে যাননি
    এমন কথা আমার জানা নেই
  • পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলে ‘কি’, ‘যে’, ‘বা’, ‘না’, ‘তো’ প্রভৃতি পদাণু বা শব্দাংশ ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে।[১] এগুলোর অধিকাংশই সংযোজক পদঅনুসর্গ পদ। উদাহরণ:
    আমি কি যাব?
    খুব যে বলেছিলেন আসবেন!
    কখনো বা দেখা হবে।
    একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে।
    মরি তো মরবো।
  • একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: একটি পদ বা শব্দ নিয়ে গঠিত ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ক্রিয়াবিশেষণ বলে।[১] যেমন- আছে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালোভাবে।
  • বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ: একের অধিক পদ বা শব্দ নিয়ে গঠিত ক্রিয়াবিশেষণকে বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ বলে।[১] যেমন- ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ। ২০২১ সংস্করণ।